চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালে বায়ার্নকে হারিয়ে এগিয়ে থাকল রিয়েল মাদ্রিদ

চ্যাম্পিয়ন্স লিগগোল করে রিয়েল মাদ্রিদকে সমতায় ফেরানোর পর মার্সেলোকে ঘিরে উচ্ছ্বাস। ছবি: টুইটার।

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগ জিতে এগিয়ে থাকল রিয়েল মাদ্রিদ। যদিও গোল পেলেন না ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো। তাতে কী, পুরো ম্যাচে নেতৃত্ব দিলেন তিনিই। বুধবার মধ্যরাতে মুখোমুখি হয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখরিয়েল মাদ্রিদ। অ্যালিয়াঞ্জ এরিনায় আসলে বুধবার রাতে ছিল একঝাঁক তারকার লড়াই। সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনাল। শেষ হাসি হাসল রিয়েল।

ম্যাচ শুরুর ২০ সেকেন্ডের মধ্যেই নিশ্চিত ওপেনার নষ্ট করেন মুলার। কারভাজাল থেকে ভাল জায়গায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন লেওয়ানডস্কি। কিন্তু সেখান থেকে তাঁর গোলে শট নেওয়া সহজ ছিল না। যে কারণ তিনি ক্রস করেন মুলারকে। শেষ পর্যন্ত অনেক আশা জাগিয়েও গোলটা হয়নি। তবুও শুরুটা করে দিয়েছিল বায়ার্নই। যখন ২৮ মিনিটে কিমিচের অসাধারণ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখ।

এই গোলের পিছনে নাভাসেরও একটা ভূমিকা থেকে গেল। শেষ পর্যন্ত রিয়েল মাদ্রিদ না জিতলে অভিযোগের আঙুল নিশ্চিতভাবে উঠত তাঁর দিকেই। সে দিন তাঁকে সৌভাগ্যক্রমে দেখতে হয়নি। মাদ্রিদের শুরুটা ভাল না হলেও প্রথমার্ধের শেষেই ম্যাচে ফেরে রোনাল্ডো অ্যান্ড ব্রিগেড। নাভাসের গোল হজম দেখে রিজার্ভ বেঞ্চের বাইরে দাড়িয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়তে দেখা গেল রিয়েল মাদ্রিদ কোচ জিনেদিন জিদানকে।

অধিনায়কত্বের সঙ্গে সঙ্গে নিজের প্রাপ্য টাকাও ছাড়লেন তিনি

৩৪ মিনিটে আবার নাভাস একের বিরুদ্ধে এক অবস্থায় পেয়ে গিয়েছিলেন নিকলাস সুলে। চোট পেয়ে বেরিয়ে যাওয়া জেরম বোয়েতাংয়ের জায়গায় নেমেছিলেন তিনি। কিন্তু এ বার আর ভুল করেননি নাভাস। না হলে তখনই ২-০ গোলে এগিয়ে যেতে পারত বায়ার্ন মিউনিখ। ৪৪ মিনিটে সমতায় ফিরল রিয়েল মাদ্রিদ ঠিকই। কিন্তু তার আগে পর্যন্ত বার বার গোলের পথ তৈরি করল বায়ার্ন মিউনিখ। কার্ভাজালের থেকে বল পেয়ে মার্সেলোর হাফ ভলি সরাসরি চলে গেল বায়ার্নের গোলে। এর পরও প্রথমার্ধের শেষে গোলের সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল বায়ার্ন। কিন্তু প্রথমার্ধ শেষ হয়েছিল ১-১ গোলেই।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ

গোলের পর আসেনসিও।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ইস্কোকে তুলে মার্কো আসেনসিওকে নামান জিদান। এই মাঠে গত দুটো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে বায়ার্নের বিরুদ্ধে জিতেছে রিয়েল মাদ্রিদ। এ বারও সেই পথেই হাঁটল রিয়েল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মাদ্রিদকে এগিয়ে দিল মার্কো আসেনসিও। ৫৭ মিনিটে রাউন্টার অ্যাটাকে গোল করে গেল রিয়েল। রাফিনহার ভুলেই ম্যাচের ফল ঘুরে গেল রিয়েল মাদ্রিদের দিকে। দু’মিনিটের মধ্যেই সমতায় ফিরতে পারত বায়ার্ন। এগিয়েও যেতে পারত। যদি না পর পর গোলের সুয়োগ নষ্ট করতেন রিবেরি।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ

যে গোল নষ্ট করলেন রিবেরি। ছবি: বায়ার্ন মিউনিখ টুইটার।

স্কোর লাইনে রোনাল্ডোর নাম লেখা না হলেও ৭১ মিনিটে গোল করেই ফেলেছিলেন সিআর সেভেন। তাঁর চেনা ছন্দেই ফিনিশ করেছিলেন। কিন্তু হ্যান্ড বলের জন্য সে গোল বাতিল করলেন রেফারি। সুযোগ এসেছিল বেঞ্জিমার সামনেও। ৮৮ মিনিটে বায়ার্নের নিশ্চিত সুযোগ নষ্টেই শেষ হয়ে গেল সমতায় ফেরার সব আশা।

অন্য ম্যাচে লিভারপুল ৫-২ গোলে হারিয়ে দিল রোমাকে। লিভারপুলের হয়ে গোলগুলি করেন মহম্মদ সালাহ ও রবের্তোর দুটো ও একটি মানের। রোমার হয়ে গোল দু’টি করেন জেকো ও পেরোত্তি।