তৃণমূলের তিন কন্যা মাতিয়ে দিলেন সংসদ, মহুয়া-মিমি-নুসরত

তৃণমূলের তিন কন্যাতৃণমূলের তিন কন্যা

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: তৃণমূলের তিন কন্যা মাতিয়ে দিলেন লোকসভা। ওঁরা তিন জনই এ বার ভোটে জিতে প্রথম সংসদে গিয়েছেন। এক কন্যা কৃষ্ণনগরের মহুয়া মৈত্র। বাকি দুই কন্যা, বসিরহাটের নুসরত জহান এবং যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। তিন কন্যাই তাঁদের কথায়-বার্তায়-ভাষণে মঙ্গলবার মুগ্ধ করলেন গোটা দেশকে।

এ দিন সকালেই সাংসদ হিসেবে শপথ নিয়েছেন নুসরত এবং মিমি। দু’জনের শপথ নেওয়ার ভঙ্গিমায় চমকে যায় গোটা দেশ। আর দিনের শেষে বড়সড় চমকটা দিলেন মহুয়া। লোকসভায় তাঁর প্রথম বক্তৃতায় আগাগোড়া বিজেপি তথা মোদী সরকারকে বিঁধে বুঝিয়ে দিয়েছেন নিজের রাজনৈতিক ঝাঁঝ।

ভোটের ফল বেরনোর পরেই ছিল নুসরতের বিয়ে। সেই বিয়েতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন সহকর্মী তথা বন্ধু মিমিও। বিয়ের অনুষ্ঠান হয় তুরস্কে। দু’জনে সেখানেই ছিলেন। তাই লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার অনুমতি নিয়ে এ দিনই দু’জনের শপথ গ্রহণের সময় ঠিক হয়।

তবে সংসদে এ দিন প্রথম নয়, এর আগে কাগজপত্র জমা দিতে এসেছিলেন দু’জনে। সেই সময় নেটিজেনদের একাংশ মিমি-নুসরতের পোশাক নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক কথা লেখেন। এ দিন কিন্তু দু’জনের ভঙ্গিমায় সেই নেট দুনিয়াও আপ্লুত।

বাংলার আরও খবর পড়তে এখানে ক্লিক করুন…

সদ্য বিয়ে হওয়া নুসরত এ দিন পরে এসেছিলেন চওড়া বেগুনি পাড়ের সাদা শাড়ি। কপালে লাল টিপ। সিঁথিতে উজ্জ্বল সিঁদুর। শুরুতেই নুসরত বলেন, ‘‘সালাম আলেকুম।’’ নিজের নাম বলেন, ‘‘আমি… নুসরত জহান রুহি জৈন।’’ গোটা শপথটাই তিনি বাংলায় নেন। শেষ করেন জয় হিন্দ, জয় বাংলা এবং বন্দেমাতরমে।

 

শপথ নিলেন নুসরত…

অন্য দিকে তাঁর বন্ধু মিমি পরে এসেছিলেন সাদা সালোয়ার কামিজ। মিমিও বাংলায় শপথ নেন। তবে তাঁর আগে হিন্দিতে উপস্থিত গুরুজনদের প্রণাম করার কথা বলেন।

শপথ নিলেন মিমি…

সংসদে প্রবেশের মুখে মূল যে সিঁড়ি, এ দিন শপথ নিতে এসে সেটাকে প্রণাম করেন নুসরত এবং মিমি। শপথ নেওয়া শেষে দু’জনেই প্রণাম করেন স্পিকার ওম বিড়লাকে। শপথ নিয়ে সংসদে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার পর দু’জনে সংসদ ছেড়ে বেরিয়ে গেলেও বিকেলে পের আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ শুনতে।

তবে মোদীর ভাষণের আগে এ দিন লোকসভা মাতিয়ে দেন তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র। এ দিনই লোকসভায় প্রথম বক্তৃতা দেন মহুয়া। শুরুতেই মৌলনা আবুল কালাম আজাদকে উদ্ধৃত করেন তিনি। ভারতের বহুত্ববাদের ধারণার উল্লেখ করে মহুয়া সংবিধানের আদর্শের কথা মনে করিয়ে দেন তাঁর ভাষণে। তাঁর বক্তব্যে একে একে উঠে আসে ছদ্ম জাতীয়তাবাদ, প্রচারমাধ্যমের কণ্ঠরোধ, মানবাধিকার লঙ্ঘন-সহ একাধিক বিষয়।

মহুয়ার সেই ভাষণ…

মহুয়ার সেই বক্তব্য এ দিন পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্যত বাইরাল হয়ে যায়। আগাগোড়া মহুয়ার যে ঝাঁঝ, তার প্রশংসা হতে থাকে নেট দুনিয়ায়। একাধিক সংবাদমাধ্যম মহুয়ার বক্তব্যকে নিয়ে খবর করতে তাকে। সেই খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে অনেকেই মহুয়াকে বাহবা জানান।

লোকসভায় এ দিনের অধিবেশনে এই তিন কন্যাই প্রথম দর্শনে এবং ভাষণে মাত করেছেন। যা দেখে চমকে উঠেছে গোটা দেশ। ঘটনাচক্রে ওঁরা তৃণমূলের তিন কন্যা ।

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)