উত্তরাখণ্ড বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০, টানেল থেকে উদ্ধার ৬ দেহ

উত্তরাখণ্ড বন্যায় মৃতের সংখ্যা

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: উত্তরাখণ্ড বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০। এদিন ঋষিগঙ্গা টানেল থেকে উদ্ধার হল ছ’জনের দেহ। এখনও নিখোঁজ ১৫০-র ও বেশি মানুষ। বন্যার পর থেকে তপোবন বিদ্যুৎ প্রকল্পের টানেলে ৩৫ জনের মতো আটকে থাকার কথা বলা হচ্ছিল। একটা সময় পর্যন্ত আশাও করা হচ্ছিল টানেলের ভিতর বেঁচে থাকতে পারেন কর্মীরা। সেই আশাতেই দিন-রাত এক করে টানেলের ভিতর পরিষ্কার করার প্রচেষ্টা চলছিল। কিন্তু সেই সব আশায় জল ঢেলে দিল শবদেহ উদ্ধার।

এদিন টানেল থেকে ছ’জনের দেহ উদ্ধারের পাশপাশি রেনি গ্রাম থেকেও সাত জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ সূত্রে খবর যে ৫০ জনের দেহ এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে তাঁদের মধ্যে ৪১ জন চামোলির। মৃতদের মধ্যে ২৪ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। বাকিদের এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

দেহ উদ্ধারের মধ্যেই সুরঙ্গের আরও ভিতরে দ্রুত ঢোকার চেষ্টা চালাচ্ছে উদ্ধারকারী দলের কর্মীরা। আবহাওয়া ও নদীর জল বাড়ার কারণে মাঝে মাঝেই উদ্ধারকাজ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। টানেলের ভিতর যে পরিমান কাদা-আমটি জমে রয়েছে তাতে উদ্ধারকাজের গতিও খুব বেশি বাড়ানো যাচ্ছে না। মাঝ পথেই রবিবার এই ছ’জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। দু’জনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এরা সকলেই তপোবন বিদ্যুৎ প্রকল্পের কর্মী।

গত রবিবার উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় বিরাট তুষারধসে বিপুল ক্ষতি হয়েছে রাজ্যের। এখনও নিখোঁজ অনেকে। উদ্ধারকাজ চলছে। ধ্বংসের পরিমান এতটাই বেশি এবং পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে তাতেও তৈরি হচ্ছে নানা রকমের বাধা। তার মধ্যে নতুন করে আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি করেছে তুষারধসের কারণে তৈরি হওয়া লেক।

তুষারধস নেমে সরাসরি পড়েছিল ঋষিগঙ্গা নদীতে। তার ফলেই তৈরি হয়েছিল জলোচ্ছ্বাস। আর সেই জলের গতি নেমে গিয়েছিল ভ্যালিতে। তার রাস্তায় যা যা পড়েছিল সব ধ্বংস করে দিয়েছিল জলের গতি। তার মধ্যে ছিল ঋষিগঙ্গা পাওয়ার প্রজেক্টও।

উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় এই তুষারধসের ফলে ধৌলীগঙ্গা, ঋষিগঙ্গা ও অলকানন্দার জলস্তর ভয়ঙ্করভাবে বেড়ে যায়। তার ফলেই নদীর জল তার সীমা ছাড়িয়ে সমতলে ঢুকে পড়ে প্রচন্ড গতিতে। এমন কোনও পূর্বাভাস না থাকায় কেউ এই বিপদের জন্য তৈরি ছিল না।

গত রবিবার সকালে হঠাৎ করে আসা বন্যায় ২০০-র ওপর মানুষ নিখোঁজ হয়ে যায়। তার মধ্যে ১০ জনের দেহ উদ্ধার করা হয় সেদিনই। মনে করা হচ্ছে নিখোঁজরা আর কেউ বেঁচে নেই। সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ তপোবন জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। যা তৈরি হয়েছিল ঋষিগঙ্গা নদীর উপর। যা পুরোটাই প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। আশঙ্কা সেখানে কর্মরত আর কেউই বেঁচে নেই। নিখোঁজ সকলেই সেই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের শ্রমিক।

(আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)