সাধারণ মানুষকে মেরে জঙ্গির তকমা দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে

সাধারণ মানুষকে মেরে জঙ্গির তকমা

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: সাধারণ মানুষকে মেরে জঙ্গির তকমা লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ একটা সময় প্রায়শই শোনা যেত জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের বিরুদ্ধে। গত কয়েক বছরে সেই পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু সদ্য হওয়া এনকাউন্টারের পর আরও একবার সেই পুরো স্মৃতি ফিরে এল শ্রীনগরে। জম্মু-কাশ্মীরের প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা আবদুল লতিফ মোগরে। ২০০৫-এ পাথর ছুঁড়ে জঙ্গি মেরেছিলেন এই ব্যক্তি। তার জন্য শংসাপত্রও পেয়েছিলেন। কিন্তু তার ১৬ বছর পর তাঁরই ছেলে মেরে পুলিশ দাবি করছে তিনি জঙ্গি ছিলেন। যার প্রবল প্রতিবাদ করেছেন বৃদ্ধ বাবা।  সোমবার শ্রীনগরে এক এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় আমিরের।

আমির শ্রীনগরের এক দোকানে কাজ করতেন। সোমবারই তিনি তাঁর কাজে গিয়েছিলেন। সেদিনই শ্রীনগরের কর্মাশিয়াল কমপ্লেক্সে সন্ধের দিকে পুলিশের এনকাউন্টার শুরু হয়। তাতে মৃত্যু হয়েছে চার জনের। সেই চার জনের মধ্যেই রয়েছেন ২৪ বছরের আমির। এই এনকাউন্টার নিয়ে প্রশ্ন উঠছে যেখানে মৃত্যু হয়েছে দুই ব্যবসায়ী ও কমার্শিয়াল কমপ্লেক্সের দুই মালিকের। পুলিশের দাবি এরা সকলেই জঙ্গিদের সমর্থক ছিলেন। এমনকী কারও দেহ তাঁদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি।

প্রাথমিকভাবে পুলিশ দাবি করেছিল দুই ব্যবসায়ীকে খুন করেছে জঙ্গিরা। পরে তারা তাদের বক্তব্য বদল করে জানায় গুলির লড়াইয়ের মধ্যে পড়ে তাঁদের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু তাঁদের পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে দু’জনকেই ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে। তাঁদেরকেও পরিজনের দেহ শেষকৃত্যের জন্য দেওয়া হয়নি আইনের দোহাই দিয়ে। পুলিশ জানিয়েছে চারজনের দেহই হিন্দওয়ারায় গোপনে সমাধিস্ত করা হয়েছে।

আমিরের বাবা বলেন, ‘‘আমি পাথর ছুঁড়ে জঙ্গিদের মেরেছিলাম। আমাকে জঙ্গিদের গুলি খেতে হয়েছে। আমার তুতো ভাইকে জঙ্গিরা খুন করেছে। আমরা নিজেদের বাড়ি ছেড়ে গত ১১ বছর ধরে রয়েছি। অনেক কষ্ট করে লুকিয়ে রেখে বাচ্চাদের বড় করেছি। বলিদানের এই ফল পেলাম আজকে একজন ভারতীয় যে পাথর দিয়ে জঙ্গি মেরেছিল। তার ছেলেকে খুন করে জঙ্গির তকমা লাগিয়ে দেওয়া হল।’’তাঁর বাড়ি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। তিনি বলেন, ‘‘এর পর আমাকে খুন করে জঙ্গির তকমা দিয়ে দেওয়া হবে।’’ এমনকি তিনি তাঁর সন্তানকে শেষ দেখাও দেখতে পাননি। অনুরোধ করলেও পুলিশ মৃত চার জনের কারও বাড়ির হাতে দেহ তুলে দেয়নি।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)