ইমিউনিটি বাড়াবে জায়ফল, কীভাবে খাবেন জেনে নিন

ইমিউনিটি

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ইমিউনিটি নিয়ে আপাতত চিন্তিত গোটা বিশ্ব। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই একমাত্র আপনাকে নিশ্চিন্ত করতে পারে। ওষুধ, ভ্যাকসিন সেই সব তো থাকলই। তার সঙ্গে যদি নিজের শরীরের ভিতরই বাড়িয়ে নেওয়া যায় সেই ক্ষমতা তাহলে এই ভয়ঙ্কর ভাইরাসও আপনাকে কাবু করতে পারবে না। কারণ, ভ্যাকসিন আসার পরও দেখা যাচ্ছে টিকার দুটো ডোজ নেওয়া মানুষকেও ছাড়ছে না করোনাভাইরাস। এই পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিনের পাশাপাশি নিয়মিত নিজের খাদ্য তালিকায় এমন কিছু রাখতে হবে যা আপনার শরীরের ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করবে। ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে জায়ফল। আমরা যে ড্রাইফ্রুট খাই তার মধ্যে থাকে জায়ফল। কিন্তু এই জায়ফলকে একটু অন্যরকমভাবে খেলে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই বেড়ে যায়।

জায়ফলের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকট্রিয়াল উপাদান। যা ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে। চায়ে, দুধে বা গরম জলে—যেভাবে ইচ্ছে মিশিয়ে নিয়ে খাওয়া যায় জায়ফল। সঙ্গে মেদ ঝড়ানোর জন্যও ভাল কাজ করে জায়ফল। বিশেষত ইন্দোনেশিয়াতেই প্রথম পাওয়া যায় এই ফলটি। এ দেশে এখন দক্ষিণ ভারতে জায়ফলের চাষ হয়।

কীভাবে জায়ফল খাবেন সেটা একবার দেখে নেওয়া যাক—

এ কাপ গরম দুধে, আধা চামচ মধু, এলাচগুড়ো এবং জায়ফল পাউডার মিলিয়ে নিন। জায়ফল পাউডার লাগবে একদম সামান্য, মাত্র দু’চিমটি। গরম গরম রাতে ঘুমনোর আগে খেয়ে নিন। এটা যেমন আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে তেমনই রাতে যাঁদের ঘুমের সমস্যা তাঁরাও সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

এটা তো গেল ইমিউনিটি বাড়ানোর মিশ্রন। শুধু অনিদ্রার সমস্যা কাটাতেও কাজে লাগানো যেতে পারে জায়ফল গুড়ো। রাতে শোয়ার আগে এক কাপ দুধে এক চিমটি জায়ফলগুড়ো মিশিয়ে খেয়ে নিন। এ ছাড়া যাঁদের গাঁটের ব্যথা রয়েছে তাঁদের জন্যও জায়ফল দারুণভাবে উপযোগী।

এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরণের এসেনসিয়াল অয়েল। যা জয়েন্টের ব্যথার জন্য খুবই কার্যকরী। শুধু তাই নয়, এই ফল হজম শক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে যার ফলে গ্যাসের সমস্যা, অন্ত্রের সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে। এর সঙ্গে জায়ফলের ব্যবহার যৌন সমস্যা মেটাতেও সাহায্য করে। দাঁত ব্যথার জন্য যেমন লবঙ্গ আমরা ব্যবহার করে থাকি তেমনই জায়ফলের গুড়োও দাঁত ব্যথা কমাতে কাজ করে।

মধুর সঙ্গে জায়ফলের গুড়ো মিশিয়ে কাথ তৈরি করে খেলে গা গোলামোস গ্যাসট্রিক ও বদহজমের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। জায়ফলের নির্যাসের হাই-ডোজ ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং অগ্নাশয়ের সমস্যা মেটায়।

যার ফলে এটা পরিষ্কার এই কঠিন সময়ে যখন একটু এদিক থেকে ওদিক হলেই মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ঘরের বাইরে বেরতে ভয় লাগছে। সব পরিবারে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে কোভিডে তখন এমন একটা ফল যা হাতের কাছে সহজেই পাওয়া যায়, তা এক সঙ্গে এতগুনের অধিকারী। বাড়িতে রাখা যেতেই পারে আর প্রতিদিনের জীবনে যুক্ত করে নেওয়া যেতেই পারে।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)