সরকারি কোভিড নির্দেশিকায় অনলাইন শপিং-কে প্রাধান্য এবং ভ্রমণ নিষিদ্ধ

সরকারি কোভিড নির্দেশিকায় অনলাইন শপিং

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: সরকারি কোভিড নির্দেশিকায় অনলাইন শপিং করার উপদেশ দিল কেন্দ্র। উৎসবের মরসুম চলছে। পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপুজো পরবর্তী পরিস্থিতি এখনই চোখ রাঙাতে শুরু করেছে। হুহু করে প্রতিদিন বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যা। জোড়া টিকা নেওয়া মানুষও কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন প্রতিদিন। এই অবস্থায় এখনও দেশে উৎসবের মরসুম শেষ হয়নি। কিন্তু প্রথম ও দ্বিতীয় কোভিড ঢেউয়ের মতো পরিস্থিতি যেন আর না হয়, এমনটাই আর্জি কেন্দ্রের। সে কারণে শনিবার একগুচ্ছ ন‌ির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এবং সব রাজ্যগুলো সেই নির্দেশিকা মানতে বলা হয়েছে। তার মধ্যে জোড় দেওয়া হয়েছে অন-লাইন শপিংকে।

দুর্গাপুজো পূর্ববর্তী সময়ে পশ্চিমবঙ্গে দেখা গিয়েছে, জেলা থেকে কলকাতা শহর সর্বত্র বাজারগুলো ভিড় উপচে পড়ছে। সবাই ভুলেই গিয়েছে করোনা দেশ থেকে একদম উধাও হয়ে যায়নি। বরং তৃতীয় ঢেউয়ের পূর্বাভাস দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় থেকেই। কিন্তু আবেগে উচ্ছ্বাসে মানুষ সব ভুলে গিয়ে নতুন করে বিপদ ডেকে এনেছে। তা যেন গোটা দেশে ছড়িয়ে না পড়ে তাই দিওয়ালির আগে নতুন করে পদক্ষেপ নেওয়ার পথে হাঁটছে কেন্দ্র সরকার। এর মধ্যে রয়েছে অকারণে রাস্তায় বেড়নো বা ট্র্যাভেল করাও।

কাতারে কাতারে মানুষ উৎসবের মরসুমে বেড়াতে বেরিয়ে পড়েছে। গোটা দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোর দিকে তাকালে আতঙ্ক হবে। এই অবস্থায় দেখে নেওয়া যাক কী কী নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র সরকার—

অন-লাইন মোডে উৎসব পালন করুন, বিশেষ করে অন-লাইন শপিং করুন। এবং অকারণ ট্র্যাভেল করবেন না।

উৎসব পালনের সময় কোভিড নিয়ম অবশ্যই মেনে চলতে হবে।

কনটেইনমেন্ট জোন এবং জেলাগুলিতে কোনও ভিড় করা যাবে না।  যেখানে পরীক্ষার ৫ শতাংশ ফল পজিটিভ আসছে।

রাজ্য সরকারগুলোকে কোভিড নিয়ন্ত্রণে আগাম নির্দেশিকা জারি করতে হবে।

সমাবেশ করতে আগাম অনুমতি নিতে হরবে তবে তারও নির্ধারিত সংখ্যা থাকবে এবং সেটা মানা হচ্ছে কিনা তা নজরে রাখতে হবে।

মল, স্থানীয় মার্কেট এবং ধর্মীয় স্থানে যে গাইড লাইন রয়েছে তা যেন কেউ ভঙ্গ না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

ফাইভ পিলার অফ কোভিড ম্যানেজমেন্ট—টেস্ট, ট্র্যাক, ট্রিট, ভ্যাকসিন এবং কোভিড বিধি মানা।

জেলা প্রশাসনকে কোভিড আক্রান্তদের দিকে কড়া নজর রাখতে হবে।

আগামী মাসেই রয়েছে দিওয়ালি ও ঈদ। যা কোভিড সংক্রমণ বাড়িয়ে তুলতে পারে বলেই আশঙ্কা করছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই রাশিয়া, ইউকে এবং চিনের মতো নতুন করে কোভিড মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। সব স্কুল ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নতুন করে লকডাউনের পথে হাঁটতে চলেছে বেশ কিছু দেশ। ভারতে যেন এই পরিস্থিতি আর না হয় সে কারণেই আগাম সতর্কতা নিতে চাইছে সরকার। দ্বিতীয় ঢেউ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে অসাবধানতা কতটা মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। অক্সিজেনের অভাব, হাসপাতালে বেডের অভাব কীভাবে পর পর মানুষের প্রান কেড়ে নিতে পারে।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)