শামি কাণ্ডে মুখ খুললেন পাকিস্তানি মডেল, গোপন জবানবন্দি হাসিনের

শামি ও হাসিনশামি ও হাসিন

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: শামি কাণ্ডে শেষ পর্যন্ত মুখ খুললেন পাকিস্তানের মডেল আলিশবা৷ শুরু থেকেই যাঁর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা বলে আসছিলেন মহম্মদ শামির স্ত্রী হাসিন জাহান৷ তাঁকে নিয়েই শুরু হয়েছিল শামির বিরুদ্ধে অভিযোগ৷ সমাচার প্লাস নামে এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আলিশবা জানিয়েছেন, তিনি শামির ভক্তমাত্র৷ আর সেই হিসেবেই শামির সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে যোগাযোগ করেছিলেন৷ যা শুনে রীতিমতো তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠেন হাসিন৷ তিনি পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেন, ‘‘শামির ইনস্টাগ্রাম আমি নিজে চালাই৷ সেখানে আমি আলিশবাকে কখনও দেখিনি৷ তা হলে ও কী করে বলছে ও ইনস্টাগ্রামে শামির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল৷’’ সব মিথ্যে বলে উড়িযে দেন হাসিন৷

সোমবার কথা মতই দুপুর দুটো নাগাদ আলিপুর আদালতে পৌঁছে যান হাসিন৷ সেখানেই তিনি তাঁর গোপন জবানবন্দি দেন৷ আড়াইটে থেকে প্রায় সারে চারটে পর্যন্ত চলে গোপন জবানবন্দির প্রক্রিয়া৷ সেখান থেকে বেরিয়ে হাসিন আবার সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খোলেন৷ যেখানে তিনি দাবি করেন, এখনই গ্রেফতার করা হোক শামি এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের৷ তিনি বলেন, ‘‘লালবাজারের কাজে আমি সন্তুষ্ট আমি চাই এখনই শামি ও তার পরিবারকে গ্রেফতার করা হোক৷’’ এর পর তিনি সংবাদ মাধ্যমের কাছেও আর্জি জানান শামিকে প্রশ্ন করতে৷

আলিশবা জানান, ইনস্টাগ্রামে শামির সঙ্গে যোগাযোগ হওয়ার পর তাঁদের দুবাই এয়ারপোর্টে দেখা হয়েছিল৷ কিন্তু সেখান থেকেই তাঁরা দু’জনে যাঁর যাঁর নিজস্ব গন্তব্যে চলে যান৷ আলিশবা জানিয়েছেন, প্রয়োজন হলে তিনি তদন্তের স্বার্থে ভারতে এসে তাঁর কথাও জানাতে রাজি আছেন৷ কিন্তু হাসিনের দাবি, ওঁরা দু’জন দুবাইয়ের হোটেলে একসঙ্গে ছিলেন৷ যে দু’দিনের কথা হাসিন বলছেন, তার তারিখও তিনি বলে দিয়েছেন৷ ফেব্রুয়ারির ১৭ ও ১৮ তারিখ ওরা দুবাইয়ের হোটেলে ছিলেন বলে দাবি হাসিনের৷ এবং সেই পরিকল্পনা নাকি চলছিল গত জানুয়ারি থেকেই৷ যা খবর তাতে দুবাইয়ের সেই হোটেলে তদন্ত করার ছাড়পত্র ইতিমধ্যেই আদালত থেকে পেয়ে গিয়েছে কলকাতা পুলিশ৷

টি২০তে কতটা লাফ ভারতীয়দের

পাকিস্তানের মহিলা ও ইংল্যান্ডের ব্যাবসায়ীর থেকে টাকা নেওয়ার কথা বলে ম্যাচ গড়াপেটার কথা উসকে দিয়েছিলেন হাসিন৷ যদিও তিনি কখনওই সরাসরি বলেননি শামি গড়াপেটার সঙ্গে যুক্ত৷ বরং বলেছেন, তিনি ক্রিকেটের কিছুই বোঝেন না৷ তাই গড়াপেটা নিয়ে তিনি কিছু বলতে পারছেন না৷ তার পরই নড়েচড়ে বসে বিসিসিআই৷ শামিকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়৷ বোর্ডের রিপোর্টের ওপরও অনেককিছু নির্ভর করছে৷

এর মধ্যেই শোনা যাচ্ছে বিসিসিআই-এর তরফে তাদের রিপোর্ট সোমবারই লালবাজারের হাতে এসে পৌঁছেছে৷ যদিও তাতে কী রয়েছে সে বিষয়ে সদুত্তর পাওয়া যায়নি৷ এও জানা গিয়েছে শামির উত্তরপ্রদেশের বাড়িতে তালা ঝুলতে দেখা গিয়েছে৷ কেউ নেই সেখানে৷ এই সবের মধ্যেই ঝুলে রয়েছে শামির ক্রিকেট ভাগ্য৷ বিসিসিআই-এর তদন্ত শেষ না হলে জাতীয় দল এমন কী আইপিএল-এও খেলতে পারবেন না তিনি৷ ইতিমধ্যেই বাদ পড়েছেন বোর্ডের চুক্তি থেকে৷ শামি নিয়ে রীতিমতো মুখে কুলুপ এঁটেছে ক্রিকেট দুনিয়াও৷