Omicron নিয়ে চিন্তায় বিশ্ব, জরুরি বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদীও

Omicron

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকা সন্ধান মিলেছে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টের। সেই Omicron নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে ইউরোপ এবং আমেরিকায়। উদ্বিগ্ন ভারতও। শনিবার বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অন্তত ৫০ বার জিনের বিন্যাস বদল করে তৈরি হওয়া এই ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে কেন্দ্রের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছ থেকে সবিস্তার খোঁজ খবর নিয়ে আরও সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

এখনও পর্যন্ত যে সব দেশে এই ভ্যারিয়্নেটের হদিশ মিলেছে, সেখানকার যাত্রীদের কোভিড পরীক্ষা যাতে সঠিক ভাবে হয় এবং তাঁদের স্বাস্থ্যের উপরেও যাতে নজর রাখা হয়, তার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়াও বিদেশে যাতায়াত আগামী দিনে কতটা শিথিল করা হবে, সেই বিষয়টি আধিকারিকদের পর্যালোচনা করে দেখতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

সরকারি আধিকারিকদের প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, জেলা স্তরে কোভিড পরীক্ষা এবং নজরদারি বাড়াতে রাজ্যের সঙ্গে যৌথ ভাবে কাজ করতে হবে। শনিবার প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন মোদী। সেখানে করোনা টিকাকরণ নিয়েও খোঁজখবর নেন তিনি।

সদ্যই আফ্রিকা মহাদেশের কয়েকটি দেশে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে। ভাইরাস বিজ্ঞানের পরিভাষায় এর নাম বি.১.১.৫২৯। ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের চরিত্রে একাধিক বার বদল থেকে যে হেতু এই রূপের জন্ম, তাই বিষয়টি নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইজরায়েলে এই নতুন রূপের হদিশ মিলতেই দক্ষিণ আফ্রিকা-সহ আফ্রিকা মহাদেশের আরও ছ’টি দেশের যাত্রীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বেনেট সরকার।

Omicron

এখনও পর্যন্ত ওমিক্রনের প্রভাব দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ এবং তার আশপাশের কিছু এলাকাতেই সীমাবদ্ধ। তা ছাড়া হংকং, ইজরায়েল এবং আফ্রিকা-ফেরত কয়েক জন পর্যটকের শরীরেও মিলেছে এই রূপ। গত ১৬ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের নতুন রূপে সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ৩০০-র কাছাকাছি। ২৫ নভেম্বর তা বেড়ে ১,২০০-তে পৌঁছয়। সংক্রমণ বৃদ্ধির এই হার উদ্বেগজনক। কিন্তু অতিমারি বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, শুধুমাত্র এই পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে ওমিক্রনের সংক্রমণ ক্ষমতা সম্পর্কে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসা সঙ্গত নয়।

বিশেষজ্ঞদের অনেকের মতে, ‘হু’ এটিকে ‘উদ্বেগের কারণ’ বলেছে। ‘আতঙ্কের কারণ’ বলেনি। উদ্বেগের কারণ বলেই বিভিন্ন দেশ তড়িঘড়ি আপৎকালীন ব্যবস্থা নিতে ময়দানে নেমে পড়েছে। যা আদতে ‘রুটিন সতর্কতা’। তবে এই ‘রুটিন সতর্কতা’ জারির ক্ষেত্রেও নজিরবিহীন অতি সক্রিয়তা দেখানো হয়েছে বলে অতিমারি বিশেষজ্ঞ এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের অনেকে বলছেন। তাঁদের মতে, ডেল্টার ক্ষেত্রে ‘উদ্বেগের কারণ’ ঘোষণা করতে বেশি সময় নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ‘হু’-র বিরুদ্ধে। সেই অভিজ্ঞতার ফলেই ওমিক্রনের ক্ষেত্রে এই তড়িঘড়ি।


প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)