সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর আকাশে ফুটো, ভুল ভাঙালেন বিজ্ঞানীরা

সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর আকাশে ফুটোএরকমই দেখতে ছিল ইউএই-র আকাশ।

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর আকাশে ফুটো । আকাশের দিকে তাকিয়ে হঠাৎই চমকে উঠলেন সেই ব্যক্তি। গাড়ি করে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর রাস্তা ধরে যাচ্ছিলেন তিনি। সামনের সিটেই বসেছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই আকাশের দিকে চোখ চলে যায় তাঁর। দেখেই চমকে ওঠেন তিনি। একে তো মেঘলা আকাশ। আকাশ জুড়ে মেঘের রাজ। তার মধ্যেই অমন দৃশ্য দেখে মোবাইল ক্যামেরা না খুলে পারেননি। আর সেই ভিডিওই মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র।

সাত সেকেন্ডের সেই ছোট্ট ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে মেঘের গায়ে অদ্ভুত এক বিশালাকার ফুটো। দেখতে অনেকটা ওরকম। তা নিয়ে শুরু হয়ে যায় গবেশনা। কেউ বলেন আকাশের গায়ে ফুটো দেখা দিয়েছে। আবার কারও বক্তব্য ইউএফও হতে পারে। কারন ইউএফও-র ওরকমই গোলাকার হয়।

ইবরাহিম আর জারওয়ান নামে এক ব্যাক্তি এই ভিডিও টুইটারে পোস্ট করেন। যেখানে আকাশের গায়ে গোলাকৃতি কিছু একটা রয়েছে। গাড়ি চলা অবস্থায় ভিডিও করায় বেশি সময় তা তিনি ধরতে পারেননি। ডেইলি মেলের খবর অনুযায়ী এই ব্যাক্তি যিনি এই ভিডিওটি পোস্ট করেছেন তিনি একজন আবহবিদ ও জ্যোতিবির্জ্ঞানী।

দেখুন সেই ভিডিও:

সেই ভিডিও কিছুক্ষণের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে। অনেকে এটিকে ‘হোয়ার্লপুল হোল’ বলে ব্যাখ্যা করেন। কেউ বলেন অন্য গ্রহের কিছু। ইব্রাহিম সেই ভিডিও টুইট করে লেখেন, ‘‘এই সকালে আল আইন সিটিতে এই বিরল সুন্দর দৃশ্য দেখা গিয়েছে।’’ ১৭ মার্চ তিনি এই ভিডিওটি পোস্ট করেন।

ডেইলি মেলের রিপোর্ট অনুযায়ী আবহবিদরা এই ঘটনার ব্যাখ্যা সঙ্গে সঙ্গেই দিয়েছেন। তাঁরা বিষয়টিকে অভূতপূর্ব বলে ব্যাখ্যা করেছেন। যাঁকে ‘ফলসট্রিক হোল’ বলে পরিচিত। এমনটা তখন হয় যখন মেঘের মধ্যের জলের তাপমাত্রা জমে যাওয়ার তাপমাত্রা থেকে কমে যায়। জল প্রচন্ড ঠান্ডা হয় সেই সময়। কিন্তু তখনও জমে যায়নি সেই জল। বরফর অভাবে মেঘের মধ্যে অমন আকাড় তৈরি হয়।

বিজ্ঞানীদের মতে, এই ফলসট্রিক তৈরি হওয়াটা বিরল। এবং কখনও কখনও সেটা ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। যা ইউএফও বলে ভ্রম হয়।

(বিজ্ঞানের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)