সুপার কাপ বেঙ্গালুরুর, ইস্টবেঙ্গলের হারে আঙুল রেফারির দিকে

সুপার কাপপ্রথম সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন বেঙ্গালুরু এফসি। ছবি: বেঙ্গালুরু এফসির ফেসবুক।

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো:  মোহনবাগানের পর ইস্টবেঙ্গল। আই লিগ, ফেডারেশন কাপের পর সুপার কাপ। অল্পের জন্য হাতছাড়া হয়েছে আইএসএল। কিন্তু সুপার কাপ জিতে সেই হতাশা থেকে মুক্তি পেল দেশের সব থেকে পেশাদার ফুটবল দল বেঙ্গালুরু এফসি। মোহনবাগানকে সেমিফাইনালে চার গোল দেওয়ার পর ইস্টবেঙ্গলকেও চার গোল দিলেন সুনীল ছেত্রীরা।

ডুডুকে প্রথম দলে রাখতে পারেননি সুভাষ-খালিদ জুটি। তবে বেঞ্চে ছিলেন তিনি। ৪-১-৪-১ ফর্মেশনে কেভিন লোবোর নেতৃত্বে দল সাজিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। চোট সারিয়ে বেঙ্গালুরুর প্রথম এগারোয় জায়গা করে নিয়েছিলেন রাহুল ভেকে ও জুয়ানান। এই দু’জন কখনও কোনও গুরুত্বপূর্ণ ফাইনাল মিস করেননি। এ বার করতে হল না। ভাবা হয়েছিল লড়াইটা হাড্ডাহাড্ডি হবে। কলকাতা থেকে ট্রেন ভর্তি করে লাল-হলুদ সমর্থকরা পৌঁছে গিয়েছিলেন ভুবনেশ্বর। কিন্তু হতাশ হয়েই তাঁকে ফিরতে হল।

ম্যাচ শুরুর সাত মিনিটের মধ্যেই সুযোগ এসে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের সামনে। কিন্তু তা কাজে লাগেনি। জনসন  ক্রোমাকে ফাউল করায় সেই সময় ফ্রিকিক পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু কাটসুমির ফ্রিকিক গোলের কাছে পৌঁছয়নি। যে মিকু মোহনবাগানের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করেছিলেন তিনি এদিনও শুরু থেকেই সচল ছিলেন। কিন্তু ৪-১ হারের ম্যাচে শুরুতে এগিয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলই। কিন্তু ২৮ মিনিট গ্যালারির উৎসব হতাশায় ঢেকে গেল ম্যাচ শেষে। ফুটবলে একটা কথা আছে ‘আর্লি গোল’। যেটা নিয়ে বেশি উচ্ছ্বাস না করাই ভাল। দ্রুত এগিয়ে গিয়ে অতি আত্মবিশ্বাস ডুবিয়েছে অনেক দলকেই। ইস্টবেঙ্গলকে কী ডোবাল সেটা অনেক বিচার-বিশ্লেষনের ব্যাপার।

ক্রিস গেইল ঝড় দেখল চণ্ডীগড়

প্রথমার্ধের শেষেই সমতায় ফিরল চ্যাম্পিয়ন দল। সৌজন্যে রাহুল ভেকে। আন মার্ক অবস্থাতেই বক্সের মধ্যে পৌঁছে গিয়েছিলেন সদ্য চোট সারিয়ে দলে ফেরা ভেকে। উড়ে আসা বলে ভেকের শক্তিশালী হেডার চলে যায় ইস্টবেঙ্গল গোলে। প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান তিনি। ঠিক তিন মিনিটের মধ্যে উদান্তর নিশ্চিত গোল নষ্ট না জিতলে তাঁকে ভিলেন বানিয়ে দিতেই পারত। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে বড় ধাক্কা খেতে হল ইস্টবেঙ্গলকে। যখন ফাউল করে মাঠ ছাড়তে হল সামাদকে।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই অফ সাইডের জন্য ক্রোমার গোল বাতিল হয়। ৬৮ মিনিটে বক্সের মধ্যে হ্যান্ডবল করে বেঙ্গালুরুকে পেনাল্টি পাইয়ে দেন গুরবিন্দর সিংহ। পেনাল্টি থেকে গোল করে বেঙ্গালুরুকে এগিয়ে দেন সুনীল ছেত্রী। ৭১ মিনিটে ৩-১ করেন সেই মিকু। ইস্টবেঙ্গলের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন সুনীল ছেত্রীই। রাহুল ভেকের ক্রস থেকে সুনীলের হেড চলে যায় ইস্টবেঙ্গল গোলে। যেখান থেকে আর ফেরার কোনও রাস্তা ছিল না কলকাতার দলের। প্রথম সুপার কাপ গেল বেঙ্গালুরুর ঘরে। ম্যাচ শেষে রেফারির বিরুদ্ধে আঙুল উঠল তাঁর সিদ্ধান্তের জন্য।