বার্সেলোনা বনাম বায়ার্ন মিউনিখ: ঐতিহাসিক ম্যাচ শেষে সংশয়ে মেসির ভবিষ্যৎ

বার্সেলোনা বনাম বায়ার্ন মিউনিখ

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বার্সেলোনা বনাম বায়ার্ন মিউনিখ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২০২০-র শেষ আটের এই ম্যাচ লেখা থাকবে ইতিহাসে। বার্সেলোনার সর্বকালের ভয়ঙ্করতম পরাজয়, বায়ার্ন মিউনিখের হাতে ৮-২ গোলে চূড়ান্ত হতাশাজন হার যা নিয়ে তৌলপাড় গোটা ফুটবল বিশ্ব। যে হার যেমন  লেখা থাকবে ফুটবলের ইতিহাসে, তেমনই লেখা থাকবে বায়ার্ন মিউনিখের দুর্দান্ত সাফল্যও। লেখা থাকবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে সবোর্চ্চ গোলের ম্যাচও।  এমন খারাপ পরিনতি এর আগে বার্সার শেষ কবে হয়েছে এই প্রজন্ম তা মনে করতে পারবে না। পারবেন না স্বয়ং লিও মেসিও।

আর বার্সেলোনার এই হারের সঙ্গে যেন প্রশ্ন উঠে গেল মেসির ভবিষ্যৎ নিয়েও। তিনি ব্যর্থ হলেই যে দল ব্যর্থ তা নতুন কিছু নয়। তা বলে ব্যর্থতার সব মাত্রা ছাঁপিয়ে গেল এই ম্যাচ। আট মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার কোনও টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেল বার্সা।

হারের পর বার্সা কোচ সেটিয়েন বলেন, “আমি চালিয়ে যাব কি না সেটা বলার এখনও সময় আসেনি এবং এটি আমার উপরও নির্ভর করছে না। জেরার্ড পিকে বলেন, “ক্লাবে পরিবর্তন দরকার। “কেউই অধরা নয়, আমার কাছে কমপক্ষে। তবে পরিবর্তনের জন্য দলে তাজা রক্ত দরকার। আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে।’’

তবে চারদিকের আলোচনা শুনে মনে হচ্ছে লিওনেল মেসির একাই ম্যাচটি জয়ের কথা ছিল, ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী দলের বিপক্ষে পুরো ক্লাবের ব্যর্থতাকে পিছনে রেখে তাই আঙুল উঠছে শুধু মেসির দিকেই। যা বার্সেলোনা ক্লাব কর্তৃপক্ষের সব থেকে বড় ব্যর্থতা। আসলে ক্লাব নয় মেসি বনাম বায়ার্ন খেলা হবে ভেবে নিয়েছিল সকলে।

তবে প্রশ্ন উঠছে বার্সেলোনা দলের গড় বয়স নিয়ে। সেদিক থেকে দেখতে গেলে বায়ার্ন অনেক তরতাজা এবং অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশেলে তৈরি। তারা যে সাফল্য পাবে সেটাই স্বাভাবিক। একা মেসির কাঁধে বন্দুক রেখে বার্সার ব্যর্থতা ঢাকা যাবে না।

ম্যাচ শুরুর চার মিনিট থেকে শুরু করে ৮৯ মিনিট পর্যন্ত চলে বায়ার্ন মিউনিখের গোল ঢন বার্সার অর্ধে। অসহায় বার্সা না পেরেছে রক্ষণ সামলাতে না গোল তুলতে। চার মিনিটে মুলারের গোল দিয়ে শুরু। ২১ মিনিটে দ্বিতীয় গোল পেরিসিচের। ২৭ মিনিটে তৃতীয় গোল জেনব্রির। ৩১ মিনিটে আবার মুলার।

৬৩ মিনিটে কিমিচ, ৮২ মিনিটে লেওয়ানোডস্কি ৬-২ করে দেন। আর শেষ কাজটি করে দেন ফিলিপ কুটিনহো। ৮৫ ও ৮৯ মিনিটে পর পর গোল করে। এর মাঝে সাত মিনিটে আলবার সেম সাইড গোল ও ৫৭ মিনিটে সুয়ারেজের গোলে বার্সার নামের পাশে দু’গোল লেখা হয়। তবে হারের মাত্রাটা ২-৮, যা লেখা থাকবে বার্সেলোনার হতাশার ইতিহাসে।

(খেলার জগতের আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)