জয়ে ফিরল কেকেআর, পুরনো ঘরের মাঠে হার গম্ভীরের

কেকেআরকেকেআর

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: গম্ভীর বাহিনীর বিরুদ্ধেই শেষ পর্যন্ত জয়ে ফিরল কেকেআর । ঘরের মাঠে জয় দিয়ে আইপিএল শুরু করেছিল নাইটরা। কিন্তু পর পর দুটো ম্যাচে হারের মুখ দেখতে হয়েছিল। ঘরে ফিরেও হারতে হয়েছিল হায়দরাবাদের কাছে। কিন্তু আজকের ম্যাচ ছিল অন্যমাত্রার। উল্টোদিকে যখন দলের প্রাক্তন অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর তখন যেন জেদটাও ছিল অনেক বেশি। নির্ধারিত ওভার শেষ হওয়ার আগেই  ৭১ রানে ম্যাচ জিতে নিল কেকেআর।

এ বার গম্ভীরকে দলে রাখেনি কেকেআর কর্তৃপক্ষ। নিলামে তিনি ফিরে গিয়েছেন তাঁর হোম টিমে। সেখানেই তাঁর হাতেই অধিনায়কের দায়িত্ব। কিন্তু সেই গম্ভীরের বিরুদ্ধে হারটা কলকাতার জন্য লজ্জারই হাত থেকে বাঁচালেন বোলাররা। দারুণ বল করে লক্ষ্যে পৌঁছতে দিলেন না দিল্লি ডেয়ার ডেভিলসের ব্যাটসম্যানদের।

সোমবার ইডেনে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন গৌতম গম্ভীর। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে কলকাতা ন’উইকেট হারিয়ে ২০০ রান তোলে। ওপেন করতে নেমে এ দিন ফ্লপ সুনীল নারিন। ৪ বল খেলে মাত্র ১ রান করে ফিরে যান প্যাভেলিয়নে। কিন্তু উল্টোদিকে টিকে থাকেন ক্রিস লিন। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ৩১ রানের ইনিংস। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত রবিন উথাপ্পার। মাত্র ১৯ বলে ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। দুই ব্যাটসম্যানই কেকেআর-এর ভিত তৈরি করে দিয়েছিল।

সুপার কাপের প্রথম ফাইনালিস্টের নাম ইস্টবেঙ্গল

যেখানে লিন ও উথাপ্পা ছেড়েছিলেন সেখান থেকেই কেকেআর ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন নীতিশ রানা। একমাত্র তিনিই হাফ সেঞ্চুরির গণ্ডি পেড়তে সক্ষম হন। ৩৫ বলে তিনি ৫৯ রানের ইনিংস খেলেন। অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক ১৯ রান করে আউট হওয়ার পর অ্যান্ড্রু রাসেল বাকি কাজটি করে দেন। মাত্র ১২ বলে ৪১ রান করেন তিনি। ৬টি ওভার বাউন্ডারি হাঁকান। এর পর আর কেউই দাঁড়াতে পারেননি।দিল্লির হয়ে তিনটি উইকেট নেন রাহুল তেওয়াটিয়া।দুটো করে উইকেট ট্রেন্ট বোল্ট ও ক্রিস মরিসের।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৪.২ ওভারে ১২৯ রান করে গুটিয়ে যায় দিল্লির ইনিংস। ব্যাট হাতে সাফল্য না এলেও বল হাতে দারুণ সফল সুনীল নারিন। ৩ উইকেট নেন তিনি। ৩ উইকেট নেন কুলদীপ যাদবও। বাকি চারটি উইকেট চাওলা, রাসেল, শিবম ও কুরানের। দিল্লির হয়ে ব্যাট হাতে সফল ঋশভ পন্থ (৪৩) ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (৪৭)। ম্যাচের সেরা হয়েছেন কলকাতার নীতিশ রানা।