পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পাল্টা গোলাবর্ষণ করল ভারত, পাক সেনা ও জঙ্গি মিলিয়ে নিহত অন্তত ২০

পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পাল্টা গোলাবর্ষণ করল ভারতপাক অধিকৃত কাশ্মীরে পাল্টা গোলাবর্ষণ করল ভারত

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পাল্টা গোলাবর্ষণ করল ভারত, পাক সেনা ও জঙ্গি মিলিয়ে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। ভারতীয় সেনার বক্তব্য, গোলাবর্ষণে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে থাকা অন্তত তিনটি পাক জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে।

এর আগে উরির সেনা ঘাঁটি এবং পুলওয়ামায় আধাসেনার উপরে হামলার জবাবে পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের বালাকোটে অভিযান চালিয়েছিল ভারত। এ বার জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করেছে সেনা।

আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন

ঘটনার সূত্রপাত শনিবার সন্ধ্যায়। ভারতীয় সেনার বক্তব্য, জম্মুর কাঠুয়ায় মনইয়ারি-চোরগলি এলাকা লক্ষ্য করে পাক রেঞ্জার্স মর্টার ছুড়লে আহত হন সাদিক আলি নামে এক ব্যক্তি। এর পরে আজ ভোর রাত থেকেই কুপওয়ারার তংধার সেক্টরে বিনা প্ররোচনায় গুলি-গোলা চালাতে শুরু করে পাকিস্তান।

সেনার সন্দেহ, সম্ভবত জঙ্গি অনুপ্রবেশ ঘটাতেই ওই হামলা চালানো হয়। পাক হামলায় নিহত হন পদমবাহাদুর শ্রেষ্ঠ ও জামিলকুমার শ্রেষ্ঠ নামে দুই সেনা। পদমবাহাদুর অসমের গোলাঘাট জেলার বরপথারের বাসিন্দা। জামিলকুমারের বাড়ি নেপালের পাল্পায়। মৃত্যু হয় মহম্মদ সিদিক নামে তংধার এলাকার এক গ্রামবাসীরও।

জবাবে তংধারের উল্টো দিকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নীলম উপত্যকায় থাকা জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে প্রত্যাঘাত করে ভারতীয় সেনা। মর্টারের পাশাপাশি বফর্সের মতো কামানও ব্যবহার করে ভারত।

এ প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়ত বলেন, ‘‘জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করতেই কামান ব্যবহার করা হয়েছে। প্রাথমিক যে-তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে তিনটি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে। অল্পবিস্তর ক্ষতি হয়েছে আর একটির। ৬-১০ জন পাক সেনা ও সমসংখ্যক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে।’’

যে-ভাবে গোলাবর্ষণের পর থেকে জঙ্গি শিবিরগুলিতে রেডিয়ো নীরব হয়ে রয়েছে, তাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন সেনাপ্রধান।

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)