নাসার মঙ্গলযান ‘পার্সিভিয়ারেন্স’ রকেটে চেপে লালগ্রহের উদ্দেশে পাড়ি দিল

নাসার মঙ্গলযান ‘পার্সিভিয়ারেন্স’নাসার মঙ্গলযান ‘পার্সিভিয়ারেন্স’

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: নাসার মঙ্গলযান ‘পার্সিভিয়ারেন্স’ ফ্লরিডার কেপ ক্যানাভেরাল উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে ‘অ্যাটলাস ফাইভ’ রকেটে চেপে লালগ্রহের উদ্দেশে পাড়ি দিল। ‘মার্স ২০২০’ অভিযানে রকেটে করে পাঠানো হয়েছে একটি রোভার ও একটি ছোট্ট হেলিকপ্টার। এই প্রথম ভিন্‌গ্রহের আকাশে উড়বে বিদ্যুৎচালিত কোনও কপ্টার। তার নাম ‘ইনজেনুয়িটি’। নাসার মঙ্গলযান ‘পার্সিভিয়ারেন্স’ আসলে ‘কিউরিয়োসিটি’ রোভারের উত্তরসূরি।

সব ঠিক থাকলে আগামী বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি লালগ্রহে নাসার মঙ্গলযান ‘পার্সিভিয়ারেন্স’  পৌঁছবে। এই অভিযানে খরচ হয়েছে প্রায় ৮০০ কোটি ডলার। পার্সিভিয়ারেন্স শুধু মঙ্গলের মাটিতে নামবে না, গবেষণার শেষে মঙ্গলের মাটির নমুনা নিয়ে পৃথিবীতে ফিরেও আসবে।


বিজ্ঞানের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

নাসা জানিয়েছে, এই মঙ্গল অভিযানের অন্যতম উদ্দেশ্য, প্রাণের সন্ধান। তবে আসল লক্ষ্য হল ২০৩০-এর দশকে মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর প্রস্তুতি সেরে ফেলা। মঙ্গলে পৌঁছে ঠিক কী কী প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হবে নভশ্চরদের, তার অনেকটাই বাতলে দেবে পার্সিভিয়ারেন্স ও ইনজেনুয়িটি। ১.৮ কেজির মিনি হেলিকপ্টার ‘ইনজেনুয়িটি’ মঙ্গলের আকাশপথে অভিযান চালাবে। মাটিতে তদন্ত করবে পার্সিভিয়ারেন্স।

এ পর্যন্ত যত রোভার পাড়ি দিয়েছে ভিন্‌গ্রহে, চেহারায় সব চেয়ে বড়সড় পার্সিভিয়ারেন্স। সেই সঙ্গে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি। আকারে গাড়ির মাপের রোভারটিতে রয়েছে ২৫টি ক্যামেরা, এক জোড়া মাইক্রোফোন, ড্রিল ও লেজার। রোভারের মূল গন্তব্য, মঙ্গলের রহস্যময় ‘জিজিরো ক্রেটার’। বিজ্ঞানীদের অনুমান, ৩০০ কোটি বছর আগে এখানে কোনও হ্রদ ছিল। প্লুটোনিয়াম শক্তিচালিত ছ’চাকার রোভারটি এই ক্রেটারের মাটি খুঁড়ে নমুনা সংগ্রহ করবে। ডজনখানেক টাইটেনিয়াম টিউবে ১৫ গ্রাম মাটির নমুনা নিয়ে ২০৩১ সালে ঘরে ফিরবে সে।


(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)