আইপিএল-এ পাঞ্জাবের কাছে ঘরের মাঠে হার কলকাতার

আইপিএলপাঞ্জাবের উচ্ছ্বাস।

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: আইপিএল-এ জয় ধরে রাখতে পারল না কলকাতা নাইট রাইডার্স। পর পর দুটো ম্যাচ জিতে ঘরের মাঠে কিংস একাদশ পাঞ্জাবের কাছে হারতে হল শনিবার। যদিও প্রকৃতি অনেকটাই বাধ সাধল। বৃষ্টিতে বন্ধ থাকল খেলা। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ফল নির্ধারিত হল ডাক ওয়র্থ লুইস মেথডে। সঙ্গে কলকাতাকে হারালেন লোকেশ রাহুল আর সেই ক্রিস গেইল।

শনিবার ইডেন গার্ডেন্সে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পঞ্জাব। শুরুটা খারাপ করেনি কলকাতাও। এক ওপেনার সুনীল নারিন ১ রান করে প্যাভেলিয়নে ফিরে গেলেও ৪১ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন আর এক ওপেনার ক্রিস লিন। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ছ’টি বাউন্ডারি ও চারটি ওভার বাউন্ডারি। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিয়ে যা প্রথমে রবিন উথাপ্পা ও পরে অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক।

বৃষ্টির পর আস্কিং রেট কেন কমিয়ে দেওয়া হল তা দেখে আমি অবাক।— দীনেশ কার্তিক (কেকেআর অধিনায়ক)

নীতিশ রানার ব্যাট এদিন কথা বলেনি। উথাপ্পার ব্যাট থেকে আসে ৩৪ রান। কার্তিক করেন ৪৩। রাসেল ১০ ও কুরান ১ রান করে ফিরে যান প্যাভেলিয়নে। সুবমান গিল ও পীযুশ চাওলা কেকেআ-এর হয়ে ইনিংস শেষ করেন। সুবমান ১৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। নির্ধারিত ওভারে কলকাতা থামে ১৯১-৭-এ। পঞ্জাবে হয়ে দুটো করে উইকেট নেন বারিন্দর স্রান ও অ্যান্ড্রু টাই। একটি করে উইকেট মুজিব উর রহমান ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের।

দিল্লির পর রাজস্থান বধ কলকাতার

পঞ্জাব ইনিংসের মধ্যেই বৃষ্টিতে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। ঢেকে ফেলা হয় সম্পূর্ণ মাঠ। যখন খেলা শুরুর সময় আসে ততক্ষণে অনেকটা সময় পেড়িয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয় খেলা আটটা থেকে তার আগে প্রথম খেলা শেষ করতে হবে। এই অবস্থায় লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে আনা হয় ১২৫ রানে। যেটা ছিল ১৯২। ওভারও কমে দাঁড়ায় ২০ থেকে ১৩তে।

পাঞ্জাবকে জিততে হলে করতে হত ১২৬ রান। যা খুব সহজেই করে ফেলেন দলের দুই ওপেনার। শেষ বেলায় লোকেশ রাহুল আউট না হলে কোনও উইকেট না হারিয়েই কলকাতাকে নামিয়ে এক নম্বর স্থানটা নেওয়া হত প্রীতি জিন্টার দলের। ১১.১ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে দেন দুই ওপেনার লোকেশ ও গেইল। ২৭ বলে লোকেশ করেন ৬০ রান। ৩৮ বলে গেইল অপরাজিত থাকেন ৬২ রান করে।

নারিনের বলে যখন লোকেশ আউট হন তখন পাঞ্জাবের রান ১১৬। তার পর আর মাত্র ১০ রান জুড়তে হয়েছে গেইল, মায়াঙ্ককে। ম্যাচের সেরা হয়েছেন লোকেশ রাহুল। কলকাতা নেমে গিয়েছে তিন নম্বরে।