বাড়ি-ফ্ল্যাট কিনছেন, এ সব জেনেছেন তো?

বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনার কথা ভাবছেন? কিন্তু, সেখানে কোনও আইনি সমস্যা নেই তো? এক বার সমস্যাজনক সম্পত্তি কিনলে কিন্তু উটকো ঝামেলা ডেকে আনা হবে। আর সেটা পোহাতে হবে প্রায় সারা জীবন। প্রচুর টাকা খরচ করেও ‘শান্তির নীড়’ মিলবে না সে ক্ষেত্রে।

তবে বড় বড় সংস্থার প্রকল্পগুলি অনেক ক্ষেত্রেই আইনি ঝঞ্ঝাটমুক্ত। কারণ আইনি ঝামেলা থাকলে ক্রেতা ব্যাঙ্ক বা গৃহঋণ পাবে না। তবু চোখ-কান বুজে বিনিয়োগ না করাই ভাল।

প্রয়োজনে আইনি পরামর্শ নিতে পারেন। আর আইনি ঝামেলা এড়াতে সম্পত্তি পছন্দ হওয়ার পর তা কেনার আগে অনেকগুলি বিষয় দেখে নেবেন। যেমন—

যে সম্পত্তি আপনি কিনছেন, তার বিক্রেতা, নির্মাতা এবং মালিক কারা? এঁরা কি একই ব্যক্তি? নইলে এঁদের নিজেদের মধ্যে চুক্তির কপি শুরুতেই চেয়ে দেখে নিতে হবে। কোম্পানির ওয়েবসাইট থাকলে তা দেখে নিন।

যে জমির উপর ফ্ল্যাট, তা কি লিজে নেওয়া? তা হলে সেই লিজের মেয়াদ দেখে নিতে ভুলবেন না।

আপনাকে যিনি সম্পত্তি বিক্রি করছেন, জেনে নিন, তাঁর কাছে ওই সম্পত্তি কী ভাবে এসেছে। তিনি ওটা কিনেছেন, নাকি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন— দলিলটা ভাল করে পড়ে বুঝে নিতে হবে। প্রয়োজনে আসল দলিল দেখুন।

জমির পরচা আছে নিশ্চয়ই। সেই পরচাও ভাল করে যাচাই করুন। রাজ্য সরকারের কাছে সেখানে আপনি যাঁর কাছ থেকে কিনছেন, তাঁর নাম আছে কি না দেখে নিন। খাজনার রসিদ দেখতে চাওয়া উচিত। সেখানেও একই নাম কি না দেখে নিতে হবে।

প্রয়োজনে বিএলআরও অফিসে যোগাযোগ করুন। সেখান থেকে জমির চরিত্র সম্পর্কে জানুন। জমি কী হিসাবে আছে জেনে নিন। চাষ জমি, বিল, বাস্তু জমি, ডোবা, পুকুর বা খাস জমি হতে পারে। যাচাই করাটা বাধ্যতামূলক।

যে জমিতে আপনার ফ্ল্যাট পছন্দ হয়েছে, সেই জমি নিয়ে কোনও মামলা আছে কি না, তা জানতে স্থানীয় আদালতে যোগাযোগ করুন। ওই জমি বন্ধক দেওয়া আছে কি না তা-ও জেনে নিতে হবে।

জমি বা ফ্ল্যাট সম্পর্কে যাবতীয় খোঁজখবর নেওয়ার পর আপনি যদি সন্তুষ্ট হন, তবেই তা কিনবেন। নচেৎ অন্যত্র দেখুন।