ন’বছর পর ইস্টবেঙ্গলে ফিরে কী বললেন সুভাষ?

জাস্ট দুনিয়া প্রতিবেদন:

ইস্টবেঙ্গল ক্লাব

গত বছর আমাকে ইস্টবেঙ্গল জীবনকৃতি সন্মান প্রদান করেছিল। সেদিন নেতাজি ইন্ডোরে আমার জীবনের একটা বৃত্ত সম্পূর্ণ হয়েছিল। এই ক্লাবে কাজ করা আমার কাছে আজও স্বপ্নের মত। আমি এখান থেকেই ফুটবলার জীবন ও কোচিং কেরিয়ার শুরু করেছিলাম। এবারও ডাক পেয়ে আমি সন্মানিত।

এই মরসুমে ইস্টবেঙ্গল

ইস্টবেঙ্গল একটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে চলেছে। আমার জীবনে এরকম মুহূর্ত এর আগেও এসেছে। কোচ ও ফুটবলার হিসেবে বহু কঠিন পথ এর আগেও পেরিয়েছি। এগুলোই জীবনের চ্যালেঞ্জ। হঠাৎ করে আসা চ্যালেঞ্জগুলোই আমাদের জীবনের আসল অংশ।

পরবর্তী পরিকল্পনা

টিভিতে ইস্টবেঙ্গলের খেলা দেখেছি। তবে আজ থেকে বিস্তারিত ভাবে ভাবতে শুরু করব। আমাদের সকলকেই পরিশ্রম করতে হবে।  এছাড়া এই মরশুমে এক-দুম্যাচ ছাড়া ইস্টবেঙ্গল খারাপ ফুটবল খেলেনি। এই সময়ে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

খালিদ প্রসঙ্গে

খালিদকে অনেকদিন ধরেই চিনি। ওর সঙ্গে আলোচনা করেই পরবর্তী পরিকল্পনা ঠিক করব। খালিদ চিফ কোচ আমি ওর অ্যাসিসটেন্ট এই দলে।  খালিদও আমার মতন নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে ভালবাসে। আমাদের দু’জনেরই অনেককিছু প্রমাণ করার আছে ।

নিজের প্রসঙ্গে

আমি নিজে মাঠে নেমে কোচিং করতে ভালবাসি। মাঠের বাইরে দাঁড়িয়ে কোচিং করানো যায় না। মনাদার সঙ্গেও ফোনে কথা বলব। মনাকে আমি ভারতীয় দলের অধিনায়ক করেছিলাম। ওকে আমি শ্রদ্ধা করি। এখন আগের ব্যর্থতার কারণ খোঁজার সময় নেই। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই দলটাকে ছন্দে ফেরাতে হবে।

খালিদ জামিলের বক্তব্য

আমি খুব খুশি। সুভাষ ভৌমিকের মত একজন ব্যাক্তিত্বের সংস্পর্শে আসার সুযোগ পেয়ে ভাল লাগছে। উনি ভারতের অন্যতম সেরা কোচ। ইস্টবেঙ্গলেক সাফল্যই আমাদের লক্ষ্য। এক সঙ্গে মাঠে নেমে কাজ করার জন্য মুখিয়ে রয়েছি।