সন্তোষ ট্রফির দ্বিতীয় ম্যাচেও দুরন্ত জয় বাংলার

সন্তোষ ট্রফি, গ্রুপ ‘এ’

মহারাষ্ট্র ১ (লিয়েন্ডার)

বাংলা ৫ (মনতোষ, জিতেন, বিদ্যাসাগর-২, রাজন)

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো:  সন্তোষ ট্রফির প্রথম দিন জোড়া গোল করেছিলেন সুমিত৷ আর দ্বিতীয় ম্যাচে সুমিত গোল না পেলেও সেই কাজটি করে গেলেন বিদ্যাসাগর. ফুটবল মাঠের বিদ্যাসাগরের মতই কাজ করলেন তিনি৷ নিজের নামের পাশে লিখে নিলেন জোড়া গোল৷ সব কোচদেরই বলতে শুনেছি, টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ সব সময়ই খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ তার উপর অনেক কিছুই নির্ভর করে৷ আসল নির্ভর করে মানসিকতা৷ যা প্রথম ম্যাচেই তৈরি করে নিয়েছিলেন জিতেনরা মণিপুরকে হারিযে৷

বাংলার একদল অপরিচিত মুখ নিয়েই ছুটছে বাংলা দল। সন্তোষ ট্রফিতে বাজিমাত তাঁদেরই। যেন ছুটছে অশ্বমেধের ঘোরা৷ প্রথম ম্যাচে মণিপুরকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পর আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে রয়েছে রঞ্জন চৌধুরীর ছেলেরা। আর তার প্রমাণ আরও একবার পাওয়া গেল মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ম্যাচে। পিছিয়ে পড়ে যে ভাবে ঘুরে দাঁড়াল বাংলার ছেলেরা তা দেখে মুগ্ধ অনেক নামজাদাই।

মণিপুরের বিরুদ্ধে সুমিত দাসের জোড়া গোল ও বিদ্যাসাগর সিংহর শেষ দিকের গোলে বাজিমাত করেছিল বাংলা। সহজ ছিল, কারণ শুরুতেই গোল তুলে নিয়ে এগিয়ে গিয়েছিল তাঁরা। বুধবার শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল বাংলা। গ্যালারি শূন্য হাওড়া স্টেডিয়ামে বাংলার মোটিভেশন ছিল কলকাতার বড় ক্লাবের প্রতিনিধিরা৷ কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল দল।

ইস্টবেঙ্গলে এখন জোড় ঝামেলা 

এ দিন হাওড়া স্টেডিয়ামে শুরুতেই গোল করে মহারাষ্ট্রকে এগিয়ে দেন লিয়েন্ডার ধার্মাই। ম্যাচ তখন সবে আট মিনিট গড়িয়েছে। শুরুতেই গোল হজম করে প্রথমার্ধে আর সমতায় ফিরতে পারেনি বাংলা। সুমিত, জিতেন, রাজনদের সামনে ছিল আরও একটা মোটিভেশন। স্টেডিয়ামে বসে খেল দেখছিলেন আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায়। ছিলেন ইস্টবেঙ্গলের সর্বময় কর্তা দেবব্রত সরকারসহ বিভিন্ন ক্লাবের শীর্ষ কর্তারা। কে বলতে পারে সন্তোষ ট্রফি শেষে বড় ক্লাবেই জায়গা হতে পারে এই দলের সফল ফুটবলারদের।

এদিন বাংলা প্রথমার্ধ শেষ করেছিল ১-০ গোল পিছিয়ে থেকেই। ড্রেসিংরুমে কোচের ভোকাল কী ছিল। যার ফল একের বদলা পাঁচ গোল পর পর হজম করতে হল মহারাষ্ট্রকে। কোচ একটাই কথা বলেছিলেন, ‘‘এখান থেকেও ম্যাচ জেতা বড় কোনও ব্যাপার নয়৷ আমরাও পারব৷’’ ৫৫ মিনিটে মনোতোষ চাকলাদারের গোলে সমতায় ফেরে বাংলা। এর পর মহারাষ্ট্রের রক্ষণকে শেষ পর্যন্ত নাস্তানাবুদ হতে হয় বাংলার ছেলেদের হাতে। ৬২ মিনিটে ২-১এ দলকে এগিয়ে দেন অধিনায়ক জিতেন মূর্মূ।

৭৯ ও ৮২ মিনিটে পর পর গোল করে যান বিদ্যাসাগর সিংহ। টুর্নামেন্টে বিদ্যাসাগরের তিন গোল হয়ে গেল৷ ম্যাচের নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার ঠিক এক মিনিট আগে রাজন বর্মনের গোলেই শেষ হয় খেলা। গ্রুপ ‘এ’তে শেষ ম্যাচে বাংলার প্রতিপক্ষ চণ্ডীগড়।