ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আতঙ্ক ক্রমশ বাড়ছে, বাড়িতেই মেনে চলুন কিছু নিয়ম

ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আতঙ্ক

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আতঙ্ক এবার এ রাজ্যেও। ইতিমধ্যেই ৭ জনের শরীরে ধরা পড়েছে এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। আরও ৮ জনের শরীরে রয়েছে উপসর্গ। যা নিয়ে চিন্তায় প্রশাসনও। ইতিমধ্যেই কোভিড ও ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের কারণে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। কলকাতায় হরিদেবপুরের মহিলার মৃত্যুর পর দিনই বাঁকুড়ায় তিন জনের শরীরের ধরা পড়ে এই রোগ। তাঁদের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। আরও বেশ কয়েকজনের শরীরে পাওয়া গিয়েছে এই মারণ ফাঙ্গাস। যাঁদের উপসর্গ রয়েছে তাঁদের পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। আশঙ্কা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার।

যেভাবে নিজেদের মতো করে কোভিডকে মাত দেওয়ার রাস্তা বাতলে দিয়েছে চিকিৎসা বিজ্ঞান তেমনভাবেই কিছু নিয়ম মানলে অনেকটাই এড়ানো যেতে পারে এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বলে মনে করা হচ্ছে। যে মাস্ক কোভিড-১৯-কে আটকাচ্ছে সেই মাস্কই ডেকে আনতে পারে দ্বিতীয় রোগটি। তার জন্য মাস্ক পরা ছেড়ে দলে হবে না বরং মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম।

আসলে মানুষের এখন অবস্থা জলে কুমির ডাঙায় বাঘ, কোন দিকে গেলে প্রাণ বাঁচবে কেউ জানে না। তার মধ্যেও শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করতে হবে। এক্ষেত্রে মাস্কের ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। আপনি কি একই মাস্ক টানা ব্যবহার করে যান? তাহলে জানবেন, নিশ্চিত আপনি ডেকে আনছেন এই মারণ ফাঙ্গাস বা মিউকোরমাইকোসিসকে।

ছত্রাক জন্মায় অপরিচ্ছন্ন, স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায়। সে কারণে মাস্ক যদি না ধুঁয়ে দীর্ঘদিন ব্যবহার করা হয় তাহলে সেখানে যে ছত্রাক জন্মাবে তা খুবই স্বাভাবিক। সে কারণে বাইরে গেলে প্রতিদিন মাস্ক বাড়ি ফিরে সাবাল জলে ধুয়ে দিন। তার পর সেটিকে রোদে দিয়ে ভাল মতো শুকিয়ে নিন। তাহলে আটকানো যাবে ছত্রাকের আক্রমণ। কোভিড আক্রান্তদের ক্ষেত্রে বেশি করে দেখা দেওয়ার কারণ তাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া।

স্বাভাবিক জীবনে থাকতে হলে স্বাস্থ্যকর পরিবেশও খুব জরুরী। যে সব বাড়িতে হাওয়া চলাচলের ব্যবস্থা কম, রোদ আসে না সেখানে ছত্রাকের গজিয়ে ওঠা খুবই স্বাভাবিক। তাই যতটা সম্ভব চেষ্টা করুন ঘরকে পরিষ্কার রাখার। চিকিৎসকরা বলছেন অত্যধিক স্টেরয়েড ব্যবহারও ডেকে আনছে ব্ল্যাক ছত্রাক।

নিত্য দিনের জীবনে পরিচ্ছনতা খুবই জরুরী, রোজ ধোয়া জামা-কাপড় ব্যবহার করা। গরমে খুব বেশি ঘেমে গেলে তা সেই কাপড় বদলে ফেলা এবং সঙ্গে সঙ্গে সাবান জলে ভিজিয়ে রাখা বা ধুয়ে ফেলা। খাবারের পাত্র সব সময় পরিষ্কার রাখা। খাবার বেশিদিন ফ্রিজেও ফেলে না রাখা। কাচা মাছ মাংস ফ্রিজ থেকে বের করে রান্না করতে হলে অনেকটা সময় নিয়ে করা এবং নিজেদের মুখকে পরিষ্কার রাখা।

প্রতিদিন দু’বার ব্রাশ করা। দু’বার  মাউথ ফ্রেশনার দিয়ে কুলি করলে মুখের ভিতর ছত্রাক তৈরি হওয়া আটকানো যাবে। আর কখনও যেন গলা শুকিয়ে না যায়। কিছুক্ষণ পর পর জল খেয়ে যেতে হবে। বেশি পরিমাণে জল খেতে হবে বিশেষ করে এই প্রচন্ড গরম ও আদ্রতার জন্য প্রচুর ঘাম হওয়ায় শরীরের জলের ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়।

এর পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে নিজের দিকে। চোখ লাল হওয়া, চোখে ব্যথা হওয়া, জ্বর, নাক দিয়ে রক্ত, মাথা ব্যথা, র্দি, কাশি, রক্তবমির মতো উপসর্গ দেখা দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। তার আগে পর্যন্ত যতটা নিজেদের আয়ত্বের মধ্যে রয়েছে সেটা মেনে চলাটা জরুরী।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)