দূষণে বন্ধ দিল্লির স্কুল-কলেজ, অফিসেও ৫০ শতাংশ কর্মীর উপস্থিতি

দূষণে বন্ধ দিল্লির স্কুল-কলেজ

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: দূষণে বন্ধ দিল্লির স্কুল-কলেজ অনির্দিষ্ট কালের জন্য। পরবর্তী ঘোষণা যতদিন না হচ্ছে ততদিন আবার বন্ধ হল ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে যাওয়া। কিছুদিন আগেই কোভিড পরিস্থিতি থেকে স্বস্তি আসায় খুলে দেওয়া হয়েছিল রাজধানী ও সংলগ্ন এলাকার স্কুল-কলেজ। কিন্তু আবারও তা বন্ধ রাখতে হচ্ছে। কারণ অবশ্য এবার দূষণ। ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে গোটা দিল্লি। দূষণের পরিমাণ এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে ঘরের ভিতরও চোখ জ্বালা করছে। ত্বকের সমস্যা হচ্ছে। বাইরে বেরলে তো কথাই নেই। মাস্ক, সানগ্লাস পড়েও অস্বস্তিকে দূরে রাখা যাচ্ছে না। এই অবস্থায় সুপ্রিম কোর্ট কয়েকদিনের সম্পূর্ণ লকডাউনের উপদেশ দিয়েছিল দিল্লি সরকারকে। এবার একটু একটু করে সেই পথেই হাঁটছে কেজরিওয়াল সরকার।

স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা তারই একটা অংশ। প্রতিবছর শীতের শুরুতে দিল্লি এই পরিস্থিতির সম্মুখিন হয়। গত বছর কোভিডের কারণে এমনিতেই লকডাউন থাকায় পরিস্থিতি এতটা খারাপ হয়নি। কিন্তু এবারের দিল্লি দূষণ গত কয়েক বছরের সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার বেশি রাতে কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি মানেজমেন্টের তরফে স্কুল-কলেজ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। ততদিন বন্ধ থাকবে যতদিন না পরবর্তী নির্দেশ আসছে। দিওয়ালির বাজি এবং পঞ্জাব, হরিয়ানার মতো রাজ্যের ফসল পোড়ানোর ফলে দিল্লি ঢেকে গিয়েছে ধুঁয়োয়।

ওয়ার্ক ফর্ম হোমের পক্ষে নয় কেন্দ্র সরকার। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, তাতে বিশেষ কিছু লাভ হবে না। অন্যদিকে, কোভিড-১৯-এর কারণে দীর্ঘদিন সব বন্ধ থাকায় অনেক ক্ষতি হয়েছে।

যার ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আবার ফিরতে চলেছে অনলাইন ক্লাসে। দিল্লি, হরিয়ানা, রাজস্থান ও উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলোকে কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি মানেজমেন্টের তরফে উপদেশে দেওয়া হয়েছে যাতে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত সব অফিসে ৫০ শতাংশ স্টাফ নিয়ে কাজ হয়। তার পর পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দিল্লি, এনসিআর-এর প্রাইভেট সংস্থাগুলোকেও ৫০ শতাংশ স্টাফ যাতে বাড়ি থেকে কাজ করতে পারে সেদিকে নজর দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে কনস্ট্রাকশনের কাজও। যদি নির্দেশ অন্যথা করা হয় তাহলে বড় জরিমানার মুখে পড়তে হবে। তাও ২১ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দিল্লি ও এনসিআর-এ প্রয়োজনীয় জিনিসের ছাড়া আর কোনও ট্রাক ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে না ২১ নভেম্বর পর্যন্ত।  ১৫ বছরের বেশি পেট্রল চালিত গাড়ি এবং ১০ বছরের বেশি ডিজেল চালিত গাড়ি রাস্তায় নামা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দিল্লি সরকার ইতিমধ্যেই সপ্তাহান্তের লকডাউনের কথা জানিয়েছে সঙ্গে এক সপ্তাহের জন্য ওয়ার্ক ফর্ম হোমেরওকথা বলা হয়েছে। দিল্লির পাশাপাশি গুরগাঁও, নয়ডা ও গাজিয়াবাদেরও একই অবস্থায় ধোঁয়ার চাদরে ঢেকে গিয়েছে গোটা এলাকা।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)