ইস্টবেঙ্গলে খালিদের মাথায় বসলেন সুভাষ

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: খালিদের মাথায় বসিয়ে দেওয়া হল সুভাষ ভৌমিককে। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব চেয়েছিল খালিদ জামিল নিজেই ছেড়ে যান। বার বার কোচ বদলের দায় এবার আর নিজের ঘারে নিতে চাননি কর্তারা। কিন্তু খালিদও একগুয়ে। নিজে থেকে ছেড়ে যাওয়ার কাজটি তিনি করলেন না। বরং ক্লাবে তাঁকে নিয়ে মিটিংয়ের খবর শুনেও চুপচাপই থাকলেন।

এমনিতে খুব বেশি মিডিয়া ফ্রেন্ডলি নন খালিদ। সোমবারের সন্ধ্যের বেজে গেল তাঁর ফোনও। ততক্ষণে অবশ্য খবর পেয়ে গিয়েছেন তাঁর মাথায় বসিয়ে দেওয়া হয়েছে বাংলাদে পোড় খাওয়া কোচ সুভাষ ভৌমিককে। যাঁর হাত ধরে অতীতে দু’বার আই লিগ এসেছিল ইস্টবেঙ্গলের ঘরে। এ বার তাঁকে সামনে রেখেই সুপার কাফে সাফল্যের আশায় ক্লাব।

‘‘সুপার কাপের কথা ভেবেই খালিদ জামিলের সঙ্গে যুগ্মভাবে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে সুভাষ ভৌমিককে। দু’জনে মিলেই দল চালাবে।’’ কল্যাণ মজুমদার

যদিও বলা হচ্ছে দায়-দায়িত্ব দু’জনেরই সমান সমান। দু’জনে মিলে দলটাকে চালাবেন। খালিদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন না জানিয়ে দিয়েছিলেন ম্যানেজার তথা আরও এক ইস্টবেঙ্গলের হয়ে আই লিগ জয়ী কোচ মনোরঞ্জয় ভট্টাচার্যও। তাঁকে শেষ পর্যন্ত সরে যেতে হল। সুভাষের আগমনে বিদায় হয়ে গেল মনাদার। সোমবার সন্ধ্যায় ক্লাবেই চলে দীর্ঘ তিন ঘণ্টার মিটিং। কর্মসমিতির মিটিংয়ের পর সচিব কল্যাণ মজুমদার বলেন, ‘‘সুপার কাপের কথা ভেবেই খালিদ জামিলের সঙ্গে যুগ্মভাবে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে সুভাষ ভৌমিককে। দু’জনে মিলেই দল চালাবে।’’

ক্লাবের তরফে খবর দু’জনেই যৌথভাবে কাজ করতে রাজি হয়েছেন। এদিকে, মনোরঞ্জনের অভিযোগ ছিল খালিদের সঙ্গে কাজ করা যায় না। খালিদ নাকি মনোরঞ্জনকে কাজ করতে দেননি। মঙ্গলবার বিকেলে দু’জনকে নিয়েই আলোচনায় বসছেন কর্তারা। তার পরই শুরু হবে সুপার কাপের প্রস্তুতি। তবে, এই ডামাডোলের মাঝেই ন’বছর পর আবার ইস্টবেঙ্গলে ফিরছেন সুভাষ। দায়িত্ব পাওয়ার খবরে সুভাষ জানিয়ে দিলেন, এই ক্লাবের দায়িত্ব পাওয়াটা সব সময়ই গর্বের। সবার সঙ্গে কথা বলেই সমস্যার সমাধান করতে চান তিনি।

শোনা যাচ্ছে, খালিদই নাকি চেয়েছিলেন সুপার কাপে তাঁকে একটা সুযোগ দেওয়া হোক। আই লিগে শেষ করেছেন চতুর্থ স্থানে। অনেক স্বপ্ন দেখিয়েও শেষ পর্যন্ত মান বাঁচেনি। তবুও সোমবারের সভায় কেউ খালিদকে তাড়ানোর কথা একবারও তোলেননি। কারণ কোনও ভুল বার্তা যাক সেটা কেউ চাননি। সুভাষকে হয়তো বেঞ্চে বসতে দেখা যাবে ম্যানেজার হিসেবেই। কিন্তু এই বছর টিকে গেলেও পরের বছর আর খালিদকে যে ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্বে দেখা যাবে না তা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। কারণ খালিদের তুকতাক আর গোয়ার্তুমিতে রীতিমতো বিরক্ত সকলেই।