লোকনাথ থুড়ি অরণ্য রায়চৌধুরী বড় হয়ে আইপিএস অফিসার হতে চায়

লোকনাথ থুড়ি অরণ্য রায়চৌধুরীলোকনাথ অর্থাৎ অরণ্য রায়চৌধুরী

লোকনাথ থুড়ি অরণ্য রায়চৌধুরী বড় হয়ে অভিনেতা হতে চায় না। সে আইপিএস অফিসার হতে চায়। দুষ্টুমি থেকে পড়াশোনা, খেলাধুলো থেকে শুটিঙের সেট, এমনকি বড়বেলার ইচ্ছেগুলোকে নিয়ে জমিয়ে অরণ্য কথা বলল জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে।


নবনীতা: সবাই এখন তোমাকে লোকনাথ নামেই ডাকে?
অরণ্য: হ্যাঁ। ট্রেনে বাসে অনেকেই দেখে বলে, ‘এই তুমিই তো লোকনাথ?’ আমি বলি, ‘হ্যাঁ। ওটা আমার সিরিয়ালের নাম। আমার আসল নাম অরণ্য। আর ডাক নাম শিবম।’

নবনীতা: আর সেই শিবম এখন ধারাবাহিকের দৌলতে শিবকেই ডেকে চলেছে। তা তুমি শিবশম্ভুকে কী বলছ?
অরণ্য: সবাইকে ভাল রাখতে, সুস্থ রাখতে বলছি।

নবনীতা: তুমি এখন ক্লাস থ্রি-এর ছাত্র। পড়াশোনারও তো চাপ আছে। পড়ো কখন?
অরণ্য: তুমি জানো আমি ক্লাস থ্রি-তে পড়ি? আমার বাড়ি ফিরতে অনেক রাত হয়। তাই ফিরে আর পড়াশোনা হয় না। ফ্লোরে বই নিয়ে আসে মা। মায়ের কাছে পড়ে নিই সিন না থাকলে। আর কল টাইম দেরিতে থাকলে বাড়িতে পড়ি। পরীক্ষার সময় ছুটি পাই। তখন পড়লেই আমার হয়ে যায়।

নবনীতা: স্কুলে তো যেতে পারো না!
অরণ্য: না। খুব কমই যাই। ধারাবাহিকে যে হেতু লিড রোল করছি তাই ছুটিছাটা থাকে না জানো তো। তাই যেতে পারি না। তবে সব পড়া জেনে যাই। স্কুলের বন্ধুরা আর টিচাররা আমাকে খুব হেল্প করে।

নবনীতা: অভিনয় ছাড়া আর কী করতে ভাল লাগে?
অরণ্য: খেলি, আঁকি।

লোকনাথ থুড়ি অরণ্য রায়চৌধুরী

অরণ্য

নবনীতা: শুটিং-এ থাকলে তো খেলাধুলো হয় না।
অরণ্য: খেলি তো এখানে। কত বড় জায়গা এই স্টুডিওতে। বড়দের সঙ্গে খেলি ক্রিকেট। কত রান করি আমি!

নবনীতা: ফুটবল বিশ্বকাপ দেখছ? কার খেলা দেখতে ভাল লাগে?
অরণ্য: হ্যাঁ দেখছি তো। সব খেলা দেখতে পারছি না। আর ভাল লাগে ব্রাজিলের খেলা। নেইমারের খেলা তো দারুণ। কী দারুণ শট দেয় গো!

নবনীতা: বড় হয়ে অভিনয়ের পাশাপাশি কি নেইমারের মতো ভাল খেলোয়াড় হতে ইচ্ছা করে?
অরণ্য: না না। খেলি, তবে বড় খেলোয়াড় হওয়ার স্বপ্ন আমার নেই। আমি চাই আইপিএস অফিসার হতে। অনেক দুষ্টু লোককে শায়েস্তা করতে হবে। এই ধরো যারা জয় বাবা লোকনাথ সিরিয়ালের তড়িতা মায়ের মতো দুষ্টু।

এক দিন এক জন আমাকে দেখে এসে পা ছুঁয়ে প্রণাম করতে গেছে। এটা আমার ভাল লাগেনি একটুও। খুব রাগ হয়েছিল আমার। মাও ছিল সঙ্গে। মা-ও বলেছিল, ‘এ কি, আপনি এটা কী করছেন? ও তো আসল লোকনাথ নয়। ওটা তো অভিনয়।’

নবনীতা: তা হলে অভিনয়?
অরণ্য: আমি অভিনেতা হতে চাই না তো। আইপিএস অফিসার হতে চাই।

নবনীতা: বাংলা ছবি দেখো?
অরণ্য: হ্যাঁ দেখি। টিভিতে দেখি। আমার প্রিয় অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা। যেমন হাসায় তেমনি ঢিসুম ঢিসুম দেয়!!

নবনীতা: লোকনাথ চরিত্রে অভিনয় করার পর তুমি অনেকটা ফেমাস হয়ে গেছো। আনন্দ লাগে তো খুব?
অরণ্য: হ্যাঁ লাগে তো। কিন্তু এক দিন এক জন আমাকে দেখে এসে পা ছুঁয়ে প্রণাম করতে গেছে। এটা আমার ভাল লাগেনি একটুও। খুব রাগ হয়েছিল আমার। মাও ছিল সঙ্গে। মা-ও বলেছিল, ‘এ কি, আপনি এটা কী করছেন? ও তো আসল লোকনাথ নয়। ওটা তো অভিনয়।’

নবনীতা: লোকনাথ ধারাবাহিকটা শেষ হলে অন্য কোনও অভিনয়ের অফার আসলে করবে না?
অরণ্য: কী জানি। মনে হয় করব না। আবার করতেও পারি।

রেখার ঠুমকা, শ্রীদেবীর স্মৃতি নিয়ে শেষ হল এ বারের আইফা

নবনীতা: তোমার মা তো বলল তুমি অভিনয় করতে চাও।
অরণ্য: চাইতাম তো। একটা সিরিয়ালের পুলিশ অফিসার অভিমন্যুকে দেখার পর থেকে আমার আইপিএস হওয়ার ইচ্ছাটা অভিনয়ের থেকেও বেশি বেড়ে গেছে।

নবনীতা: ঘুরতে যাওয়া হয়?
অরণ্য: আমি শপিং মলে যেতে বেশি ভালবাসি। তা ছাড়া আরও অনেক জায়গায় গেছি আমরা। ইয়ুম্থাং, পুরী, দিঘা, মন্দারমণি।

নবনীতা: শপিং মলে যেতে ভাল লাগে কেন?
অরণ্য: পপকর্ন খাব বলে। প্রথমেই বাস্কেটে পপকর্নের প্যাকেট তুলে নিই চার-পাঁচটা। তার পর মা সেখান থেকে অনেকগুলো বাদ দিয়ে দেয়।

নবনীতা: দুষ্টুমি করো বাড়িতে?
অরণ্য: সবাই বলে খুব দুষ্টু আমি। মার কাছে বকুনিও খাই খুব। ঠাম্মি আছে আমার। দুষ্টুমি করে ঠাম্মির কাছে গিয়ে চুপচাপ বসে থাকি। মা আর নাগাল পায় না।

পপকর্ন খাব বলে। প্রথমেই বাস্কেটে পপকর্নের প্যাকেট তুলে নিই চার-পাঁচটা। তার পর মা সেখান থেকে অনেকগুলো বাদ দিয়ে দেয়।

নবনীতা: তা আজ অবধি কোনও ভয়ঙ্কর দুষ্টুমি করেছো?
অরণ্য: ক্রিকেট খেলতে গিয়ে এক জনের বাড়ির কাচের জানলা ভেঙে দিয়েছিলাম এক বার। তার পর যা হওয়ার তাই হল! ধুমাধুম মার আর সারাদিন বকাঝকা।