জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ইসরো অর্থাৎ ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ব্যর্থতা কাটিয়ে ফের মহাকাশে পাড়ি দিল। বৃহস্পতিবার ভোর ৪টে ৪ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধবন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে পিএসএলভি রকেটে চাপিয়ে ‘আইআরএনএস ১আই’ নামে একটি কৃত্রিম উপগ্রহকে মহাকাশে পাঠানো হয়েছে বলে তারা জানিয়েছে। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, ওই কৃত্রিম উপগ্রহটি নির্বিঘ্নেই নির্দিষ্ট কক্ষপথে প্রতিস্থাপিত হয়েছে। ভারতের নিজস্ব ‘গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম’ বা জিপিএস ব্যবস্থার অঙ্গ এই কৃত্রিম উপগ্রহটি।
এ দিন অবশ্য ইসরোর তরফে দাবি করা হয়েছে, ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩৬ হাজার কিলোমিটার উপরে থাকা ‘জিস্যাট-৬এ’-র অবস্থান জানা গিয়েছে। সেটির সঙ্গে যোগাযোগ তৈরির চেষ্টা চলছে।
১৪ দিনের আগে অর্থাৎ গত ২৯ মার্চ এই শ্রীহরিকোটা থেকেই ‘জিস্যাট-৬এ’ নামে একটি কৃত্রিম উপগ্রহকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু, মহাকাশে পৌঁছনোর পরে তার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ভারতীয় বিজ্ঞানীদের। সেই বিপর্যয়ে ভারতের বিপুল অঙ্কের একটি প্রকল্প প্রায় মুখ থুবড়ে প়়ড়ে। এ দিন অবশ্য ইসরোর তরফে দাবি করা হয়েছে, ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩৬ হাজার কিলোমিটার উপরে থাকা ‘জিস্যাট-৬এ’-র অবস্থান জানা গিয়েছে। সেটির সঙ্গে যোগাযোগ তৈরির চেষ্টা চলছে।
হলিউডি ছবির চেয়ে কম খরচে পৌঁছনো যাচ্ছে চাঁদে!
এ দিন ইসরো-র চেয়ারম্যান কৈলাশবাদিবু শিবন বলেছেন, ‘‘আমরা নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকেই এগিয়ে চলেছি। জিপিএস-এর আটটি কৃত্রিম উপগ্রহকে নির্ভুল ভাবে উত্ক্ষেপণ করতে সফল হয়েছি। এই উপগ্রহগুলি নেভিগেশন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নয়া ইতিহাস তৈরি করবে।’’
PSLV-C41 Liftoff and Onboard Camera Viewhttps://t.co/pq5DCAtmPP
— ISRO (@isro) April 12, 2018
বিশেষজ্ঞদের মতে, কার্গিল যুদ্ধের পর থেকেই ভারত নিজেদের জিপিএস ব্যবস্থার গুরুত্বটা টের পাচ্ছিল। সেই কারণেই ‘ইন্ডিয়ান রিজিওনাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম’ তৈরি করার কাজ শুরু হয়। সাতটি কৃত্রিম উপগ্রহের এই দলকে পথপ্রদর্শক বলা হয়। এই জিপিএস ব্যবস্থা নিজেদের কাজে লাগানোর পাশাপাশি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বন্ধুদেশগুলিকেও ব্যবহার করতে দেবে ভারত।
‘‘আমরা নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকেই এগিয়ে চলেছি। জিপিএস-এর আটটি কৃত্রিম উপগ্রহকে নির্ভুল ভাবে উত্ক্ষেপণ করতে সফল হয়েছি। এই উপগ্রহগুলি নেভিগেশন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নয়া ইতিহাস তৈরি করবে।’’
এ দিন ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, জিস্যাটের বিভ্রাট তাদের দমিয়ে দিতে পারেনি। আগামী ৮ মাসে ৯টি নতুন প্রকল্প বাস্তবায়িত করবে তারা। তার মধ্যে বছরের শেষের দিকে চন্দ্রযান-২ অভিযানও রয়েছে।