জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা শামির বিরুদ্ধে

মহম্মদ শামি, বিসিসিআইতখন সুখের সময়।

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে স্বামীর। আর তা নিয়ে কথা বলতে গেলেই জুটেছে শারীরিক নির্যাতন, হুমকি। আর সে জন্যই জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা শামির বিরুদ্ধে।

সংবাদমাধ্যমের সামনে এমন অভিযোগই করেছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের তারকা পেসার মহম্মদ শামির স্ত্রী হাসিন জাহান। এর পর বিষয়টি নিয়ে তিনি কলকাতার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন বুধবার। বৃহস্পতিবার লিখিত ভাবে অভিযোগ জানান। সেই অভিযোগপত্রকে এফআইআর হিসাবে দেখার অনুরোধও জানিয়েছিলেন হাসিন। এর পর শুক্রবার সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই শামির বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

ওই ধারাগুলির মধ্যে রয়েছে— ৩৯৮এ (বধূ নির্যাতন), ৩২৩ (মারধর), ৩০৭ (খুনের চেষ্টা), ৩৭৬ (ধর্ষণ), ৫০৬ (ভীতি প্রদর্শন), ৩২৮ (বিষ দিয়ে হত্যার চেষ্টা) এবং ৩৩৪ (অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চেষ্টা)। যে সব ধারায় শামির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তাতে যে কোনও সময়ে তাঁকে লালবাজারে ডেকে পাঠাতে পারে পুলিশ। তদন্তে অসযোগিতা করলে গ্রেফতারও করা হতে পারে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।

এর আগে শামির মোবাইলের ফেসবুক মেসেঞ্জারে এক মহিলার সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের অংশ বিশেষের স্ক্রিন শট নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন হাসিন। তার পর সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছিলেন, অনেক সহ্য করেছেন তিনি। আর করবেন না। অভিযোগ ছিল, একাধিক নারীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে শামির। এ নিয়ে তিনি বহু বার কথা বলেছেন স্বামীর সঙ্গে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। সম্প্রতি নাকি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফেরার পথে দুবাইতে এক মহিলাকে নিয়ে সেখানকার হোটেলে রাত কাটিয়েছেন শামি। তবে, সেই ফেসবুক পোস্ট পরের দিনই মুছে ফেলা হয়।

এর পর বুধবার বিকালে আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে লালবাজারে গিয়েছিলেন হাসিন। দেখা করেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের সঙ্গে। পরের দিন বিকালে তিনি পুলিশ কমিশনারকে উদ্দেশ করে একটি অবিযোগপত্রও জমা দেন রাজীবকুমারের কাছে। জানান, এটাকেই যেন এফআইআর হিসাবে দেখা হয়। এর পর এ দিনই শামির বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হল।

যে দিন প্রথম লালবাজারে গিয়েছিলেন হাসিন, সে দিনই সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ টুইট করেছিলেন শামি। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, ‘এই যা সব খবর আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চলছে, এগুলোর সবই মিথ্যে। আমার বিরুদ্ধে এটা বড়সড় এক চক্রান্ত। আমার খেলা খারাপ করা এবং আমার বদনাম করাই এ সবের উদ্দেশ্য।’ মামলা রুজু হওয়ার পর তাঁর কোনও মন্তব্য জানা যায়নি।