আই লিগ-এর রেজাল্ট ডে-এর আগে কী বলছে হিসেব

আই লিগের ম্যাচে শিলংয়ে জিতে অনেকটা এগিয়ে যাওয়ার কথা ছিল ইস্টবেঙ্গলের। কিন্তু শুরুতেই গোল করেও ধরে রাখতে পারল না খালিদ জামিলের ছেলেরা। ১ গোল করে এগিয়ে গিয়ে দু’গোল হজম করে বসল দল। শেষ বেলায় ভাগ্যিস আরও একটি গোল করেছিলেন ডুডু, না হলে খালি হাতেই ফিরতে হত ইস্টবেঙ্গলকে। সঙ্গে শেষ হয়ে যেত প্রায় সব আশাই। শুরুটাও করেছিলেন ডুডুই। ২০ মিনিটে গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন ডুডু।

চুলোভার একটা মাপা ক্রস লক্ষ্য করে ডুডুর হেড চলে গিয়েছিল লাজংয়ের গোলে। এর পর ক্রোমার গোল বাঁচিয়ে দেন লাজং গোলকিপার। একটা সময় লড়াইটা গিয়ে দাঁড়ায় লাজং গোল কিপার ও ইস্টবেঙ্গলের মধ্যে। ৩৬ মিনিটে প্রথম সুযোগ নষ্ট লাজংয়ের। আর ৪৯ মিনিটেই সমতায় ফেরা। স্যামুয়েলের ফ্রি কিক থেকে আইবানভা কুপার দোলিংয়ের গোলে শট। ৬৮ মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে যায় লাজং এফসি। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি স্যামুয়েল। ৮৭ মিনিটে ক্রোমার ক্রস থেকে ডুডুর আবার হেডে গোল।

কিন্তু ২-২ গোলে লাজং থেকে ড্র করে ফিরে ঠিক কোথায় দাঁড়িয়ে ইস্টবেঙ্গল? ইস্টবেঙ্গলের এই ড্রয়ে কোন দলের আবার নতুন করে সুযোগ তৈরি হল? তিনের লড়াই কী ভাবে আবার চারের লড়াই হয়ে দাঁড়াল? এই অবস্থায় হিসেবের খেলায় শেষ ম্যাচে ৮ মার্চ নামবে চার দল।

মিনার্ভার এই মুহূর্তে ১৭ ম্যাচে ৩২ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে। গোল পার্থক্য ২৩-১৬। নেরোকা ১৭ ম্যাচে পয়েন্ট ৩১। গোল পার্থক্য ১৯-১২। মোহনবাগান ১৭ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট। গোল পার্থক্য ২৭-১৩। আর ইস্টবেঙ্গল ১৭ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট। গোল পার্থক্য ৩১-১৮। ইস্টবেঙ্গলের ড্রয়ে চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে আবার উঠে এসেছে মোহনবাগান। লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে চার দলের। ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান খুব বেশি হলে ৩৩ পয়েন্ট পর্যন্ত পেতে পারে। মিনার্ভা ড্র করলে হবে ৩৩ পয়েন্ট। যদি তিনজনই ৩৩ পয়েন্টে থাকে তা হলে দেখা হবে হেড টু হেড। তা হলে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে মোহনবাগানই।

কেন চ্যাম্পিয়ন হবে মোহনবাগান?

তিনটি টিমের পয়েন্ট এক হয়ে গেলে হেড টু হেডে এগিয়ে থাকবে মোহনবাগান। কারণ ইস্টবেঙ্গলকে দু’বার হারিয়েছে মোহনবাগান। মিনার্ভার সঙ্গে একটি ড্র, একটি হার। সেখানে ইস্টবেঙ্গলের একটি জয়, দুটো হার ও একটি ড্র। মিনার্ভা একটি জয়, একটি হার, দুটো ড্র। এগিয়ে মোহনবাগানই। এদিকে, যদি মিনার্ভা হারে এবং ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান জিতে যায় তা হলেও চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান। কারণ হেড টু হেডে এগিয়ে তারাই। যদি মিনার্ভা ও মোহনবাগান ড্র করে তা হলে জিতলে চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গল। তিন জনই ড্র করলে চ্যাম্পিয়ন মিনার্ভা। নেরোকার চ্যাম্পিয়ন হতে হলে মিনার্ভাকে ড্র করতে হবে। আর নেরোকাকে জিততে হবে।

মিনার্ভা: চার্চিলকে ঘরের মাঠে হারালেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে মিনার্ভা।

নেরোকা: ইস্টবেঙ্গলকে কলকাতায় হারাতেই হবে। মিনার্ভাকে ড্র করতে হবে। হারলে তো কথাই নেই।

ইস্টবেঙ্গল: নেরোকাকে হারাতেই হবে। মিনার্ভা ও মোহনবাগানের জেতা চলবে না।

মোহনবাগান: গোকুলামকে হারাতেই হবে। মিনার্ভাকে হারতে হবে। নেরোকারও জিতলে চলবে না।