ময়দানে তিনি সবার জংলাদা। মঙ্গলবার বেশি রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ইস্টবেঙ্গলের একনিষ্ঠ এই ফুটবলার ছিলেন সেই সময়ের সব থেকে গ্ল্যামারাস ফুটবলার। কিন্তু এক সময় অভিমানে ক্লাবও ছেড়েছিলেন। তাঁর পাস ক্লাবের বিরুদ্ধে খেলা সেই ম্যাচ আজও ঘোরে ফুটবলপ্রেমীদের মুখে মুখে। আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে ইরানের পাস ক্লাবকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নায়ক ছিলেন তিনিই। ঠিক কী হয়েছিল সেদিন? শেষ কয়েক মিনিটই খেলেছিলেন তিনি। হাবিবের জায়গায় মাঠে নেমেছিলেন। আর তার পরই গোল। সেই গোলই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিয়েছিল। সেটা ১৯৭০ সাল। তার পর থেকে তিনিই হয়ে উঠলেন বাংলার ফুটবলের নয়নের মণি। ১৯৬১-তে উয়াড়ি ক্লাব দিয়ে পেশাদার ফুটবল জীবন শুরু করেন পরিমল দে। তার পর দীর্ঘ সময় কাটে ইস্টবেঙ্গলে। ১৯৭১-এ যান মোহনবাগানে। দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছিলেন বার্ধক্যজনিত রোগে। স্মৃতিও সঙ্গ দিচ্ছিল না। এবার সব কিছুরই ঊর্ধ্বে উঠে গেলেন তিনি। থেকে গেল শুধুই তাঁর স্মৃতি।