কোভিড আবহে শিশুদের স্বাস্থ্য, শুধু শরীর নয় মনটাকেও খেয়াল রাখতে হবে

কোভিড আবহে শিশুদের স্বাস্থ্য

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কোভিড আবহে শিশুদের স্বাস্থ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কঠিন সময়ে সবাই গৃহবন্দি। তা ছাড়া উপায়ও নেই। এর মধ্যেই কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ গ্রাস করছে কম বয়সীদের। তা ছড়িয়ে পড়ছে শিশুদের মধ্যে। যা ঘিরে আতঙ্ক ক্রমশ বাড়ছে। আসতে পারে তৃতীয় ঢেউ। এই অবস্থায় সবার আগে সুস্থ রাখতে হবে বাড়ির শিশুদের। একদিকে তাঁদের ‘ক্লোজ কনট্যাক্ট’ থেকে দূরে রাখতে হবে অন্যদিকে তাদের সামাজিকভাবে সচল রাখতে হবে। দুটো ঘটনা পুরোপুরি বিপরীত। কিন্তু সেটাই করতে হবে। কারও সংস্পর্শে আসা থেকে দূরে রাখতে হবে কারণ কোভিড ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকবে। আবার সামাজিকভাবে দূরে করে দিলে শিশুরা অসামাজিক হয়ে পড়বে সঙ্গে হতাশায় ভুগবে যেটা ওরা নিজেরাও বুঝতে পারবে না। পরবর্তী সময়ে তার প্রভাব পড়বে ওদের জীবনে।

পুরো বিষয়টাই খুব জটিল। কিন্তু সেই জটিলতা থেকেই বের করে আনতে হবে সহজ অংশটা। নিয়মিত স্কুল নেই, বন্ধুদের সঙ্গে হুল্লোর নেই, শপিংমলে যাওয়া নেই, মাঠে খেলা নেই— কোভিড অতিমারিতে শিশুদের জীবনটাই হারিয়ে গিয়েছে। যে সময় ওরা তৈরি হবে তখনই গৃহবন্দি হয়ে যেতে হয়েছে। এখন তো আরও কঠিন সময়। সঙ্কটে শিশুরাই। তবে এর মধ্যেই ওদের ভাল রাখতে হবে।

হাত দোয়া, মাস্ক পরা, মানুষের থেকে দূরে থাকা এখন সবাই শিখে গিয়েছে। প্রতিদিনের জীবনের অংশ হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যেই বাড়ি বড় হোক বা ছোট সচল রাখতে হবে বাড়ির ছোটদের। ফিজিক্যাল হেলথ ও মেন্টাল হেলথ দুটোকেই সমান গুরুত্ব দিতে হবে। ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটিকে খাওয়া, স্নানকরা, ঘুমনোর মতো রুটিনের মধ্যে ঢুকিয়ে ফেলতে হবে। না হলে শিশুদের গ্রোথ আটকে যাবে। শুধু শারীরিক নয় মেন্টার গ্রোথেও সমস্যা হবে।

৩-৫ বছরের শিশুরা সারাক্ষণই খেলে। বাড়ির বড়দের নজর রাখতে হবে যাতে তাদের খেলাটা বসে না হয়। তাঁদের ঘরের মধ্যেই দৌঁড়তে দিন, লাফাতে দিন। মিউজিক চালিয়ে ডান্স করুন ওদের সঙ্গে। ৬-১৭ বছরের মধ্যে যারা রয়েছে, তাদের খেলার ছলে নয় নিয়ম করেই করতে হবে শরীরচর্চা। দিনে এক ঘণ্টা দিতে হবে তার পিছনে।

রোজ যোগা রাখতে হবে রুটিনে। সঙ্গে এমনসব ব্যায়াম বা অ্যাক্টিভিটি যা হৃদস্পন্দন বাড়াতে সাহায্য করবে। সঙ্গে হারের শক্তি বাড়াতে  সপ্তাহে তিনদিন দৌঁড় অথবা জাম্পিং যেমন স্কিপিং করতে হবে।  মাংসপেশীর শক্তি বাড়াতে ক্লাইম্বিং বা পুশআপের মতো ব্যায়ামগুলো রাখা যেতে পারে তালিকায় সপ্তাহে তিনদিন। শিশুদের এমন খেলনা কিনে দিন যেগুলো ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটিতে কাজে লাগে। ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটিটাকে মজার জায়গায় নিয়ে যেতে হবে তবেই শিশুরা তাতে আকৃষ্ট হবে।

রাতে ডিনারের পর বসে টিভি দেখা যাবে না। বরং ঘরে টিভি চলুক সকলে মিলে এক ঘর থেকে আর এক ঘরে হাঁটুন কম করে আধঘণ্টা। খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে বসে পড়বেন না নিজেও শিশুদেরও দেবেন না। ছোটদের ঘরের মধ্যেই সাইকেল চালাতে দিন। সামাজিকভাবে সচল রাখার জন্য ভিডিও কলে বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলতে দিন। কিন্তু দেখবেন সেই আড্ডাটা যেন ওদের বেড়ে ওঠার কাজে লাগে। আপনারাই খেলার ছলে ঠিক করে দিন। কুইজ কম্পিটিশন, গানের লড়াই, ছবি আঁকা হোক ভিডিও কলের মাধ্যমে। যোগ দিন আপনারাও। তাতে ওদের আগ্রহ বাড়বে।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)