২০ বছর পর বিশ্বকাপ ফাইনালে আবার ভারত

বিশ্বকাপকেনিয়ার বিরুদ্ধে সেঞ্চুরির পর সৌরভকে শুভেচ্ছা যুবরাজের।

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: বিশ্বকাপ ফাইনাল আবার। ২০০৩ সালের আজকের দিনটি নিশ্চয়ই মনে আছে সব ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীর। ১৯৮৩-র কপিল দেবের ভারতের পর আবার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভারত জায়গা করে নিয়েছিল বিশ্বকাপ ফাইনালে। নিন্দুকেরা হয়ত বলবেন, সেমিফাইনালের প্রতিপক্ষ তো দুর্বল কেনিয়া, তা নিয়ে এত গর্বের কী আছে?

কিন্তু ২০ বছর পর বিশ্বকাপ ফাইনালে পৌঁছে এই ভারতীয় দল প্রমাণ করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট নিজেদের জায়গা ফিরে পাওয়ার রাস্তায় হাঁটতে শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু সে বার আর চ্যাম্পিয়ন হওয়া হয়নি। অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে যেতে হয়েছিল। তাতে গর্ব একটুও ক্ষুন্ন হয় না। বরং এত বছর পর এসেও সেই দিনটি আনন্দের সঙ্গে সঙ্গে একটু হলেও হতাশা দেয়। অল্পের জন্য হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল বিশ্বকাপ।

বিশ্বকাপ

দুরন্ত জয়ের পর টিম ইন্ডিয়া৷

পুরো টুর্নামেন্টে ভারত হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবোয়ে, কানাডা ও বাংলাদেশকে। সেমিফাইনালের আগে থেকেই তৈরি হতে শুরু করেছিল ফাইনালের আবহ। ধরেই নেওয়া হয়েছিল এবার চ্যাম্পিয়ন হওয়া থেকে কেউ আটকাতে পারবে না ভারতকে। যে ফর্মে ছিল পুরো টুর্নামেন্টে তাতে ভাবা হয়েছিল উড়ে যাবে অস্ট্রেলিয়াও। কিন্তু ফাইনালে গিয়ে যেন নার্ভ ফেল করে গেল পুরো দলের।

দেখুন টি২০তে ভারতীয় ক্রিকেটারদের উত্থান

কিন্তু আজকের দিনে যে সেমিফাইনালটি খেলেছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় অ্যান্ড ব্রিগেড তা আরও একবার ফিরে দেখা যেতেই পারে। কেনিয়াকে ৯১ রানে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছেছিল ভারত। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। টস জিত‌ে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেনর সৌরভ। এক কথায় দুরন্ত ব্যাটিং করেছিলেন স্বয়ং সৌরভই। ১১৪ বলে তাঁর অপরাজিত ১১১ রানের ইনিংস সাজানো ছিল ৫টি বাউন্ডারি ও ৫টি ওভার বাউন্ডারি দিয়ে।

বিশ্বকাপ

দলকে বিশ্বকাপের ফাইনালে তোলার পর অধিনায়ক সৌরভ৷

তার আগে ওপেন করতে নেমেছিলেন বীরেন্দ্র সহবাগ ও সচিন তেন্ডুলকর। সহবাগ ৩৩ রান করে প্যাভেলিয়নে ফিরে গেলে তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামেন অধিনায়ক। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত লিটল মাস্টার সচিন তেন্ডুলকরের। ১০১ বলে ৮৩ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এই দু’য়ের ব্যাটের তৈরি হয়ে গিয়েছিল বড় লক্ষ্য। কাইফ ১৫ ও যুবরাজ ১৬ রান করে আউট হন। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ২৭০ রানে শেষ হয় ভারতের ব্যাটিং।

ফাঁদে স্বয়ং রাহুল দ্রাবিড়

জবাবে ব্যাট করতে নেমে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে কেনিয়ার ইনিংস। সর্বোচ্চ রান টিকোলোর ৫৬। ৪৬.২ ওভারে ১৭৯ রানেই শেষ হয়ে যায় কেনিয়ার ইনিংস। বল হাতে সেদিন যেই নেমেছিলেন তাঁরই ঝুলিতে এসেছিল উইকেট।

সব থেকে সফল জাহির খান। তিনি নেন ৩ উইকেট। দুটো করে উইকেট নেন আশিস নেহরা ও সচিন তেন্ডুলকর। একটি করে উইকেট শ্রীনাথ ও যুবরাজের। যদিও উইকেট পাননি হরভজন সিংহ ও বীরেন্দ্র সহবাগ। ম্যাচের সেরাও হয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এমন একটা দিন আরও একবার এসেছিল ভারতীয় ক্রিকেটে। সেবার ধোনির হাত ধরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত।