করোনা কেড়েছে কাছের মানুষ? অবসাদ নয় মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখুন

World Mental Health Day

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: করোনা কেড়েছে কাছের মানুষ? কোনও ভাবেই অবসাদে ডুবে যাবেন না। বরং মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখুন। পড়তে যতটা সহজ, কার্যক্ষেত্রে এই মন ভাল রাখার কাজটা অত্যন্ত কঠিন। কিন্তু সেই কঠিন কাজের অনুশীলন না করলে আখেরে নিজেরই ক্ষতি। বোঝার চেষ্টা করুন, কাছের যে মানুষটি চলে গিয়েছেন, তিনি আর কোনও ভাবেই ফিরবেন না।

প্রিয় জনের চলে যাওয়া মনের উপর গভীর ক্ষত তৈরি করে। অদ্ভুত এক চাপের বলয় ঘুরে বেড়ায় বুকে-মগজে। কিন্তু সে সব কাটিয়ে উঠে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়াটা অত্যন্ত জরুরি। চার দিকের নেতিবাচকতা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখাটাই একমাত্র প্রয়োজন। না হলে নিজে অবসাদে ডুবে আর এক কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলবেন।

 

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

একাধিক মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বলছেন, মনের এই সুখহীন অবস্থা আসলে দু’রকমের। একটি ব্যক্তিগত স্তরে। অন্যটি সামাজিক স্তরে। তাঁরা বলছেন, এই যুদ্ধোএ কেউ একা নন। প্রিয় জন চলে যাওয়ার বিষয়টিকে ব্যক্তিগত না দেখে আমাদের সামাজিক এবং পারিবারিক বাঁধন আরও দৃঢ় করতে হবে। এবং সেটা ভার্চুয়ালি করাও সম্ভব। মনোরোগ বিশেষজ্ঞ কেদার বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘ভার্চুয়াল মাদ্যমের সদর্থক ব্যবহার করতে হবে। ছোটবেলার বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলা যেতে পারে। এমনকি বড়বেলায় যাদের সঙ্গে কথা বলতে ভাল লাগে, তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন প্ল্যাটফরএ সিনেমা বা ওয়েব সিরিজ দেখাও যেতে পারে। আসলে মূল লক্ষ্য থাকবে, বেদনা বা হতাশায় নিজেকে ডুবতে না দেওয়া। এর মানে কিন্তু এই নয়, আমরা আমাদের চলে যাওয়া প্রিয় জনকে ভুলতে চাইছি। মানে একটাই, নিজেকে ভাল রাখতে চাইছি। এটাই একমাত্র লক্ষ্য।’’

কেদার বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, এই চলে যাওয়া ব্যাপারটা কোনও ভাবেই আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। কিন্তু যিনি নেই, তাঁর চলে যাওয়ার কথা না ভেবে, সেটাতে ডুবে না গিয়ে তাঁর বেঁচে থাকাকালীন সমস্ত কাজকে উদ্‌যাপন করা উচিত। একই কতা বলছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ আবীর মুখোপাধ্যায়। তাঁর মতে, কোনও একটা শখ বা অভ্যেসে মন দেওয়া প্রয়োজন এই রকম সময়ে। সেটা রান্না হতে পারে। সেটা গার্ডেনিং থেকে গানবাজনা বা আঁকাও হতে পারে বলে তিনি মনে করেন। আবার শরীর চর্চার অভ্যাস তৈরি করতে পারলেও ভাল।

হাইপার টেনশন যাঁদের আছে বা যাঁরা মৃত্যুভয়কে অনেকটাই প্রশ্রয় দিয়ে ফেলেছেন, তাঁদের কাছের লোকদের জন্য মানসিক ভাবে পাশে থাকা উচিত। হাসিঠাট্টায় সময় কাটালে সাময়িক বাবে বেশ কিছুটা পরিত্রাণ পাওয়া যেতে পারে।


(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)