টেবল টেনিস তারকা সৌম্যজিতের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

টেবল টেনিসটেবল টেনিস তারকা সৌম্যজিৎ ঘোষ।

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল টেবল টেনিস খেলোয়াড় সৌম্যজিৎ ঘোষের বিরুদ্ধে। বুধবার বারাসতের এক তরুণীর আনা এই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু হয়েছে। ওই তরুণী বারাসত মহিলা থানায় জানিয়েছেন, সৌম্যজিৎ তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বহু বার ধর্ষণ করেছেন। এমনকী, এক বার তাঁকে গর্ভপাতও করাতে হয়। এ সবের জবাবে সৌম্যজিৎ জানিয়েছেন, তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। একই দাবি, তাঁর পরিবারেরও।

বৃহস্পতিবার জানা গিয়েছে, আদলতে এ নিয়ে ওই তরুণীর গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে। তবে, পুলিশ বা আদালত থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও কাগজপত্র তাঁরা পাননি বলে জানিয়েছে সৌম্যজিতের পরিবার। তাঁরাও বিষয়টি নিয়ে আইনি পথেই হাঁটবেন বলে জানিয়েছেন ওই টেবল টেনিস খেলোয়াড়ের বাবা।

ওই তরুণী জানিয়েছেন, তিনিও টেবল টেনিস খেলতেন। আর সেই সুবাদেই ২০১৫-য় সৌম্যজিতের সঙ্গে তাঁর ফেসবুকে আলাপ। এর পর তা বন্ধুত্ব থেকে প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। তখনও ওই তরুণী নাবালিকা। তাই বিয়ের কথা বছর দুয়েক পর শুরু হয় বলে দাবি তাঁর। কিন্তু, সেই সময়ে তাঁরা দু’জনে বিভিন্ন জায়গায় দেখা করতেন। কখনও শিলিগুড়ি, কখনও দিঘা, কখনও বা সৌম্যজিতের বাঘাযতীনের ফ্ল্যাট— দেখা করার পাশাপাশি তাঁরা রাতে একসঙ্গে থাকতেনও। দুই পরিবারের সকলেই এই সম্পর্কের কথা জানতেন বলে তরুণী জানিয়েছেন। তরুণীর আরও দাবি, ওই সময়ে এক বার তিনি সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়েন। তখন দুই পরিবার আলোচনা করেই তাঁর গর্ভপাতের ব্যবস্থা করে।

হাসিন-শামি কাণ্ডের আর এক মোর

সৌম্যজিতের বাড়ি শিলিগুড়িতে। ২০১৭-য় দুই পরিবার একসঙ্গে বসে বিয়ের কথা শুরু করে। এর পর উত্তরবঙ্গে তাঁদের ‘আশীর্বাদ’ পর্ব সারা হয়। তরুণীর পরিবারের দাবি, আশীর্বাদে প্রচুর যৌতুক দেওয়া হয় সৌম্যজিৎকে। এর পর গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দুই পরিবার বাঘাযতীনের ফ্ল্যাটে বিয়ের দিন ক্ষণ নিয়ে আলোচনায় বসে। সেই সময়েই সৌম্যজিৎ বিয়ে করতে চান না বলে জানান। শত অনুরোধ করেও কোনও লাভ হয়নি বলে ওই তরুণীর পরিবারের অভিযোগ।

সৌম্যজিতের পাশাপাশি তাঁর পরিবারও এই ঘটনাকে ‘চক্রান্ত’ বলে মন্তব্য করেছে। শিলিগুড়িতে এ দিন তাঁর বাবা হরিশঙ্কর ঘোষ জানিয়েছেন, ওই তরুণীকে তাঁরা চিনতেন। তাঁর ছেলের সঙ্গে খুব ভাল বন্ধুত্ব ছিল। তবে, বন্ধুত্বকে ব্যবহার করে সৌম্যজিতের কাছ থেকে প্রায় দু’লাখ টাকা হাতিয়ে নেন ওই তরুণী। তার পর থেকে তাঁর ছেলে আর ওই তরুণীর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখেনি। এর পরেই নাকি তরুণীর পরিবার চক্রান্ত করে সৌম্যজিতের নামে অভিযোগ করেছে। পাশাপাশি তিনি গর্ভপাত এবং শারীরিক সম্পর্কের বিষয়টি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। সৌম্যজিতের কাকা জানিয়েছেন, এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে তাঁরা আইনের পথই নেবেন।

জার্মানি ওপেন খেলতে এই মুহূর্তে সৌম্যজিৎ সেখানে রয়েছেন। ফিরে এসে কমনওয়েলথ-এ যাবেন অর্জুন পুরস্কারপ্রাপ্ত এই তারকা খেলোয়াড়।