এই জয় বাবাকেই উৎসর্গ করব, বাবার বিরুদ্ধে জিতে বললেন রাজদীপ নন্দী

রাজদীপ নন্দী

জিতে কেঁদে ফেলেছিলেন রাজদীপ নন্দী । কলকাতা লিগ খেলা এরিয়ান্স ক্লাবের টিডি তিনি। ময়দানের প্রতিটি ঘাস যাঁকে চেনে সেই রঘু নন্দীর ছেলে রাজদীপ। এরিয়ান্স দল চিরকালই ছিল রঘু নন্দীর হাতে। কিন্তু এ বার তিনি মহমেডানের দায়িত্ব নিয়েছেন কলকাতা লিগের আগে। তাই এরিয়ান্সের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন ছেলে রাজদীপের জন্য়। আর সেই ছেলেই যে বাবাকে এ ভাবে ফুটবল মাঠে মাত দেবেন তা কে বুঝেছিল। খেলা শেষে জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে কথা বললেন জয়ী কোচ, জয়ী ছেলে রাজদীপ নন্দী

জাদু: এই জয় কাকে উৎসর্গ করবেন?

রাজদীপ: আমার আইডল বাবা। বাবার কাছেই আমার সব শেখা। তাই এই জয় বাবার জন্যই।

জাদু: কিন্তু বাবা তো এ ক্ষেত্রে আপনার প্রতিপক্ষ?

রাজদীপ: জানি, তাই তো মাঠে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়িনি মহমেডানকে। আগের দিনই বলেছিলাম ২-০ গোলে জিতব। সেটা ১-০ হয়েছে।

জাদু: এটা কতটা চাপ ছিল আপনার জন্য?

রাজদীপ: চাপ তো ছিলই। সবাই বলছিল বন্ধুত্বপূর্ণ ম্যাচ হবে। এটা চাপ সৃষ্টি করে। মাঠে নামলে আমরা প্রতিপক্ষ। সেটা জিতে বোঝাতে পেড়েছি।

প্রশ্ন উঠছে ভারতীয় দলের ছবিতে কেন অনুষ্কা? 

জাদু: উল্টোটাও তো হতে পারে এখন, যে বাবা ছেলেকে ম্যাচ ছেড়ে দিল?

রাজদীপ: হলে খুব দূর্ভাগ্যজনক। আমরা হারলে হতে পারত আমি ম্যাচ ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু আমরা লড়াই করে জিতেছি সেটা সবাই দেখেছে।

জাদু: এতো গেল খেলার কথা। কিন্তু আজ মা (রত্না নন্দী, প্রাক্তন ফুটবলার) কার সমর্থক?

রাজদীপ: মা—র আজকে বড় বিপদের দিন। ৫০-৫০ অবস্থা। শেষ পর্যন্ত কাকে সমর্থন করেছে জানি না।

জাদু: মা কী বলেছিল বেরনোর আগে?

রাজদীপ: মা-বাবা একটা কথা দু’জনেই সব সময় বলেন, যে দলের হয়ে মাঠে নামছ সেই জার্সিটা তোমার মা। যতক্ষণ খেলা ততক্ষণ আর কেউ তোমার নয়। আমিও এটা বিশ্বাস করি।

জাদু: বাড়ি থেকে বাবা আর আপনি একসঙ্গে বেড়িয়েছিলেন?

রাজদীপ: না, আলাদা আলাদা বেরিয়েছিলাম। যে ভাবে প্রতিদিন বাবা-মাকে বলে যাই সে ভাবেই বলে বেরিয়েছিলাম।

জাদু: এই ম্যাচ খেলতে নামার আগে লক্ষ্যটা কী ছিল?

রাজদীপ: লক্ষ্য ছিল বড় দলকে হারানো। আমি বার বার বড় দলের কাছে আটকে গিয়েছি। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহমেডানকে আগে হারাতে পারিনি। এ বার সেই লক্ষ্যেই নেমেছিলাম।