ইস্টবেঙ্গল অনুশীলনে নিজেদের মধ্যেই ঝামেলায় জড়ালেন ডুডু-গুরবিন্দর

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: খালিদ জামিলকে নিয়ে জলঘোলার মধ্যেই নতুন সমস্যায় ইস্টবেঙ্গল। সুভাষ ভৌমিকের সামনেই হাতাহাতিতে জড়ালেন দলের দুই ফুটবলার ডুডু ও গুরবিন্দর। এটা যদিও নতুন কোনও ঘটনা নয়। অতীতে মর্গ্যান জমানায় একই ঘটনার সাক্ষী থেকেছে ইস্টবেঙ্গল মাঠ। গুরবিন্দর-টোলগে হাতাহাতিতে সেদিনও সরগরম হয়েছিল ময়দান। সেই স্মৃতিকে উসকেই বুধবার ঝামেলায় জড়ালেন ডুডু-গুরবিন্দর।

অনুশীলনে ডুডুকে ট্যাকল করেন গুরবিন্দর। ট্যাকলটা একটু কড়াই ছিল। যেটা একদমই ভালভাবে নেননি এই বিদেশি। কারণ অবশ্যই চোটের ভয়। সেই আতঙ্কেই গুরবিন্দরকে কড়া ভাষাতেই বলেন ডুডু। শুরু হয় তর্ক। যদিও বেশিক্ষণ চলতে দেননি দলের অন্যান্য ফুটবলাররাই। তাঁরাই দু’জনকে নিরস্ত করেন।

যদিও ময়দানে প্রচার এই দুই ফুটবলারের মধ্যে সম্পর্ক অনেকের থেকে ভাল। যদিও গুরবিন্দরের মাথা গরম ময়দানে বহুল চর্চিত বিষয়। যে কারণে ম্যাচে বার বার কার্ডও দেখতে হয়। এক্ষেত্রে ডুডুর কাছে একবার ক্ষমা চেয়ে নিলেই হত। কিন্তু তেমনটা না করে পাল্টা তর্ক জুড়ে দেওয়ায় বাঁধে গোল।

আই লিগ শেষে ইস্টবেঙ্গল কোচকে রেখেই তাঁর মাথায় বসিয়ে দেওয়া হয়েছে সুভাষ ভৌমিককে। তিনি টেকনিক্যাল ডিরেক্টর। গতকাল থেকে সুপার কাপের জন্য অনুশীলন শুরু করেছে ইস্টবেঙ্গল। যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে সুভাষের পাশে বসে অনেক কথা বলেও গিয়েছিলেন খালিদ। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই খালিদই প্রথম দু’দিনের অনুশীলনে গড় হাজির। কেন? তার কারণ সম্পর্কে ধোয়াশা রয়েছে।

জীবনের দ্রুততম গোলটি করে ফেলেছেন তিনি

অনুশীলন শুরুর আগের দিন ক্লাব তাঁবুতে দীর্ঘক্ষণ মিটিংও করেন কর্তারা। হয়ত তার কারণ খালিদই। যা এখনও পর্যন্ত সামনে আনছেন না কর্তারা। কিন্তু খালিদ যদি ছেড়ে দেন তা হলে সুপার কাপ শুরুর আগে তাঁর জায়গায় একজন ‘এ’ লাইসেন্স কোচ আনতেই হবে ইস্টবেঙ্গলকে। কারণ সুভাষের লাইসেন্স নেই। কোচ হিসেবে বসতে পারবেন না বেঞ্চে। এমন অবস্থায় খালিদ ছেড়ে দিলে বা ছাড়িয়ে দেওয়া হলে নতুন কোচের সন্ধানে নামতে হবে তাদের। সেটা যত দ্রুত হবে ততই ভাল।

এদিকে দুই কোচ চলে আসায় সেই সময় সংশয় প্রকাশ করেছিলেন ডুডুও ওমাগবেমিও। তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি নাকি সংশয়ে রয়েছেন, অনুশীলনে কার কথা শুনবেন। টিডি ডানদিকে দাড়াতে বললেন আর কোচ বাঁ দিকে তখন কী করবেন তাঁরা। কারণ সেই সময় বলা হয়েছিল দু’জনেই মাঠে নেমে অনুশীলন করাবেন।

সুভাষ অবশ্য আগমনেই তাঁর নতুন নতুন অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন। বাজনার তালে তালে প্রথম দিনই দেখে নেওয়া হয়েছে ফুটবলারদের শারীরিক সক্ষমতা। আই লিগে শেষ করতে হয়েছে চার নম্বরে। দু’বারের আই লিগ জয়ী কোচকে দিয়ে সুপার কাপে বাজিমাত করতে চাওয়া ইস্টবেঙ্গল কর্তারা খালিদকে সামলাতেই হিমশিম। তার প্রভাব দলের উপর পড়বে সেটাই স্বাভাবিক।