মহিলা সুইমারের ছবি তুলে নির্বাসিত প্যারা সুইমার প্রশান্ত কর্মকার

প্যারা অলিম্পিক কমিটি অফ ইন্ডিয়া তিন বছরের জন্য নির্বাসিত করল প্রশান্ত কর্মকারকে। গত বছরের ঘটনা। জয়পুরে চলছিল ন্যাশনাল প্যারা সুইমিং চ্যাম্পিযনশিপ। সেখানেই অংশ নিতে গিয়েছিলেন প্রশান্ত কর্মকারও। কিন্তু মহিলাদের সুইমিংযের ভিডিও তুলতে গিয়ে ধরা পড়ে যান তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয় পিসিআই-এ। শেষ পর্যন্ত শাস্তি পেলেন প্রশান্ত।

পিসিআই এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রশান্ত তাঁরই এক সতীর্থকে ক্যামেরা দিযে বলেছিলেন এক মহিলা সাঁতারুর ভিডিও তুলতে। এর পর সেখানে উপস্থিত মহিলা প্রতিযোগিদের বাবা-মায়েরা প্রতিবাদ করায় প্যারা সুইমিং কমিটির চেয়ারম্যান ডক্টর ভিকে দাবাসকে ডেকে আনা হয়। সেখানেই সেই ব্যাক্তি জানান তিনি প্রশান্ত কর্মকারের নির্দেশেই এই কাজ করছিলেন। তিনিই বলেছিলেন ভিডিও করতে।

সেই ব্যাক্তিকে সেই মুহূর্তে সরিয়ে দেওয়া হলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রশান্ত নিজেই ট্রাইপড বসিয়ে মহিলা সুইমারদের ভিডিও শ্যুট করতে শুরু করেন। আবার প্রতিযোগিদের বাবা-মায়েরা অভিযোগ করেন। কারণ তাঁরা প্রশান্ত সরে যেতে বললেও তিনি শোনেনি। তাঁকে ভিডিও ডিলিট করতে বলা হলে বচসা শুরু হয় কারণ তিনি তা করতে রাজি হননি। তার পরই প্রশান্তর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হয়। তার উপর নির্ভর করেই তাঁকে নির্বাসনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।

মেজর ধ্যানচাঁদ পুরস্কার, ভীম অ্যাওয়ার্ড, দুবারের সুইমার অফ দি ইয়ার হওয়া প্রশান্তর থেকে এমনটা হয়তো কেউই ভাবেননি। এর পর চেয়ারম্যান প্রশান্ত কর্মকারকে ডেকে পাঠান। সেখানেও গিয়েও প্রশান্ত পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, কেন তাঁর লোককে ভিডিও করতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। এর পর লিখিত অভিযোগ দেখতে চান প্রশান্ত। মহিলা প্রতিযোগিদের পরিবারের তরফে সঙ্গে সঙ্গে তা দিয়ে দেওয়া হয়। এর পরও নিজেকে অর্জুন অ্যাওয়ার্ডি বলে ভিডিও ডিলিট করবেন না বলে দাবি করতে থাকেন প্রশান্ত।

সেই সময় প্রশান্তকে আটক করলেও পরে ভিডিও ডিলিট করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনিই প্রথম ভারতীয় সুইমার যিনি ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে পদক জিতেছিলেন।