লিঙ্কডইন-এ নরেন্দ্র মোদী লিখলেন, ‘আজ বাড়িই হয়ে উঠেছে নতুন অফিস’

লিঙ্কডইন-এ নরেন্দ্র মোদীলিঙ্কডইন-এ নরেন্দ্র মোদী

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: লিঙ্কডইন-এ নরেন্দ্র মোদী লিখলেন নিজের মনের কথা। করোনা-পরবর্তী জগতে অফিসের চেহারা অনেকটাই বদলে যাবে বলে মত বহু বিশেষজ্ঞের। রবিবার সে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তিনি লিখলেন, ‘‘আজ বাড়িই হয়ে উঠেছে নতুন অফিস। ইন্টারনেট হয়ে দাঁড়িয়েছে নতুন মিটিং রুম। সাময়িক ভাবে কাজের ফাঁকে সহকর্মীদের সঙ্গে আড্ডাকে আজ ইতিহাস বলে মনে হচ্ছে। আমিও এই পরিবর্তনগুলোর সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে চেষ্টা করছি। বেশির ভাগ মিটিং, তা আমার মন্ত্রী-সহকর্মীদের সঙ্গেই হোক, আধিকারিকদের সঙ্গেই হোক অথবা বিশ্বের অন্য দেশের নেতৃত্বের সঙ্গেই হোক, এখন ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে সারতে হচ্ছে।’’

তিনি লিখেছেন, ‘‘বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকে তৃণমূল স্তরের প্রতিবেদন পেতে সমাজের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স মিটিংই ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ভাবেই বিভিন্ন এনজিও, সিভিল সোসাইটি গ্রুপ এবং কমিউনিটি সংস্থাগুলির সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। রেডিও জকিদের সঙ্গেও কথাবার্তা হয়েছে।’’


করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সব খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন

পেশাদারি সংযোগের ওয়েবসাইট ‘লিঙ্কডইন’-এ নিজের বক্তব্য জানাতে গিয়ে মোদী লিখেছেন, নয়া ব্যবসায়িক মডেলের সন্ধানে ভারতের তরুণ প্রজন্ম বড় ভূমিকা নিতে পারে। মোদীর মতে, করোনা-পরবর্তী জগতে বিশ্বে পণ্য সরবরাহের অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে ভারত। পরে এই লেখাটি টুইটও করেন তিনি।

ওই পোস্টে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘এই শতাব্দীর তৃতীয় দশক শুরু হয়েছে নানা ধাক্কার মধ্য দিয়ে। করোনাভাইরাসের ফলে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। উদ্ভাবনী ক্ষমতার মাধ্যমে মানুষ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। বাড়িতে থাকার বার্তা দিতে আমাদের অভিনেতারা নতুন উপায়ে কয়েকটি ভিডিয়ো তৈরি করেছেন। গায়কেরা করেছেন অনলাইন অনুষ্ঠান। দাবা খেলোয়াড়েরা ডিজিটাল মাধ্যমে দাবা খেলে এই যুদ্ধে সাহায্য করেছেন।’’

প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘‘জলবায়ুগত পরিবর্তনের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষেত্রে আমরা যথেষ্ট অগ্রগতির পরিচয় রেখেছি। প্রকৃতি তার বিশালত্বকে আমাদের সামনে উন্মোচিত করেছে, আমাদের দেখিয়েছে যখন মানবিক কর্মকাণ্ড অপেক্ষাকৃত ধীর, তখন কত দ্রুত প্রকৃতি তার কাজ করে যেতে পারে। এই গ্রহের পরিবেশের উপরে মানবিক ক্রিয়াকাণ্ডের প্রভাব কমাতে উপযুক্ত প্রযুক্তি এবং অভ্যাসগুলিকে নির্ণয় করতে হবে— এটা এই সঙ্কট আমাদের শেখাল।’’

সকলকে নিয়ে চলার ক্ষমতা, সুযোগ ও গোটা বিশ্বের কাছে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে— এমনই ব্যবসায়িক ও জীবনযাত্রার মডেলের এখন খোঁজ করা উচিত বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। যে মডেলে সঙ্কটকালেও অফিস ও ব্যবসা-বাণিজ্য চলতে পারে। এতে ভারতের উদ্ভাবনী ক্ষমতাসম্পন্ন তরুণ প্রজন্ম বড় ভূমিকা নিতে পারে বলে আশাবাদী মোদী। তাঁর কথায়, ‘‘অফিসে বা কারখানায় বসে কাজ এবং ডিজিটাল মাধ্যমে কাজের ঠিকঠাক মিশেল ঘটাতে পারলে ভারত বিশ্বে পণ্য সরবরাহের অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে। এই সুযোগকে ব্যবহার করতে হবে।’’


(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)