সুপার কাপের ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল

সুপার কাপেরসুপার কাপের সেমিফাইনালে নামা আগে ইস্টবেঙ্গল দল।

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: সুপার কাপের প্রথম ফাইনালিস্ট ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু এই ম্যাচের বিশেষত্ব এটা নয়। এই ম্যাচ ঘিরে র্দীঘ দিন ধরেই চলছিল নানান জল্পনা। একই ম্যাচে এফসি গোয়ার পাঁচ ফুটবলার লাল কার্ড দেখায় সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে খেলতে পারবে না নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। তার মধ্যে আবার চার জন ফুটবলার চোটের জন্য খেলতে পারবে না।

সুদূর ভুবনেশ্বরে খেলা হলেও, আগে থেকেই তাতছিল কলকাতা ময়দান। সোমবারের বিকেলে ময়দানে গিয়ে দেখা গেল ইডেনে কেকেআর বনাম দিল্লির খেলার আয়োজনের মধ্যেই সবার মুখে মুখে ঘুরছে ইস্টবেঙ্গল-এফসি গোয়া ম্যাচের খবর। তখনও প্রথমার্ধ শেষ হয়ে গেলেও গোলশূন্য ফলাফল।

সময় নষ্ট করেছে ইস্টবেঙ্গল। ওরা গোল করার পর থেকে সময় নষ্ট করা শুরু করে।— ডেরেক পেরেরা (এফসি গোয়া কোচ)

যদিও আট জন নিয়ে দল নামাননি কোচ ডেরেক পেরেরা। ম্যাচের আগের দিনও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তাঁর দলে এই মুহূর্তে নেই ১১ জন ফুটবলার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১১ জন নিয়েই খেলতে নেমেছিলেন তিনি। যদিও প্রথম দলের পাঁচ জন ছিলেন না সেই দলে। সেই দুর্বল গোয়ার বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গলের গোল করতে লেগে গেল ৭৯ মিনিট। শেষ বেলায় বাঁচালেন সেই ডুডু ওমাগেবেমিই।

২০১৮ কমনওয়েলথ গেমসের হাল হকিকত

১-০ গোলে এফসি গোয়াকে হারিয়ে সুপার কাপের সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গল। ২০ মিনিটেই দু’গোলে এগিয়ে যেতে পারত ইস্টবেঙ্গল। আল আমনা আর ডুডু যদি সহজ সুযোগ নষ্ট না করতেন। কাটসুমির পাস করা বল একদম গোলের সামনেই পেয়ে গিয়েছিলেন ডুডু। সামনে তখন শুধু গোলকিপার কাট্টিমনি। কিন্তু গোলে রাখতে ব্যর্থ হন ডুডু। যদিও তাঁর গোলেই জয় আসে ইস্টবেঙ্গলের। কিন্তু এই ম্যাচ একগোলে জেতার ছিল না।

সুপার কাপের

সুপার কাপে ইস্টবেঙ্গল বনাম এফসি গোয়া ম্যাচের একটি মুহূর্ত।

প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে নিশ্চিত সুযোগ চলে এসেছিল এফসি গোয়ার সামনে। ফেরান কোরোমিনাসের সোলো দৌড় পৌঁছে গিয়েছিল পেনাল্টি বক্সের মধ্যে। শটও নিয়েছিলেন নিশ্চিত গোলের ঠিকানা লেখা বলে। কিন্তু চুলোভার গোল লাইন সেভ তা আর গোলে পরিণত হতে দেয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে ডুডুরই আবার জোড়া সুযোগ নষ্ট। শেষ পর্যন্ত গোলের খাতা খোলেন ডুডু যখন কাটসুমির করস বাঁক খেয়ে ঢুকে বক্সের মধ্যে। মহম্মদ আলি সেই বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন। তাঁর পাস দিয়েই ডুডুর শট কাট্টিমনিকে কাটিয়ে চলে যায় গোলে।

প্রথমার্ধে ফেরান কোরোমিনাসের গোল মিসটা এই ম্যাচে আমাদের জন্য টার্নিং পয়েন্ট। সঙ্গে ডুডু ওর অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েছে।—খালিদ জামিল (ইস্টবেঙ্গল কোচ)

ম্যাচ শেষের ১০ মিনিট আগে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন ডুডু। যাতে টিম ম্যানেজমেন্টের কপাল চিন্তার ভাঁজ পড়তেই পারে। এর পরই গোয়ার অধিনায়ক এডু বেদিয়া জোড়া ক্রোমাকে পিছন থেকে মেরে হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। সঙ্গে ছিল ছ’মিনিটের বাড়তি সময়ও। কিন্তু ১০ জনের গোয়ার উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। সঙ্গে ব্যবধান বাড়িয়েও নিতে পারেনি। বরং অতিরিক্ত সময়ে ডেরেক পেরেরার ছেলেরাই নিশ্চিত গোলের সুযোগ নষ্ট করে দু’বার। ইস্টবেঙ্গলের জয়ের পর অনেকেই সুপার কাপের ফাইনালে ডার্বির স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। কাল দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে মোহনবাগান-বেঙ্গালুরু এফসি। যদিও বেঙ্গালুরু বধ সহজ হবে না কলকাতার এই ক্লাবের জন্য।