বার্সেলোনা ওপেন জিতে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন রাফায়েল নাদালের

বার্সেলোনা ওপেনবার্সেলোনা ওপেন চ্যাম্পিয়ন রাফা।

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বার্সেলোনা ওপেন জিতে তিনি প্রমাণ করে দিলেন এভাবেও ফিরে আসা যায়। টেনিস বিশ্বকে দেখালেন রাফায়েল নাদাল। কিছুদিন আগেই সব থেকে বেশি বয়সে বিশ্বের এক নম্বর হয়ে টেনিস বিশ্বে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিলেন রজার ফেডেরার। তখন কিছুটা ব্যাকফুটে ছিলেন রাফা। কিন্তু তিনি ফিরলেন স্বমহিমায়। আর দেখা গেল তাঁর সেই অভিনব সেলিব্রেশন। যা কখনও কাউকে করতে দেখা যায়নি।

রাউন্ড অফ ৩২ থেকে শুরু করে ফাইনাল। তাঁর সামনে কেউই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি। গত বুধবার নেমেছিলেন বার্সেলোনা ওপেনের প্রথম ম্যাচে। সেখানে তিনি স্ট্রেট সেটে হারিয়ে দেন কার্বেলস বায়েনাকে। ম্যাচের ফল ৬-৪, ৬-৪। সহজেই পৌঁছে যান রাউন্ড অফ ১৬তে। সেখানে তিনি ৬-১, ৬-৩এ হারান গার্সিয়া লোপেজকে। প্রথম থেকেই বোঝা গিয়েছিল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যেই কোর্টে নেমেছেন তিনি। যেমন ভাবা তেমন কাজ।

অধিনায়ক শ্রেয়াস দায়িত্ব নিতেই

কোয়ার্টার ফাইনালে ক্লিজেনকে প্রথম সেটে তো দাড়াতেই দেননি। ৬-০তে উড়িয়ে দেন তিনি। দ্বিতীয় সেটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে সফল হননি প্রতিপক্ষ।৭-৫ হারতে হয় তাঁকে। সেমিফাইনালেও তার অন্যথা হয়নি। গফিনকে ৬-৪, ৬-০তে হারিয়ে ফাইনালে যাওয়ার পাশাপাশি ইনিজের নামের পাশে রেকর্ডও লিখে নিয়েছেন শনিবার। ক্লে কোর্টে ৪০০ ম্যাচ জেতার রেকর্ড।

রবিবার ফাইনাল যে তাঁরই নামে লেখা হবে তার ইঙ্গিত প্রথম ম্যাচ থেকেই দিয়ে রেখেছিলেন নাদাল। যেমন ভাবা তেমনই কাজ। স্টেফানো সিতসিপাস নাদালের সামনে দাঁড়াতেই পারলেন না। ৬-২, ৬-১এ হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন নাদাল। এই নিয়ে ১১তম বার্সেলোনা ওপেন জিতে নিলেন তিনি। ম্যাচ শেষে মজা করে রাফা বলেন, ‘‘বার্সেলোনা ওপেন জেতার সব থেকে খারাপ দিক হল, এর মানে আমার বয়স বাড়ছে।’’ এর সঙ্গে ৩১ বছরের নাদাল ধরে রাখলেন তাঁর এক নম্বর স্থানও।

এ বার নাদালের জিতে সেলিব্রেশনের কথায় আসা যাক। এমনটা তিনি অতীতেও করেছেন। ট্রফি নেওয়ার পর খালি গায়ে শুধু শর্টস পরে সুইমিং পুলে ঝাঁপ। সঙ্গে বল বয়রা। সবার সঙ্গে হাত মেলাতে মেলাতে তিনি এগিয়ে যান পুলের দিকে। তার পরই ঝাঁপ। পরে বলেন, ‘‘আমি খুব খুশি জিতে কারণ প্রতিপক্ষ কঠিন ছিল।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সিতসিপাস দারুণ ভবিষ্যৎ। দারুণ ফাইনাল ছিল। পুরো সপ্তাহটাই খুব উপভোগ করেছি।’’ এক সপ্তাহ আগেই তিনি তাঁর ১১তম মন্টে-কার্লো ট্রফিটি জিতেছিলেন।