হাসিন জাহান এফআইআর-এর কপি পাঠালেন বিসিসিআইকে

হাসিনহাসিন জাহান

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: হাসিন জাহান-মহম্মদ শামিকে ঘিরে বিতর্ক যেন থামছেই না। প্রতি দিনই নতুন নতুন বিষয় উঠে আসছে সামনে। বুধবারই সুপ্রিম কোর্ট নির্ধারিত কমিটি শামির বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।

সেই মতো বৃহস্পতিবারই শামির বোর্ডের দুর্নীতি দমন বিভাগে হাজির হওয়ার কথা। তার আগেই হাসিনের নতুন পদক্ষেপ। সরাসরি হাসিনের আইনজীবী ফোন করলেন সুপ্রিম কোর্ট নির্ধারিত কমিটির প্রধান বিনোদ রাইকে। শামির বিরুদ্ধে তাঁর যা যা অভিযোগ সেটা তিনি জানাতে চান বিসিসিআইকে।

যা খবর তাতে বিনোদ রাই হাসিনের আইনজীবীকে বলেন, সবিস্তার জানিয়ে তাঁকে ই-মেল করে পাঠাতে। সেই মতো, মহম্মদ শামির বিরুদ্ধে হাসিনের এফআইআর-এর কপি বিনোদ রাইকে ই-মেল করে পাঠানো হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। যাতে রেকর্ড করা না যায় সে কারণে শামি এখন হোয়াটসঅ্যাপ কল করেন বলেও অভিযোগ হাসিনের।

বিসিসিআই-এর দিকে তাকিয়ে শামি

শামির বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রী হাসিনের অভিযোগ ছিল, বহু নারীসঙ্গ। পরিবারকে অবজ্ঞা করা। প্রতিবাদ করায় হাসিনকে হুমকি দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। এর পর তার সঙ্গে ক্রমশ যুক্ত হতে থাকে পাকিস্তানের কোনও মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক, গোপন ফোন খুঁজে পাওয়ার মতো ঘটনা। রেকর্ড করা হাসিন-শামির কথোপকথন বুধবার প্রকাশ্যে আসে। সেখানে শোনা যায়, শামির শান্ত গলা। যেখানে তিনি বলছেন, দু’জনে মুখোমুখি বসে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে। হাসিনকে ক্ষমা চাইতেও বলেন শামি। তখনই উত্তেজিত হয়ে পড়েন হাসিন। পাল্টা জানতে চান, তাঁর অভিযোগগুলো ভুল কি না?

বৃহস্পতিবার কথা মতোই মহম্মদ শামিকে হাজিরা দিতে হল বিসিসিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার সদস্যদের সামনে। দিল্লিতে তিন ঘন্টা ধরে জেরা চলে শামির। কিন্তু সেই জেরার ফল সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি। তবে প্রয়োজন হলে যে তাঁকে আবার যে কোনও সময় ডেকে পাঠানো হতে পারে সেটা স্পষ্ট করেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে শামিকে। বিসিসিআইয়ের দুর্নীতি দমন ইউনিট চাইছে শামির ভূমিকা খতিয়ে দেখতে। গড়াপেটা বা কোনও অনৈতিক কাজের সঙ্গে শামির যোগাযোগ আছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখতে চাইছে বোর্ড।

সাম্প্রতিক অতীতে কোনও ক্রিকেটারের ব্যক্তিগত জীবন এমন ভাবে বেআব্রু হয়ে প্রকাশ্যে আসেনি। স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে লালবাজারে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন হাসিন। পরে তিনি একটি অভিযোগপত্র জমা দেন। সেটিকেই তিনি এফআইআর হিসাবে গ্রাহ্য করতে বলেন। সেই মতো শামির বিরুদ্ধে যাদবপুর থানায় জামিন অযোগ্য একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়।