শবরীমালা মন্দির খুলছে আজ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে এড়িয়ে মহিলাদের যেতে না দেওয়ার অভিযোগ

শবরীমালা মন্দির খুলছে আজশবরীমালা মন্দির খুলছে আজ

জাস্ট ডুনিয়া ডেস্ক: শবরীমালা মন্দির খুলছে আজ বুধবার সন্ধ্যায়। সুপ্রিম কোর্টের রায় বেরনোর পর এই প্রথম। কিন্তু, সেই রায় মেনে মহিলাদের মন্দিরে প্রবেশের ক্ষেত্রে কিন্তু ব্যাপক বাধা দেওয়া হচ্ছে। এমনটাই অভিযোগ। গোটা মন্দির চত্বরে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে মন্দিরে যাবেন বলে এসেছিলেন মাধবী নামের বছর চল্লিশের এক মহিলা। তাঁরা পামবা বেসক্যাম্প পর্যন্ত অনেক বাধা বিপত্তি পেরিয়ে পৌঁছেছিলেন। তার পর তাঁরা শবরীমালা মন্দিরের দিকে হাঁটা শুরু করেন। আগের গোটা পথটাই তাঁদের সঙ্গে পুলিশ ছিল। কিন্তু, মন্দিরের পথে হাঁটা শুরু করার ১০ মিনিটের মধ্যেই পুলিশ আর যেতে চায় না। তাঁদেরকে একক ভাবে মন্দিরের দিকে হাঁটতে বলে পুলিশ। এর পরেই বড় বাধাটা আসে। প্রতিবাদকারীরা মাধবীদের দেখে চিৎকার করতে থাকে। স্লোগান তোলে। শেষে ভয় পেয়ে মন্দিরে না গিয়ে নীচে নেমে আসতে বাধ্য হয় মাধবীর পরিবার।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, শবরীমালা মন্দির প্রাঙ্গনে যে কোনও বয়সের মহিলাই এখন থেকে প্রবেশ করতে পারবেন। ঢোকার ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা রইল না। ওই দিন সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে।

এত দিন কেরলের শবরীমালা মন্দির প্রাঙ্গনে ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সের মহিলাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল

এত দিন কেরলের শবরীমালা মন্দির প্রাঙ্গনে ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সের মহিলাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। কারণটা খুবই আশ্চর্যজনক! ওই বয়সের মহিলারা ঋতুমতী হন। শবরীমালা মন্দির প্রাঙ্গনের প্রধান বিগ্রহ আয়াপ্পা স্বামী ব্রহ্মচারী। কাজেই ঋতুযোগ্য কোনও মহিলা শবরীমালা মন্দির প্রাঙ্গনে প্রবেশ করলে তাঁর কৌমার্য্যব্রত ভেঙে যেতে পারে। সে কারণেই ওই নিষেধাজ্ঞা

সুপ্রিম কোর্টের ওই রায়ের পর এ দিন সন্ধ্যাতেই প্রথম মন্দির খুলছে। কিন্তু, তার আগে থেকেই আয়াপ্পার ভক্তরা মন্দির প্রাঙ্গনের আগেই প্রতিবাদে শামিল হয়েছে। ভক্তদের মধ্যে যাতে কোনও মহিলা না ঢুকে পড়তে পারেন, তা নিয়ে চলছে ব্যাপক তল্লাশি। দেখতে পেলেই নানা রকম ভাবে ওই মহিলাদের ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ওই প্রতিবাদীদের অনেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে মদত পাচ্ছে বলে অভিযোগ।

লিবি সিএস নামে এক মহিলা সাংবাদিক তাঁর ফেসবুকে পোস্ট করেছিলে‌ন, তিনি শবরীমালা মন্দিরে যাবেন। প্রতিবাদীরা লিবির সেই পোস্ট দেখেন। এর পর যে বাসে করে লিবি যাচ্ছিলেন, সেই বাস মাঝরাস্তায় মন্দির থেকে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার দূরে দাঁড় করানো হয়। তাঁকে নানা ভাবে অপমান করা হয়। লিবি জিনস পরে ছিলেন। এ ভাবে এক জন ভক্ত মন্দিরে যেতে পারে না, বলেও ওই প্রতিবাদকারীরা কটাক্ষ করেন বলে লিবির অভিযোগ।