চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে রিয়েল মাদ্রিদ, বিদায় বার্য়ান মিউনিখের

চ্যাম্পিয়ন্স লিগজোড়া গোলের নায়ক বেঞ্জিমা।

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের বড় লড়াই শেষ।  ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজতে মাঠের মধ্যে মুখ ঢেক এক দিকে শুয়ে মুলার অন্যদিকে রোনাল্ডো। দু’জনের যদিও কারণ আলাদা। একজন আনন্দে একজন যন্ত্রণায় মুখ ঢেকেছেন। নিজের হাঁটুতে ভড় দিয়ে কেঁদে ফেললেন কিমিচ। তিন মিনিটেই গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন যে তিনি। তাও ফাইনালের দরজা খোলা হল না। কষ্টটা যেন আরও বেশি কিমিচের। আর অন্যদিকে একলা গোল পোস্টের সামনে বসেই থাকলেন বার্য়ান গোল রক্ষক ভেন উরিচ। এই হারের জন্য তো ভিলেন হয়ে গেলেন তিনিই। যে ভাবে প্রথম গোলটি হজম করলেন যা হয়তো অনেক রাতের ঘুম কেড়ে নিল তাঁর।

প্রথম লেগের ম্যাচে এগিয়ে থাকাটাই বাড়তি আত্মবিশ্বাস ছিল রিয়েল মাদ্রিদের। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের ফিরতি লেগের শুরুটা সেভাবে করতে পারলেন না রোনাল্ডোরা। এদিন যেন একটু ফিঁকেই দেখাল রোনাল্ডোকে। তাই বেশ বেগ পেতে হল বার্য়ান মিউনিখের বিরুদ্ধে। তবুও প্রথম সেমিফাইনালে জিতে থাকার ফল পেল রিয়েল। ফিরতি লেগ ২-২ গোলে ড্র করেই ফাইনালে পৌঁছে গেল রিয়েল মাদ্রিদ।

দেখুন প্রথম সেমিফাইনালে কেমন খেলেছিল দুই দল

২৫ এপ্রিল ২-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছিল বার্য়ানকে। ১ মে ম্যাচ শেষ হল ২-২ গোলে। এদিনটি বার্য়ানের হলেও শেষ হাসি হাসা হল না জার্মান দলের। প্রথমে পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফিরল রিয়েল মাদ্রিদ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর গোলের ব্যবধান বাড়াতে পারলেন না মুলাররা। ৪-৩এ বায়ার্নের বিরুদ্ধে সেমিফাইনাল জিতে সপ্তমবার ফাইনালের দরজা খুলে ফেলল রিয়েল। পাঁচ মিনিটের অতিরিক্ত সময়টা যেন দমফাঁটা উত্তেজনায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল গ্যালারি। কিন্তু শেষ বাঁশি বাজেতেই উচ্ছ্বাসের বিস্ফোরণ ঘটল।

রিয়েলের ঘরের মাঠে গোল করে বার্য়ান মিউনিখকে এগিয়ে দিয়েছিলেন কিমিচ। তোলিসোর ক্রস ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন রামোস। সেই সুযোগেই কিমিচের ছোট্ট টোকা চলে যায় গোলে। ১১ মিনিটেই গোল শোধ বেঞ্জিমার। মার্সেলোর সুপার ক্রস থেকে বেঞ্জিমার মাপা হেড চলে যায় গোলে। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-১ গোলে।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা ছিল রিয়েলের ঠিক যেভাবে প্রথমার্ধের শুরুটা করে দিয়েছিল বায়ার্ন। ৪৬ মিনিটে একটা বড় ভুল করে বসলেন বায়ার্ন গোলকিপার। যার জন্য হয়তো তিনি ভিলেন হয়ে গেলেন সমর্থকদের কাছে। বক্সের মধ্যে থেকেই বায়ার্নের তোলিসো নিজের গোলকিপারকেই ব্যাকপাস করে দিয়েছিলেন। পিছন থেকে দৌড়ে আসছিলেন বেঞ্জিমা। সেই বল লক্ষ্য করে যখন উরিচ গোল ছেড়ে বেরিয়ে আসেন ততক্ষণে নিজের স্পিড বাড়িয়েছেন বেঞ্জিমা। এবং ব্যাকপাস করা বলের নাগাল পান না গোলকিপার। ফাঁকা গোলের দিকে গড়াতে শুরু করে সেই বল। স্পিড বাড়িয়ে শেষ টাচটি করে যান বেঞ্জিমা। রিয়েল মাদ্রিদের দুটো গোলই এল তাঁর পা থেকে।

৬৩ মিনিটে সমতায় ফেরে বায়ার্ন মিউনিখ। এর আগে সহজ সুযোগ নষ্ট করা খেসারত দিলেন হামেস রডরিগেজ। প্রাক্তন ক্লাবের বিরুদ্ধে গোল করে বর্তমান ক্লাবকে সমতায় ফেরালেন ঠিকই কিন্তু কোনও কাজে লাগল না। ফাইনালের দরজা খোলা হল না। তিনি সপ্তম ফুটবলার যিনি রিয়েল মাদ্রিদের পক্ষে ও বিপক্ষে গোল করলেন। তাঁর আগে রয়েছেন, ডেভিড বেকহ্যাম, আলভারো মোরাতা, রুদ ফান নিস্তেলরয়, ফার্নান্দো মোরিয়েন্তেস, আর্জেন রবেন ও ইভান জামোরানো।