জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: শেন ওয়ার্ন, রড মার্শের পর Andrew Symonds, পর পর মৃত্যুতে শোকের ছায়া অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটে। শুধু অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট নয়, বিশ্ব ক্রিকেটও ভেঙে পড়েছে অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের প্রয়াণের খবরে। ৪৬ বছরের সাইমন্ডস নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। গাড়িতে তাঁর সঙ্গে আর কেউ ছিল না বলেই জানা গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে কুইন্সল্যান্ডের টাউন্সভিলে। শনিবার রাতে তাঁর গাড়ি রাস্তা থেকে গড়িয়ে নিচে পড়ে যায়। আর তাতেই মৃত্যু হয় সাইমন্ডসের। পুলিশের তরফে দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হলেও তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। জানা গিয়েছে দুর্ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, গাড়িটি রাস্তা থেকে গড়াতে গড়াতে নিচে পড়ে। আর তাতেই গুরুতর চোট পান সাইমন্ডস এবং ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। কয়েকমাস আগেই পর পর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের দুই কিংবদন্তি শেন ওয়ার্ন ও রড মার্শ। সাইমন্ডসের মৃত্যুর খবরে মার্ক টেলর বলেন, ‘‘আমার বিশ্বাস হচ্ছে না। ক্রিকেটের জন্য আরও একটি দুঃখের দিন।’’
অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস দেশের হয়ে ২৬টি টেস্ট ও ১৯৮টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন। ১৯৯৮ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত দাপটের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে লড়ে গিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। ২০০৩ ও ২০০৭-এ ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ জয়ী অস্ট্রেলিয়া দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। কুইন্সল্যান্ডের হয়ে ১৭ বছর ডোমেস্টিক ক্রিকেট খেলেছেন। এছাড়া কাউন্টিতে খেলেছেন, গ্লোসেস্টারশায়ার, কেন্ট, ল্যাঙ্কাশায়ার ও সারের হয়ে। আইপিএল-এ খেলেছেন ডেকান চার্জার্স ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে।
জেনস গিলসপি লেখেন, ‘‘ঘুম থেকে উঠেই ভয়ঙ্কর খবর। আমরা সবাই তোমাকে মিস করব বন্ধু।’’ গিলক্রিস্ট লেখেন, ‘‘এটা সত্যিই কষ্টের।’’ শোয়েব আখতার লেখেন, ‘‘বিধ্বস্ত।’’ মাইকেল ভন লেখেন, ‘‘সিমো… এটা সত্যি মনে হচ্ছে না।’’ হরভজন সিংয়ের সঙ্গে মাঙ্কিগেট ঘটনার পর মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে উড়েছিলেন তিনি।
২০০৮-এ তিনি হরভজনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছিলেন যে ভাজ্জি তাঁকে ‘মাঙ্কি’ বলে ডেকেছেন। হরভজন সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন। অনেকদিন পর তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন এই ঘটনা তাঁকে ভেঙে দিয়েছিল। মদ্যপান করতে শুরু করেন খুব বেশি পরিমাণে। তিনি নিজেই বলেছিলেন, তার পর থেকে তাঁর গোটা দুনিয়াটাই হারিয়ে যেতে শুরু করে।
২০০৯-এ মদ্যপানের জন্যই টি২০ বিশ্বকাপ থেকে তাঁকে দেশে ফেরৎ পাঠানো হয়। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তাঁর চুক্তি তুলে নেয়। পরবর্তী সময়ে হরভজনের সঙ্গে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলেছেন সাইমন্ডস। ততদিনে সেই স্মৃতি খানিকটা হালকা হয়ে গিয়েছিল। এর পর ধারাভাষ্যে যোগ দেন এবং সাফল্যের সঙ্গে সেটা করে গিয়েছেন।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক)