সন্তোষ ট্রফি ফাইনালে ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন হওয়া হল না বাংলার

সন্তোষ ট্রফিফাইনালে হেরে হতাশা বাংলা শিবিরে।

বাংলা ২ (জিথিন, ভিবিন)

কেরালা ২ (জিতেন, তীর্থঙ্কর)

টাইব্রেকার বাংলা ২-৪ কেরালা

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: সন্তোষ ট্রফি ফাইনালে ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন হওয়া হল না বাংলার। ভাবা হয়েছিল ঘরের মাঠে জয়টা অনেক সহজ হবে। কিন্তু তেমনটা হল না। বরং অনেক সুবিধে পেয়েও কাজে লাগাতে পারল না বাংলার ছেলেরা।সব থেকে বেশিবার সন্তোষ ট্রফি রয়েছে বাংলারই ঘরে। তাতে আরও একটা জুড়ে নিতেই নেমেছিল রঞ্জন চৌধুরীর ছেলেরা। কিন্তু সব আশা শেষ হয়ে গেল টাইব্রেকার মিস করে। না হলে ম্যাচের নির্ধারিত সময় পর্যন্ত পিছিয়ে থেকেই শেষ মুহূর্তে যে ভাবে বাংলা ফ্রি কিক পেল বক্সের বাইরে তা নিয়েও অনেক প্রশ্ন উঠতে পারে। শেষ বাঁশি বাজার ঠিক আগে সেই ফ্রি কিক থেকেই তীর্থঙ্করের একটি অসামান্য শট যখন বাঁক খেয়ে কেরালার গোলে ঢুকে গেল তখন আবার বাংলার স্বপ্নটা ফিরে এল বঙ্গ শিবিরে

ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান ছাড়াও যুবভারতীর গ্যালারি মাতল ম্যাচের ফেরার উচ্ছ্বাসে। কিন্তু শেষটা শুধুই হতাশার। ম্যাচ শেষে রিজার্ভ বেঞ্চে বসে হাউ হাউ করে কাঁদছিলেন অধিনায়ক জিতেন মূর্মূ। হতাশায় মুখ ঢাকল পুরো দল। চোখে জল সকলের। ট্রফির এত কাছে এসে এভাবে হাতছাড়া হবে ভুল করেও কেউ ভাবেননি। পুরো টুর্নামেন্টে দারুণ ছন্দে থাকা বাংলা গ্রুপ লিগে ধাক্কা খেয়েছিল এই কেরালার কাছেই। তাই ফাইনালটা হয়ে উঠেছিল বদলার ম্যাচ। কিন্তু বদলা তো হলই না বরং মুখ থুবরে পড়ল বাংলা। শুরুতেই এগিয়ে গিয়েছিল কেরালা।

কী ভাবে ফাইনালে পৌঁছেছিল বাংলা

হতাশায় মুখ ঢাকল পুরো দল। চোখে জল সকলের। ট্রফির এত কাছে এসে এভাবে হাতছাড়া হবে ভুল করেও কেউ ভাবেননি। পুরো টুর্নামেন্টে দারুণ ছন্দে থাকা বাংলা গ্রুপ লিগে ধাক্কা খেয়েছিল এই কেরালার কাছেই। তাই ফাইনালটা হয়ে উঠেছিল বদলার ম্যাচ। কিন্তু বদলা তো হলই না বরং মুখ থুবরে পড়ল বাংলা। শুরুতেই এগিয়ে গিয়েছিল কেরালা। ১৮ মিনিটে কেরালাকে এগিয়ে দিয়েছিলেন জিথিন এমএস। বাংলাকে সমতায় ফেরান অধিনায়ক জিতেন মূর্মূ। তখন ম্যাচের বয়স ৬৮ মিনিট। নির্ধারিত সময়ের ম্যাচ শেষ হয় ১-১ গোলে। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ১১৭ ও ১২২ মিনিটে ভিবিন ও তীর্থঙ্করের গোলে ম্যাচ ম্যাচ শেষ হয় ২-২ গোলে।

এর পর টাইব্রেকার। সেখানে যে এভাবে হতাশ করবে বাংলা তা কে জানত।টাইব্রেকারের প্রথম দুটো শটই মিস করে যায় বাংলা। সেখানেই হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল ম্যাচ। এর পর যদিও তীর্থঙ্কর ও সঞ্চয়ন গোল করলেও জয়ের মুখ দেখা হল না। এবারের মতো এখানেই থামতে হল।হেরে গেলেও অনেকেই আশা দেখিয়ে গেলেন ভবিষ্যতের। সেই তালিকায় জিতেন মূর্মূ থেকে তীর্থঙ্কর সরকার,  বিদ্যাসারগ সিংরা অবশ্যই থাকবেন।