দ্রুততম গোলে চেলসি বধ মেসির

ব্রাজিল বনাম আর্জেন্তিনাব্রাজিল বনাম আর্জেন্তিনা

বার্সেলোনা ৩ (মেসি-২, দেমবেলে)

চেলসি ০

মোট গোল ৪-১

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: খেলা শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই ক্যাম্প ন্যুর আনাচ-কানাচ থেকে শুধুই মেসি মেসি হুঙ্কার ভেসে আসছিল। যা থেকে গেল ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজার পরও। বার্সেলোনার ঘরের মাঠে চেলসি বধ করে মেসি তাঁর ফেরার বার্তা দিয়ে দিলেন। তৃতীয় সন্তানের জন্মের জন্য একটু ব্রেক নিয়েছিলেন ফুটবলের রাজপুত্র। ফিরলেন স্বমহিমায়। জোড়া গোল একটি অ্যাসিস্টও লেখা থাকল তাঁরই নামে।

খেলা শুরুর আগে থেকে স্টেডিয়ামে যে বিরাট ব্যানারটা পত পত করে উড়ছিল, ম্যাচ শেষে মনে হল সেটা যেন মেসির জন্যই লেখা হয়েছিল। সেখানে লেখা ছিল ‘গড সেভ দ্য কিং’। রাজা নামলেন, দেখলেন, জয় করেই ময়দান ছাড়লেন। শুরু করলেন তিনি, শেষ লেখা থাকল তাঁরই গোলে। আর মেসি ম্যাজিকে ছিটকে গেল চেলসি।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ১৬-র ফিরতি লেগের ম্যাচে বার্সেলোনা-চেলসি যখন ক্যাম্প ন্যুতে নেমেছিল তখন খেলার ফল ১-১। আর যখন থামল তখন সব কিছুকে ছাপিয়ে খেলার ফল দাড়িয়েছে ৪-১। বার্সার পক্ষে। ছিটকে গেল চেলসি। পুরো ম্যাচে একবারও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে তো দেখাই গেল না। দেখা গেল না লড়াইয়ে ফেরার সেই মরিয়া চেষ্টাও। আর এর মধ্যেই নিজের কেরিয়ারের দ্রুততম গোলটিও করে ফেললেন সেই মেসিই।

গোলের পর দেমবেলের উচ্ছ্বাস

গোলের পর দেমবেলের উচ্ছ্বাস

ম্যাচ শুরু হয়ে তিন মিনিটই হয়েছে। গুছিয়েই উঠতে পারেনি চেলসি। আর তখনই সেই চেনা মেসি ম্যাজিক। সুয়ারেজের একটা দারুণ ফ্লিক। তার আগে ডেমবেলের সঙ্গে পাস খেলেই উঠে গিয়েছিলেন মেসি। আলোন্সোর গায়ে লেগে সেই বল চলে এসেছিল সুয়ারেজের পায়ে। বাঁ দিক থেকে সুয়ারেজের ফ্লিক বক্সের ডান দিকে পেয়ে সরাসরি গোলে শট নিয়েছিলেন মেসি। চেলসি গোলকিপার কোরতিসের পায়ের ফাঁক গলে বল চলে যায় গোলে।

২০ মিনিটে আবার সেই মেসিই। ক্রিস্টেনসেন ও আজপিলিকুয়েতাকে কাটিয়ে বক্সের কাছে বল নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন মেসি। বক্সের মধ্যেই ছিলেন দেমবেলে। তাঁকে লক্ষ্য করেই ছোট্ট টোকা। যা চিনতে ভুল করেনননি দেমবেলে। বার্সেলোনার হয়ে যেভাবে দ্রুততম গোলটি করে ফেললেন মেসি ঠিক সে ভাবেই বার্সেলোনার জার্সিতে প্রথম গোল করে ফেললেন দেমবেলে। প্রথমার্ধেই ২-০তে এগিয়ে গিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিল বার্সেলোনা। যার ফল ৬৩ মিনিটে আবারও মেসি। নেপথ্যে সুয়ারেজ।

মাঝ মাঠ থেকে বল নিয়ে দৌড় শুরু করেছিলেন সুয়ারেজ। তাঁর সোলো রান শেষ হয় বক্সের মধ্যে মেসিকে পাস দিয়েই। বক্সের মধ্যে মেসি কতটা ভয়ঙ্কর তা এত দিনে সকলেরই জানা। কোনও সুযোগই পাননি চেলসি ডিফেন্ডাররা। পুরো ম্যাচে রীতিমতো খাবি খেতে দেখা গেল পুরো চেলসি দলকে।এর মধ্যেই একসঙ্গে জোড়া পরির্বতন করেও চেলসির কোনও লাভ হল না। মোরাতার জায়গায় জিরৌদ ও জাপাকোস্তার জায়গায় মোসেসকে আনলেন কোচ। কিছু পরেই তৃতীয় পরিবর্তনে পেদ্রোকে তুলে হ্যাজার্ডকে নামাল চেলসি। কিন্তু কাজের কাজ হল না। বার্সেলোনাও তিনটি পরিবর্তনই করলেন। কিন্তু শেষ হাসি হাসল ন্যু ক্যাম্পই।