পিএসজি-র বিরুদ্ধে ৩-১ গোলে রিয়েল জয় মাদ্রিদের

শুরু করেছিল পিএসজি শেষ করল রিয়েল মাদ্রিদ। সান্তিয়াগো বেনার্বিউয়ের মাঠে চমকটা দিয়ে দিয়েছিলেন পিএসজির র‌্যাবিওট। ম্যাচের ৩৩ মিনিটে এমবাপে আসলে ক্রসটা করেছিলেন বক্সের মধ্যে পৌঁছে যাওয়া নেইমারকে লক্ষ্য করেই। কিন্তু তাঁর গায়ের কাছে তখন সেটে রয়েছেন নাচো। নেইমার গোল করতে পারতেন না। মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলে সেই বল ছোট্ট টোকায় বক্সের মধ্যেই ব্যাকপাস করে দেন নেইমার। একদম ফাঁকায় দাঁড়িয়েছিলেন র‌্যাবিওট। বাঁ দিক থেকে একটা জোড়াল শট নাভাসের মাথার উপর দিয়ে চলে যায় গোলে। শুরুতেই ঘরের মাঠে পিছিয়ে পড়ে আত্মবিশ্বাসে অবশ্য কোনও ঘাটতি হয়নি রিয়েল মাদ্রিদের। যার ফল প্রথমার্ধের শেষেই পেনাল্টি থেকে গোল তুলে নেওয়া।

পেনাল্টি থেকে গোল করে রিয়েল মাদ্রিদের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ১০০তম গোলটিও এর মধ্যেই সেরে ফেললেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। বক্সের মধ্যে ক্রুসকে ফেলে দিয়েছিলেন সেলসো। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি সিআর সেভেন। আর প্রথমার্ধ ১-১ গোলে শেষ করে ম্যাচে ঢুকে পড়েছিল রিয়েল মাদ্রিদ। দ্বিতীয়ার্ধে পুরোটাই পাওয়া অন্য মাদ্রিদকে। সঙ্গে ছন্দে ফেরা রোনাল্ডোকেও। যাঁর কাছে অনেকটাই অফ-কালার দেখাল নেমার জুনিয়রকে। শুরুতে গোলের লক্ষ্যে কয়েকবার যেতে দেখা গেলেও পরে হারিয়েই গেলেন ম্যাচ থেকে।

লড়াইটা যে দুই ব্যাক্তিত্বের ছিল না, ছিল দুই দলের তা প্রমাণ হয়ে গেল ম্যাচ শেষে। ৭৯ মিনিটে লুকাস ভাজকেজকে তুলে মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছিলেন রিয়েল কোচ জিনেদিন জিদান। যার ফল পর পর গোলের বল সাজিয়ে দেওয়া। ৮৩ মিনিটে পরিবর্তে নামা আসেনসিওর একটা লো ক্রসে গোল করে যান রিয়েল তারকা। তার ঠিক তিন মিনিটের মধ্যে আবারও সেই আসেনসিও মাপা ক্রসে মার্সেলোর জোড়াল শট। ৮৬ মিনিটে ৩-১এ পিছিয়ে পড়ে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি পিএসজি।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ১৬-এর প্রথম লেগ ঘরের মাঠে জিতে কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকল রিয়েল মাদ্রিদ।