কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ৯০ শতাংশ কার্যকর, বলছে দুই সংস্থা

দেশ জুড়ে ভ্যাকসিন সঙ্কট

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষনা শুরু হয়ে গিয়েছে অনেকদিন আগে থেকেই। কিন্তু তেমনভাবে সুখবর দিতে পারেনি এখনও কোনও সংস্থা। তবে সোমবার পিফাইজার ও বায়োএনটেক-এর যৌথ বিবৃত্তি কিছুটা হলেও স্বস্তি দিতে পারে আতঙ্কিত বিশ্বকে।

তৃতীয় দফার ট্রায়াল চলছে এই মুহূর্তে, তার মধ্যেই দুই সংস্থার ঘোষণা তাদের ভ্যাকসিন কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে ৯০ শতাংশ কাজ করবে। দ্বিতীয়বার গোটা বিশ্বে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। উৎসবের মাস চলছে, যার ফলে নতুন করে সংক্রমণের গতি অনেকটাই ঊর্ধ্বমুখী। নতুন করে অনেক দেশে শুরু হয়েছে লকডাউন। প্রচুর মানুষ নিজেদের লকডাউনে রাখছে নতুন করে।

সেই সময় দুই সংস্থার এই ঘোষণা বড় স্বস্তি দিতে পারে। বিজ্ঞানীরাও এই খবরের সদর্থক দিক দেখতে পাচ্ছেন। তবে এখনও আরও কিছুটা সময়ের ব্যাপার পুরোপুরি এই ভাইরাসের প্রতিষেধক আসতে।

পিফাইজার ও তাদের সঙ্গী জার্মান সংস্থা বায়োএনটেক প্রথম উদ্যোক্তা যারা সফলভাবে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল প্রয়োগ করেছে। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে এতদিনের পরীক্ষার ফল হিসেবে কোনও ঝুঁকি বা নিরাপত্তার সঙ্কট দেখা যায়নি।

প্রাথমিকভাবে ৯৪ জনের উপর পরীক্ষা করা হয়েছিল। তৃতীয় দফার ট্রায়ালের জন্য ৪৩,৫৩৮জন নাম নথিভুক্ত করেছে। গত জুলাইয়ে যার পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ৯০ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় ডোজ ইতিমধ্যেই নিয়েছেন। ৮ নভেম্বর পর্যন্তের হিসেব অনুযায়ী।

যদিও সংস্থার তরফে জানানো হয়নি, যাঁরা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাঁদের কোনও সমস্যা হয়েছে কিনা। ১৬৪ জন কোভিড-১৯ রোগীর উপরও এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে। সময় বাঁচাতে আগে থেকেই সংস্থা এই ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছিল। যার ফলে এই বছর ৫০ মিলিয়ন ডোজ অথবা ভ্যাকসিন দিতে সক্ষম হবে ২৫ মিলিয়ন মানুষকে।

২০২১-এর মধ্যে ১.৩ বিলিয়ন ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারবে বলে মনে করে সংস্থা। ভ্যাকসিনকে ঠিক রাখার জন্য আলাদা ধরণের বক্সও তৈরি করেছে সংস্থা। এবার শুধু ভ্যাকসিন আসার অপেক্ষা। কতদিনে সাধারণ মানুষের কাছে এসে তা পৌঁছবে সেটাই বড় প্রশ্ন।

(বিজ্ঞানের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)