সুপার কাপ: ১০ জনের বেঙ্গালুরুর কাছে হার মোহনবাগানের

সুপার কাপমোহনবাগান বনাম বেঙ্গালুরু ম্যাচের একটি মুহূর্ত।

 জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: সুপার কাপ ফাইনালে বেঙ্গালুরু এফসি। মিকুর হ্যাটট্রিক আর সুনীল ছেত্রীর গোল। দীপান্দা ডিকার জোড়া গোলও বাঁচাতে পারল না মোহনবাগানকে। শুরু করেই শেষটা করতে পারল না শঙ্করলালের ছেলেরা। শেষ হয়ে গেল সুপার কাছে ডার্বির স্বপ্ন।

দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মোহনবাগান জয়ের স্বপ্ন নিয়েই নেমেছিল কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে। কিন্তু টুর্নামেন্টের কঠিনতম প্রতিপক্ষের কাছে হেরে গেল বাংলার দল। ম্যাচ শুরুর আগে ও ম্যাচের মাঝে দু’বার বড় ধাক্কা খেয়েও সুপার কাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল বেঙ্গালুরু। ম্যাচের আগে প্রথম ধাক্কা এল যখন ওয়ার্ম আপের সময় চোট পেয়ে আর খেলতে পারলেন না জুনান। তাঁর জায়গায় নামলেন হরমনজ্যোত খাবরা। দ্বিতীয় ধাক্কা খায় ম্যাচের ৫০ মিনিটে। যখন লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন নিশু। ৪০ মিনিট ১০ জনে খেলতে হয় বেঙ্গালুরুকে। কিন্তু ম্যাচ দেখে কে বলবে ১০ জনের বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে খেলছিল মোহনবাগান।

একদিন আগেই দুর্বল এফসি গোয়ার কাচে ১-০ গোলে জিতে সুপার কাপের ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। তার পর থেকেই ডার্বির স্বপ্ন দেখতে শুরু করে কলকাতার ফুটবলপ্রেমীরা। এ দিন যদিও লড়াই হল হাড্ডাহাড্ডি। ম্যাচের ফল ৪-২। শুরু থেকেই মোহনবাগানকে চাপে রেখেছিল সুনীল ছেত্রীর দল।

সুপার কাপের ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল

 শুরুটা যদিও করে দিয়েছিল মোহনবাগানই। ৪২ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে মোঘরাবির পাস ধরে দীপান্দা ডিকার গোলমুখি শট বাঁচাতে পারেননি গুরপ্রিত। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমেছিল মোহনবাগান।

৬৩ মিনিটে মিকুর গোলে সমতায় ফেরে বেঙ্গালুরু। পরবর্তীতে এই মিকুর পা থেকেই আসে হ্যাটট্রিক।  তার তিন মিনিটের মধ্যে মিকুর  গোলেই এগিয়ে যায় বেঙ্গালুরু।

৮৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে নিজের হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করেন মিকু। ৯০ মিনিটে সুনীল ছেত্রীর গোলে ৪-১ করে ফেলে বেঙ্গালুরু। শেষ মুহূর্তে ম্যাচে ফেরার সুযোগ না থাকলেও ডিকার গোলে ব্যবধান কমায় মোহনবাগান। সুপার কাপের ফাইনালে মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল-বেঙ্গালুরু এফসি।

হতাশা সবুজ-মেরুন তাঁবুতে। ফাইনাল খেলতে পারলে শঙ্করলাল চক্রবর্তীর কোচিংয়ে সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ারও সুযোগ থাকত একটা। কিন্তু তেমনটা হল না। এ বারের মতো ট্রফির আশা ছেড়েই পরের মরসুমের জন্য ভাবনা-চিন্তা শুরু করতে হবে।