নতুন বছরে ঘরের সাজসজ্জাই গরম থেকে বাঁচাবে

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: নতুন বছরে পা দিল বাংলা। প্রবল গরমের মধ্যেই পালিত হল পয়লা বৈশাখ। পশ্চিমবঙ্গে এমন ভয়ঙ্কর গরম কবে শেষ পড়েছিল আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরাও মনে করতে পারছেন না। আর এই গরম চলবে এখনও কয়েক সপ্তাহ। তার মানে আপাতত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। এই গরমেই পুড়তে হবে দিন-রাত। এখন সূর্যিমামা অস্ত গেলেও গরম কমছে না বাংলায়। লু বইছে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে। তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৪২ ডিগ্রিতে। ছাঁপিয়ে গিয়েছে দিল্লির গরমকেও। এই অবস্থায় দিনের শেষে যে ঘরটায় ফিরতে হয় সেখানেই খুঁজতে হবে স্বস্তির ঠিকানা। তাই নতুন বছরে ঘর সাজানোয় খাটাতে হবে খানিকটা বুদ্ধি।

সবার আগে বলি, যা দিয়েই ঘর সাজান না কেন সব যেন হয়  হালকা রঙ। কারণ গরমে গাঢ় রঙ অস্বস্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি করে। সবার আগে বদলে ফেলুন বিছান‌ার চাদর, বালিশের কভার, সোফা কভারের মতো জিনিস। সবটাই যেন হয় সাদা বা হালকা রঙের। এক্ষেত্রে পর্দার রঙের ক্ষেত্রে ঠিক উল্টোটাই ব্যবহার করতে হবে। সেক্ষেত্রে রোদ আটকাতে মোটা এবং গাঢ় রঙের পর্দা ব্যবহার করাই শ্রেয়।

বসার ঘরের দেওয়ালে ব্যবহার করতে পারেন পছন্দের পেন্টিং। পেন্টিংয়ের পিছনে খরচ করতে না চাইলে স্টিকার লাগানো যেতে পারে। তাতে অন্য লুক দেবে ঘরের দেওয়াল। দুপুর থেকে জানলা-দরজা বন্ধ রাখাই শ্রেয় তাতে ঘর ঠান্ডা থাকবে। ঘরের দেওয়ালের রঙ গাঢ় হলে সেটা রাতারাতি বদলে ফেলা সম্ভব নয় সেক্ষেত্রে হালকা রঙের ওয়া‌ল স্টিকার দিয়ে ঢেকে ফেলা যেতে পারে বেডরুমের দেওয়াল। ঝকঝকে আর নতুন লুক পাওয়া যাবে নতুন বছরে। খরচও কম হবে। সঙ্গে ঘরে হালকা আলো ব্যবহার করুন। বড় আলোতে গরম বাড়বে।

গরমে বিছানাও তেতে রয়েছে। শুতে গেলে ছ্যাঁকা লাগছে। তাই বিছানায় পেতে নিন মাদুর। মাদুরে শুলে ছ্যাঁকাটা লাগবে না। এসি না থাকলে স্বস্তি দেবে মাদুরই। সঙ্গে ঘরের সৌন্দর্য্যও বৃদ্ধি করবে রঙিন মাদুর। ঘরের বিভিন্ন জায়গায় মাটির পাত্র করে ঠান্ডা জল ভরে রাখা যেতে পারে। সেই জলে ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে নানা রঙের ফুল। সেটা যেমন ঘরের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করবে তেমনই ঘর ঠান্ডা রাখবে। দিনে বার কয়েক জল পরিবর্তন করুন। ফ্রিজের জল ব্যবহার করতে পারলে ভাল।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: FacebookTwitterGoogle