রিয়েলের হ্যাটট্রিক, ভিলেন লিভারপুল গোলকিপার

রিয়েলের হ্যাটট্রিকট্রফি নিযে রিয়েল মাদ্রিদ. ছবি: টুইটার.

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল ২০১৮

রিয়েল মাদ্রিদ ৩ (বেঞ্জিমা, বেল-২)

লিভারপুল ১ (সালে)


জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: রিয়েলের হ্যাটট্রিক হয়ে গেল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের। অন্য দিকে একই দিনে আর এক জন হয়ে গেলেন ভিলেন।

ম্যাচ শেষ হতেই মুখ ঢেকে গোলে পোস্টের সামনেই শুয়ে পড়লেন লরিস। লিভারপুলের গোলকিপার। হাউ হাউ করে কাঁদছিলেন। সতীর্থ থেকে প্রতিপক্ষের প্লেয়ার সকলেই তাঁকে স্বান্ত্বনা দিয়ে এলেন। অন্যদিকে ততক্ষণে শুরু হয়ে গিয়েছে উৎসব। তার মধ্যেই একরাশ হতাশায় ডুবলেন লরিস। অনেক রাত হয়তো ঘুমোতে পারবেন না তিনি। অনেকদিনের জন্য হয়তো ভিলেন হয়ে যাবেন তাঁদের কাছে যাঁরা এতদিন তাঁকে মাথায় করে রেখেছিলেন। লাল গ্যালারিও তখন চোখের জলে ভাসছে। নিজেকে সামলে যখন উঠে দাঁড়ালেন লরিস তখনও তাঁর চোখে জল। মাঠ ঘুরে সমর্থকদের কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইলেন। এ বারের মতো হয়ত ক্ষমা করে দেবে সবাই। অপেক্ষা করতে হবে আরও একটা বছরের। তখনও কি এই সুযোগ আসবে?

চোট পেয়ে বেরিয়ে যাওয়া সালাহকে স্বান্ত্বনা রোনাল্ডোর

এই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ফাইনালের জন্য গত কয়েকদিন ধরে কোমর বাঁধছিল কিয়েভ। এখানেই শনিবারে গভীর রাতে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল, রিয়েল মাদ্রিদ ও লিভারপুল। ৯০ মিনিট শেষ অনেক নজির রেখে গেল বিশ্বের সেরা ফাইনাল। না ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর জন্য নয়। বরং এ দিন যেন তিনি বেশ খানিকটা অফ-কালার ছিলেন। গোল করলেন বেঞ্জিমা ও বেল। গোলের পিছনে ভূমিকা রাখলেন লিভারপুল গোলকিপার লরিস। যার ফল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের হ্যাটট্রিক করে ফেলল রিয়েল মাদ্রিদ। ম্যাচ শেষ হল ৩-১ গোলে।

আইপিএল ফাইনালে দুই দলের লড়াই আজ

গোলশূন্য প্রথমার্ধে তিনটি ঘটনা ঘটল। ২৯ মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লেন লিভারপুলের সব থেকে ভরসার কেন্দ্রে থাকা মহম্মদ সালাহ। কাঁদতে কাঁদতেই মাঠ ছাড়লেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, ৩৬ মিনিটে একই ঘটনা ঘটন রিয়েল মাদ্রিদের সঙ্গেও। চোট পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়তে দেখা গেল কারভাজালকে। প্রথম একাদশ থেকে দু’জন ছিটকে যাওয়ায় দুই কোচের হিসেব সবটাই গন্ডোগোল হয়ে গেলেও সামলে নিলেন জিদান।শেষ বেলায় অফ-সাইডের জন্য বাতিল হল বেঞ্জিমার গোল।

চোট পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়ছেন কারভাজাল

দ্বিতীয়ার্ধটা শুরু হল বেঞ্জিমার গোল দিয়েই। বা ঘুরিয়ে বলা যায় লরিসের ভুল দিয়ে। লরিসের হাতে জমা হওয়া বল তিনি এতটাই অবহেলায় ছুড়ে দিলেন যে তা সোজা গিয়ে জমা হল তাঁরই সামনে দাঁড়িয়ে থাকা প্রতিপক্ষের প্লেয়ারের পায়ে। ত্রিসীমানায় আর কেউই ছিল না। সেই চলতি বলেই বেঞ্জিমার গড়ানে শট চলে গেল গোলে। কিন্তু ৫৫ মিনিটেই লিভারপুলকে সমতায় ফিরিয়েছিল মানে। কিন্তু ব্যবধান তো বারলই না বরং হজম করতে হল আরও ২ গোল।

এদিন গ্যারেথ বেলকে বেঞ্চে রেখেই শুরু করেছিলেন জিনেদিন জিদান। ৬১ মিনিটে ইসকোকে তুলে বেলকে নিয়ে আসেন মাঠে। ব্যতিক্রমটা করে যান সেই বেলই। মার্সেলোর ক্রস থেকে বেলের দুরন্ত একটা ভলি গোলকিপারের মাথার উপর দিয়ে চলে যায় গোলে। এগিয়ে যায় রিয়েল মাদ্রিদ। এর পরও সুযোগ এসে গিয়েছিল লিভারপুলের সামনে। কিন্তু সালার শট আর গোলের মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ক্রসপিস। শেষ কাজটি করে যান সেই বেল। অথবা আবারও বলা ভাল লিভারপল গোলকিপার। মার্সেলো থেকে বল পেয়ে দুর থেকেই গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছিলেন বেল। গোলমুখি সেই বল হাত দিয়ে ধরলেও ফসকে ঢুকে যায় গোলে। ৮৩ মিনিটে ১-৩ গোলে পিছিয়ে ফেরা সম্ভব ছিল না সালাহহীন লিভারপুলের। পারেওনি। তাই শেষ হাসি হেসে গেল টিম রিয়েলই।