Achinta Sheuli-র সাফল্যে শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির

Achinta Sheuli

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: দুরন্ত এক সাফল্য। রবিবার গভীররাতে তখন প্রায় গোটা দেশ ঘুমিয়ে পড়েছে। তার মধ্যেই সোনার পদক পড়ে নিয়েছেন হাওড়ার ছেলেটি। সকালটা গোটা দেশ তথা বাংলার জন্য উৎসবের। Achinta Sheuli-র এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত দেশ। উৎসব বাংলার ঘরে। যে ঘরে নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। যে ঘরে আজও জরির কাজ করে চলে সংসার। যে কাজে এতদিন নিয়মিত হাত লাগিয়েছেন বার্মিংহ্যামে বসে থাকা ছেলেটি। আজ সেই ঘরেই উপচে পড়ছে সংবাদ মাধ্যমের ভিড়। আজ সেই বাড়ির ছেলেকেই চেনে পুরো বিশ্ব। তাঁকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মূ। শুভেচ্ছায় ভড়িয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার নিশ্চই অবস্থা ফিরবে অচিন্ত্যদের। নিভৃতে আধপেটা খেয়ে বড় হওয়া ছেলেটা যে বিশ্ব জয় করেছে।

মায়ের চোখে আজকে জল। এমন নিভৃতে কত জল ফেলেছেন তিনি ছেলের স্বপ্ন পূরণ করতে না পারার যন্ত্রণায়। আজও চোখের জল ঝড়েছে সেই মায়ের। তবে সর্ব সমক্ষে, সাফল্যের অশ্রু। সোনার কথা ভেবে নামেননি অচিন্ত্য, তা তিনি নিজেই জানিয়েছেন। কিন্তু একটা জেদ কাজ করেছিল, বাংলার কুঁড়েঘর থেকে যখন একবার বার্মিংহ্যামের মঞ্চে পৌঁছতে পেরেছেন তখন কিছু করেই ফিরতে হবে। সেই জেদ যে সোনায় সেজে উঠবে তা কে জানত। বাংলার ঘরেই বা সোনার ছেলে লালিত-পালিত হচ্ছিল তা কে খবর রেখেছিল?

এখান থেকেই সুদিনের স্বপ্ন দেখছেন অচিন্ত্য। তাই সোনা জিতেই বলে দিয়েছেন, মাকে আর সেলাইয়ের কাজ করতে দেবেন না। ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়ে পুরো পরিবারটা তলিয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকেই মায়ের লড়াই। সেখানে বসেই খেলার জগতে কিছু করার স্বপ্ন দেখেছিলেন অচিন্ত্য। একরাশ স্বপ্ন থাকলে যে সব বাধাকে অতিক্রম করা যায় তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন অচিন্ত্য। বার বার বাংলার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে এভাবেই উঠে এসেছেন ক্রীড়াবিদরা। অচিন্ত্য তারই বাহক হয়ে এলেন এই প্রজন্মের কাছে।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: FacebookTwitterGoogle