শুবমন, কার্তিকের দাপটে ইডেনে হার ধোনিদের

কলকাতা নাইট রাইডার্স

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: শুবমন, কার্তিক গুরুত্বপূর্ণ জয় এনে দিল নাইটদের। পরের পর্বে যেতে ধরে রাখতে হত জয়ের ধারা। ধোনিদের বিরুদ্ধে জিতে আশা জিইয়ে রাখল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ১৪ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটে বাজিমাত করল কলকাতা। যার জন্য অবশ্যই প্রশংসা পেতে পারেন অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক। ঘরের মাঠে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেকেআর।

ব্যাট হাতে শুরুটা ভালই করেছিল চেন্নাই সুপার কিংস। শেন ওয়াটসন ও ফাফ দু প্লেসির ওপেনিং জুটি চেন্নাইকে পৌঁছে দিয়েছিল দলগত ৪৮ রানে। যেটা খুব শক্ত ভিত অবশ্যই ছিল না চেন্নাইয়ের জন্য। ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলেই পীযুষ চাওলার বলে বোল্ড হয়ে প্যাভেলিয়নে ফিরে যান দু প্লেসি। ১৫ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। আরও এক ওপেনার শেন ওয়াটসন ২৫ বলে ৩৬ রান করে আউট হন।

এর পর হাল ধরেন সুরেশ রায়না ও অম্বাতি রায়ডু। কিন্তু বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি অম্বাতি। ২১ রান করে আউট হন তিনি। কিন্তু  রায়নার সঙ্গে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান সেই এমএস ধোনি। রায়না ৩১ রানে আউট হলেও ২৫ বলে ৪৩ রান করে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক। ৪টি ওভার বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। রবীন্দ্র জাডেজা ১২ বলে ১২ রান করে প্যাভেলিয়নে ফেরেন তিনি। কর্ণ শর্মাকে রানের খাতাই খুলতে হয়নি। ২০ ওভারে চেন্নাইয়ের ইনিংস শেষ হয় ১৭৭/৫এ।

একটা সময় মনে হচ্ছিল হেরেই যাবে নাইটরা

টি২০র জন্য লক্ষ্যটা নেহাৎই কম ছিল না। কিন্তু কেকেআর খুব সহজেই জয়ের পথে হাঁটল। আর  কলকাতাকে ঘরের মাঠে জয়ের দিকে নিয়ে গেলেন শুবমন  গিল  ও অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক। শুরুতেই ক্রিস লিনের ১২ রান করে আউট হওয়াটা ধাক্কা ছিল দরলের জন্য। আর এক ওপেনার সুনীল নারিনের সঙ্গে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৬ রান করে প্যাভেলিয়নে ফেরেন রবিন উথাপ্পা। সুনীল নারিন ২০ বলে ৩২ রান করে আউট হন।

শুবমন

এর পর কলকাতা ইনিংসের হাল ধরতে নামেন শুবমন গিল। রিঙ্কু সিং ১৬ রান করে আউট হওয়ার পর দীনেশ কার্তিক আর শুবমনই জয়ের কাজটি শেষ করেন। ৩৬ বলে ৫৭ রান করে শুবমন ও ১৮ বলে ৪৫ রান করে কার্তিক অপরাজিত থাকেন। ১৭.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রান তুলে নেয় কলকাতা। ম্যাচের সেরা হয়েছেন সুনীল নারিন।