শতাব্দীর সব চেয়ে দীর্ঘ চন্দ্রগ্রহণ শুক্রবার, দেখা যাবে কলকাতা থেকেও

শতাব্দীর সব চেয়ে দীর্ঘ চন্দ্রগ্রহণশতাব্দীর সব চেয়ে দীর্ঘ চন্দ্রগ্রহণ

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: শতাব্দীর সব চেয়ে দীর্ঘ চন্দ্রগ্রহণ হবে শুক্রবার, প্রায় ১ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট ধরে। তাঁর সঙ্গে জুড়ে যাবে ১ ঘণ্টা ৬ মিনিট করে দুটো আংশিক চন্দ্রগ্রহণ। সব মিলিয়ে শুক্রবার রাতে দীর্ঘ ক্ষণই পৃথিবী থেকে দেখা যাবে না চাঁদকে।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, আগামী ২৭ জুলাই শুক্রবার ভারতীয় সময় রাত ১১টা ৫৪তে শুরু হবে আংশিক চন্দ্রগ্রহণ। সেই গ্রহণ চলবে রাত ১টা পর্যন্ত। তার পরেই শুরু হবে শতাব্দীর দীর্ঘতম পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। সেই গ্রহণ শেষে রাত ২টো ৪৩-এ ফের শুরু হবে আংশিক গ্রাস। আংশিক এবং পূর্ণাঙ্গ মিলিয়ে চন্দ্রগ্রহণ শেষ হবে রাত ৩টে ৪৯-এ। সব মিলিয়ে গ্রহণের মোট সময় ৩ ঘণ্টা ৫৪ মিনিট। এটাই শতাব্দীর সবচেয়ে বেশি সময় ধরে চলা চন্দ্রগ্রহণ।

শতাব্দীর দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণ কলকাতা-সহ গোটা ভারতে দেখা যাবে। দেখা যাবে এশিয়া, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইউরোপ এবং বাংলাদেশ থেকেও।

শতাব্দীর সব চেয়ে দীর্ঘ চন্দ্রগ্রহণ

ব্লাড মুন

সূর্যকে কেন্দ্র করে এক উপবৃত্তাকার পথে ঘোরে পৃথিবী। একই রকম ভাবে পৃথিবীকে কেন্দ্র করে অন্য এক উপবৃত্তাকার পথে ঘোরে চাঁদ। সেই ঘোরার পথে কোনও কোনও সময়ে পৃথিবী, সূর্য এবং চাঁদ একই সরলরেখায় চলে আসে। পৃথিবী এবং চাঁদ কারওই নিজস্ব কোনও আলো নেই। সূর্যের আলোতেই তারা আলোকিত হয়ে জ্বলজ্বল করে। নিজস্ব কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে পৃথিবী যখন সূর্য এবং চাঁদের মাঝখানে এসে পড়ে, তখন সূর্যের আলো আর চাঁদের গায়ে পড়ে না। কারণ, পৃথিবী সূর্যকে আড়াল করে রাখে চাঁদের থেকে। চাঁদের গায়ে সূর্যের আলো না পড়ায়, পৃথিবী থেকে চাঁদকে আর দেখা যায় না। সে কারণেই  চন্দ্রগ্রহণ হয়। যদি সম্পূর্ণ ভাবে আড়াল করে রাখে পৃথিবী, তা হলে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ হয়। আর যদি আংশিক ভাবে আড়াল হয়, তবে হয় আংশিক চন্দ্রগ্রহণ।

বিরাট হিমশৈল ক্রমশ এগিয়ে আসছে সমুদ্রপাড়ের গ্রামের দিকে

এর আগে, ২০০০-এর ১৬ জুলাই ১ ঘণ্টা ৪৬ মিনিট ধরে চলেছিল পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। তার ১১ বছর পর, ২০১১-র ১৫ জুন পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ হয়েছিল ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট ধরে। এ বার সব রেকর্ড ভেঙে চন্দ্রগ্রহণ হবে মোট ৩ ঘণ্টা ৫৪ মিনিটের। ২০১৯-এর ১৭ জুলাই একটি চন্দ্রগ্রহণ হবে। তবে সেটা আংশিক। ওই বছরেরই ২১ জানুয়ারি আরও একটি পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ হবে।